Wednesday, January 23, 2019

যদি সূর্য হারিয়ে যায় তখন পৃথিবীর কী হবে?

ছবি: সংগৃহীত

জানার ও কৌতূহলের কোনো শেষ নেই। আচ্ছা, কী হবে যদি এই মুহূর্তে হঠাৎ সূর্যটা গায়েব হয়ে যায়? অনেকে হয়ত ভাববেন এইসব চিন্তা করে সময় নষ্ট করে লাভ কী? কিন্তু কিছু কিছু কৌতূহলী মানুষ সারাক্ষণ এসব নিয়েই চিন্তা করে যাচ্ছেন। আপনারও যদি এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে চলুন দেখা যাক আসলেই এখন সূর্যটা বিলীন হয়ে গেলে কেমন হবে!

সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ৩,৩৩,০০০ গুন ভারী আর এটা প্রতি সেকেন্ডে এক শত বিলিয়ন হাইড্রোজেন বোমার সমান শক্তি তৈরি করে। আর এর প্রবল আকর্ষণ বল দিয়েই এটা পৃথিবী সহ আটটি গ্রহকে তাদের কক্ষপথে ধরে রেখেছে। তাহলে চিন্তা করে দেখুন সূর্য না থাকলে আমাদের কী হবার কথা।
বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য হঠাৎ গায়েব হয়ে গেলে সৌরজগতের গ্রহগুলো সব ছিটকে মহাশূন্যে হারিয়ে যাবে। পাশাপাশি এদের মাঝে সংঘর্ষ হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।

সূর্য কিন্তু আমাদের আলোর ও প্রধান উৎস। কিন্তু আলোর ব্যাপারটি একটু ভিন্ন। কারণ এত বেশি গতিতে চলার পরেও বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিয়ে সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় ৮ মিনিট লেগে যায়। তাই মজার ব্যাপার হল ঠিক এই মুহূর্তে সূর্য বিলীন হয়ে গেলে তা আমাদের চোখে দেখে বুঝতে ৮ মিনিট সময় লেগে যাবে। মানে ৮ মিনিট পর বুঝবো যে সূর্য নেই। অবশ্য তার আগেই গ্রহগুলো ছিটকে গিয়ে একটা হুলস্থূল কান্ড ঘটে যাবে।
তবে অন্য কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে শুধুমাত্র আলোর অভাবে আমাদের তৎক্ষণাৎ কোন সমস্যা হবে না। কারণ ইলেকট্রিসিটি থাকবে এবং পাশাপাশি তারাগুলো তখনও কিছুটা আলো দিবে। এমনকি বৃহস্পতি গ্রহকেও প্রায় ১ ঘণ্টার মত দেখা যাবে (কারণ বৃহস্পতি থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে আসতে আসতে কিছুটা সময় নেবে। এই সময়ের পার্থক্যের কারণে সূর্য হারিয়ে গেলেও ঠিক আগের মুহূর্তের আলোটুকু এই পথ ঘুরে আসতে যে সময় দরকার সেই সময়টা বৃহস্পতিকে দেখা যাবে )।

কিন্তু পৃথিবীতে বিপত্তি ঘটবে ৮ মিনিট পর। কারণ, সূর্যের আলো ছাড়া সালোকসংশ্লেষণ হবে না।
তাই ছোট উদ্ভিদগুলো খাবার তৈরি করতে না পেরে কয়েকদিনের মধ্যেই মারা পড়বে। আর বড়গুলো হয়তো আরো কিছুদিন টিকে থাকবে। এর চেয়েও বড় সমস্যা আছে। আমরা জানি যে সূর্য আমাদের তাপেরও উৎস। আর তাপ যে কতটা দরকারি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। সূর্য বিলীন হয়ে যাওয়ার ১ সপ্তাহের মাঝে পৃথিবীর তাপমাত্রা ০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে যাবে। আর সূর্যহীন এক বছর শেষে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দাঁড়াবে মাইনাস ৭৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

চিন্তা করে দেখুন তো, এই বরফশীতল অবস্থায় কোন জীবটির অস্তিত্ব থাকবে? তবে হাইড্রথার্মাল ভেন্টে যেসব প্রাণি আছে সেগুলো সূর্য ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

ওই অবস্থায় পৃথিবীর সমুদ্রের উপরিভাগের পানিগুলো বরফ হয়ে পুরো পৃথিবীকে একটি বরফ খণ্ডের মত লাগবে। তবে মাটির নিচে, পৃথিবীর অভ্যন্তরে পৃথিবীর “কোর” তখনও তাপ উৎপাদন করবে। কেউ যদি এইদিকটায় সুবিধাজনক কোনো আশ্রয় পায়, তাহলে তার ভাগ্য কিছুটা প্রসন্ন বলা যায়, কিন্তু খাবে কী!

সূর্য না থাকলে মহাকর্ষ বল এর অভাবে পৃথিবী শূন্যের দিকে সোজা ছুটতে থাকবে। এখন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬৭০০০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে। সেই হিসেবে অন্য কোন কিছুর সাথে সংঘর্ষ না ঘটলে পৃথিবী প্রথম ১ বিলিয়ন বছরে পুরো আকাশগঙ্গা ছায়াপথের দৈর্ঘ্যের সমান  দূরত্ব অতিক্রম করে ফেলবে আর অনন্তকাল এইভাবেই চলবে।  কিন্তু আসলেই কি তাই? আমাদের ছায়াপথেই প্রায় ১০০ বিলিয়ন সূর্যের মত তারা রয়েছে, আরও আছে ১ বিলিয়নের মত ব্ল্যাক হোল। তাদের মাঝে কোন একটা যে পৃথিবীকে আবার ঐটার কক্ষপথে বসিয়ে দিবে না (কিংবা গ্রাস করবেনা) তাই বা কে বলতে পারে। সবই সর্ব শক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জানেন।

পারিবারিক আইন ও আদালত, ১৯৮৪

ছবি: সংগৃহীত

এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে নারীদের সুবিধার জন্য  - তাদের পারিবারিক সমস্যার দ্রুত নিস্পত্তি করার জন্য। আজকের ভারতবর্ষে নারীদের আইনগত অনেক অধিকার থাকলেও, আইন সম্পর্কে বহু নারীর অজ্ঞতা, আর্থিক অসুবিধা ও যে-কোনও মামলা নিস্পত্তি হতে দীর্ঘকাল সময় লাগা, ইত্যাদি প্রতিকুলতার জন্য নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে অনেক সময়েই বঞ্চিত হয়ে থাকেন। এইসব সমস্যার কথা ভেবেই পারিবারিক আদালত আইন তৈরি করা হয়েছে।

পারিবারিক কোর্টে কোনও উকিল নিযুক্ত করতে পারে না (অর্থবলের ফলে এক পক্ষ দুর্ধর্ষ উকিল এনে যাতে মামলায় নিজের সুবিধা না করে নিতে পারে, বা যাতে আইনের মারপ্যাঁচে মামলা দীর্ঘস্থায়ী না করতে পারে - এগুলি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে) । এই কোর্টে উকিলের বদলে থাকবে শুধু নিরপেক্ষ পরামর্শদাতা বা কাউন্সেলর (Counselor) । তারা বাদী ও বিবাদী - দুই পক্ষের কাছেই যাবে ও তাদের সাথে কথা বলবে প্রয়োজন মত তাদের বন্ধু আত্মীয়স্বজনদের প্রশ্ন করবে বিষয়টি ভালো করে জানার জন্য। ব্যাপারটি নিজেরা পরিষ্কার বুঝে তারা দু-পক্ষকেই বোঝাবে ও বিচারকের কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে।

মামলা যদি বৈবাহিক -বিষয়ক হয়, তাহলে প্রথমে বিচারকের চেষ্টা হবে ব্যাপারটা আপোসে মিটিয়ে ফেলা। সেটা সম্ভব না হলে, উভয়পক্ষ যদি রাজি হয় - তাহলে তাদের সন্মতি নিয়ে বিবাহ-বিচ্ছেদের আদেশ দেওয়া। সম্পত্তি কি ভাবে ভাগ করা হবে, ভরণপোষণের দায়িত্ব কার কি বর্তাবে, নাবালকের অভিভাবকত্ব কে পাবে - এইসব বিচারক স্থির করে দেবে।

১২ বছর অন্তর ফোটে এই ফুল

ছবি: সংগৃহীত 

নীলাকুরিঞ্জি— কত শুনেছি তার নাম। অতি সাধারণ, হালকা নীল রঙের ছোট ছোট ফুল। গন্ধও নেই তেমন। তবুও কেন তার এত কদর!
কারণ একটাই— সে অতি দুর্লভ। বারো বছর পর পর সে ফোটে। সেই সময় পশ্চিমঘাট পর্বতমালার নীলগিরি পর্বত আক্ষরিক অর্থেই নীল হয়ে ওঠে তার আগমনে।

২০১৮ সালেই জুলাই থেকে অক্টোবর তার ফুটবার সময়। মনটা লাফিয়ে উঠেছিল। ১২ বছর পর কে কোথায় থাকব তার ঠিক নেই। সুতরাং এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। কর্তামশাইকে রাজি করানো, প্লেনের টিকিট কাটা, হোটেল বুক— ঝপাঝপ সব করে ফেললাম।

চেন্নাই হয়ে কেরলের কোচি শহর। সেখান থেকে বাসে বা গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে সবুজে মোড়া পাহাড়ি শহর মুন্নারে। কিন্তু, দু’দিনের মধ্যেই মনের তুরুক নাচ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো। টিভি, খবরের কাগজ সব জায়গায় খবরের শিরোনামে কেরলের বন্যা। মুন্নার যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ। কোচি বিমানবন্দরেরও একই অবস্থা।

সব বুঝি বিফলে যায়। মনখারাপের বোঝা কোথায় রাখি! তবু আশায় বাঁচে চাষা। হোটেল বুকিং ক্যানসেল করলেও ফ্লাইটের টিকিট করা হলো না সেই আশাতেই। শেষে এক বন্ধুর পরামর্শে ঠিক হলো, চেন্নাই থেকে কোদাইকানাল চলে যাব। সেখানেও নাকি নীলাকুরিঞ্জি ফোটে। তবে খুবই কম।
হোক কম। তবুও দেখতে তো পাব। সেখান থেকে মুন্নার যেতে পারলে ভাল। না হলে অন্য কোথাও চলে যাব।
সেই মতো সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহান্তে বেরিয়ে পড়লাম। কলকাতা থেকে দুপুরের ফ্লাইট। বিকেল ৪.৩০ নাগাদ পৌঁছে গেলাম চেন্নাই। সেখান থেকে বেশ সুন্দর আর আরামদায়ক নাইট সার্ভিস স্লিপার বাস। ৫২৬ কিলোমিটার পথ পেরোতে সময় নেয় ঘণ্টা দশেক।
সকাল ৬টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম মেঘকুয়াশা মাখা, সদ্য ঘুম ভাঙা, হালকা শীতের চাদর জড়ানো কোদাইকানাল শহরে। মোটামুটি পছন্দসই এক হোটেল খুঁজে, লটবহর রেখে, ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়া গেল শহর দেখতে। অবশেষে বিকেলের দিকে কোদাইকানাল বোটানিকাল গার্ডেনে দেখা মিলল সেই বিরল ফুলের। পাহাড়ের গায়ে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো নয়, তবু চোখের দেখা তো হলো।

সে রাত কাটল কোদাইকানালেই। পরের দিন অনিশ্চিত যাত্রা মুন্নারের দিকে। বন্যাতে মুন্নারে যাওয়ার রাস্তাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দু-একটি খুললেও আমাদের একটু ঘুরপথেই যেতে হয়েছিল। কোদাইকানাল থেকে বাসে ২ ঘণ্টার রাস্তা বাটলাগুন্ডু। সেখান থেকে বাসে আরও প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে গিয়ে পৌঁছলাম থানিতে। এখান থেকে জিপ ভাড়া করে মুন্নার প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।

মুন্নারে ঢুকতেই মন ভাল হয়ে গেল। গোটা শহর জুড়ে শুধু সবুজ চা বাগান। আর আছে ভেষজ উদ্ভিদের চাষ। চারিদিকে বিভিন্ন আকারের পাহাড়, কোনওটা নীল, কোনওটা সবুজ। জঙ্গল, ছোট ছোট ঝরনা, লেক দিয়ে সাজানো সুন্দরী মুন্নার।

পরদিন সকালে ঘুম ভাঙল এক উত্তেজনা নিয়ে। যে কারণে মুন্নারে আসা, তা দেখতেই আজ যাব এরাভিকুলাম ন্যাশানাল পার্ক-এ। এই সময় পাহাড় নাকি ছেয়ে থাকে নীল ফুলে। নীল আকাশের সঙ্গে নাকি বাজি লড়ে নীলগিরি।

এই ট্রিপে প্রায় জোর করেই আসা প্রকৃতির ইচ্ছার বিরুদ্ধে। সেপ্টেম্বর, কিন্তু এখনও বর্ষার প্রকোপ কাটেনি। ২০০০ মিটার উচ্চতার এরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্কে যখন পৌঁছলাম, মেঘ নেমে এসেছে মাথার উপর। দূরের পাহাড়গুলো আবছা, রহস্যময়। আর সব থেকে দুঃখজনক ঘটনা, অতি বৃষ্টিতে প্রায় সব ফুল ঝরে গিয়েছে।

মনটা খারাপ হয়ে গেল। টিম টিম করে এদিক ওদিক ছড়িয়ে কিছু নীলাকুরিঞ্জি। বাকি পাহাড় জুড়ে শুধু ছাইরঙা ফুলহীন গাছগুলো ভরে আছে। মনকে সান্ত্বনা দিলাম। যে ভয়ানক বন্যার কবল থেকে বেঁচে উঠল এই শহর, তার পর এইটুকু দেখতে পাওয়াও তো সৌভাগ্যের ব্যাপার।
এরই মধ্যে হঠাৎ পাশের পাহাড় থেকে দুড়দাড় করে নেমে এল বেশ কয়েকটি 'নীলগিরি থর'। বুনো ছাগলেরই এক প্রজাতি, দেখতে কিছুটা হরিণের মতো। এই প্রাণীগুলি নীলগিরির নিজস্ব বাসিন্দা।

ইতিমধ্যে মাথার উপর জমে থাকা মেঘগুলি ভারী হয়ে আর নিজেদের ধরে রাখতে পারল না। নামল ঝমঝমিয়ে। ভিজে চুপ্পুস হয়ে ফিরে এলাম মুন্নারে। আবার বারো বছর! আর কি পাবো দেখা?

লেখাটি সংগৃহীত

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ২ বছরের জেল


ছবি: সংগৃহীত
মাদ্রিদের আদালত তাঁকে দুই বছরের জেল দিয়েছেন। কিন্তু স্প্যানিশ আইনের বিশেষ সুযোগের কারণে কারাবাস করতে হচ্ছে না জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।

স্পেন ছেড়ে ইতালিত ক্লাবে যোগ দিলেও স্পেন এর আদালত পিছু ছাড়ছে না পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। স্পেনে পুরোনো সেই কর ফাঁকির মামলার শুনানিতে আজ মাদ্রিদের আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে রোনালদোকে। দোষী সাব্যস্ত হলেও কারাবাস করতে হচ্ছে না জুভেন্টাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। মাদ্রিদের আদালত তাঁকে দুই বছরের জেল দিয়েছেন। তবে স্পেনে সহিংস অপরাধ ছাড়া অন্য কোনো প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত সাজা পেলে কাউকে জেল খাটতে হয় না। জরিমানা অবশ্য এড়াতে পারছেন না রোনালদো। একই শুনানিতে আদালত তাঁকে ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছেন।

কর ফাঁকির মামলার মধ্যেই গত বছরের শেষ দিকে তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োর্গার করা ধর্ষণের মামলাও আবার নতুন করে চালু হয়েছে। সম্প্রতি সেটির জন্য ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে রোনালদোর ডিএনএ চেয়ে পাঠিয়েছে লাস ভেগাসের পুলিশ। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এগুলো তাঁর জীবনযাত্রায় কোনো প্রভাব ফেলছে কি না। এই প্রসঙ্গ তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন সি আর সেভেন, ‘আমি খুব ভালো আছি।’ আদালত চত্বর ছেড়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠার আগে ভক্তদের কিছু অটোগ্রাফও দিয়েছেন তিনি।

পুরুষদের মাথায় টাক আছে তিনটি ঘরোয়া সমাধান

ছবি: সংগৃহীত

একটা বয়স পেরোলেই যুবক বা বৃদ্দ সব পুরুষরাই টাকের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। মাথার সামনের দিকে বা মাঝখানে চুল পাতলা হতে দেখা যায়। এক সময়ে মাথার সামনের অংশের সব চুল পড়ে যায়। বিশেষ করে যাঁরা হেলমেট পরে কাজ বা মোটর বাইক চালান, তাঁদের আগে মাথায়  টাক পড়ে। কিন্তু এই টাক সমস্যা থেকে বাঁচারও রয়েছে বিশেষ কিছু উপায়। জেনে নিন কয়েকটি ঘরোয়া উপায়।


• এক গ্লাস পানি একটি পাত্রে নিয়ে ফোটান। পানি ফুটে উঠলে এতে ২টি জবাফুল দিয়ে ৩-৪ মিনিট সিদ্ধ করুন। সেই পানি ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে, তাতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। চুল শ্যাম্পু করার পরে এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে নিন।  জবা ফুলের রস চুলের গোড়ার জন্য উপকারী।

• তিন গ্লাস পানিতে দশটি নিমপাতা ফোটান। পানি ফুটে গেলে ঠান্ডা করুন। তার পরে চুলের গোড়ায় ভাল করে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করুন।

• অলিভ অয়েল তৈল গরম করে নিন। এর পরে এতে দুই চামচ মধু এবং এক চামচ দারচিনি গুঁড়ো ভাল করে মেশান। মিশ্রণটি ভাল করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিবেন। শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এইটা  ব্যবহার করুন।