Saturday, February 2, 2019

বাবা হলেন জনপ্রিয় ক্রিকেটার ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা, নতুন বছরে তাদের সংসারে এলো কন্যা সন্তান…

ছবি : সংগৃহীত

বছরের শুরুতে বাবা হলেন ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। মেলবোর্নে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের দিনেই এই সুখবর আসল তার জীবনে। রোহিত শর্মার স্ত্রী রীতিকা যে প্রেগনেন্ট তা নিয়ে কিছুদিন আগেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা নিজেই। আর নতুন বছরের প্রথমেই এই সুখবর যেন ক্রিকেট মহলে আলাদাই এক এনার্জি এনেছে। রীতিকা কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

বাবা হওয়ার খবরে স্বভাবত তার টেস্ট জয়ের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আর এই খবর ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পরেছে। মেলবোর্নে টেস্ট জয়ের দিন রীতিকার তুতো বোন তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে রীতিকার কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরটি জানান।

এই খবর ছড়িয়ে পরতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় উঠে যায়। ইন্ডিয়া টিমে কোহলি এবং তার সব টিমমেটরা এই খবর পেয়ে খুবই আনন্দিত। সোশ্যাল মিডিয়াতে পার্সনাল জীবন সম্বন্ধে বেশী কিছু বলতে কোনদিনই পছন্দ করেন না রোহিত শর্মা। তার পারিবারিক জীবনের টানাপরনকে তিনি কখনই সামনে আসতে দেননি।

তবে তার বউ যে প্রেগনেন্ট সেই কথাটি তিনি প্রথম মাইকেল ক্লার্ক কে এক সাক্ষাৎকারে জানান। হিটম্যান আরও বলেন, “বাবা হওয়ার মুহুর্তের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমার জীবন বদলে দেবে ঐ মুহুর্তটা”।

রোহিত শর্মা একজন প্লেয়ার হিসেবে আসাধারন। তার অবদান ভারতীয় দলে অনবদ্য। সতীর্থরা মজা করে তাকে ভুলোমনা বলে ডাকেন। কিন্তু তার এই ভুলোমনা থাকার দিন যে শেষ হতে চলেছে তা সে নিজেই স্বীকার করেছেন।

ওপেনিং প্লেয়ার হিসেবে তিনি ম্যাচের ভবিষ্যত কিছুটা হলেও তৈরি করেন। তার ঝুলিতে টেস্ট ম্যাচে দ্বি-শত রানের রেকর্ড আছে। তিনি তার ফ্যামিলি লাইফ নিয়ে সচরাচর আলোচনা করেন না। তার টুইটার, ফেসবুক অথবা ইন্সটাগ্রাম কোথাও তাকে অতিরিক্ত ছবি আপলোড করতে দেখা যায়না।

তার সন্তান যে আসতে চলেছে সেই খবর প্রথমে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে দেননি হিটম্যান। তার  ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এতটাই বেশি যে তিনি এই সময়েও তার ১০০ শতাংশ দিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে তাদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী ছীল।

মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে মূল্যবান অর্ধশত রান। এরপর টেস্ট জয়ের দিন বাবা হওয়ার খবরে আপ্লুত হয়ে দেশে ফিরেছেন রোহিত। নতুন বছরে স্ত্রী ও সন্তানের সাথে সময় কাটাতে তিনি বেশী আগ্রহি। আর থাকবেনাই বা কেন, তাদের ঘরে যে এক ক্ষুদে সদ্যসের আবির্ভাব ঘটেছে।

টয়লেটে আমরা যেসব ভুল কাজ করে থাকি ! সতর্ক হউন নাহলে হতে পারে মারাত্বক বিপদ…

ছবি : সংগৃহীত

মানব দেহের কার্যকারীতা অনুযায়ী আমাদের শরীরের সব বর্জ্য নির্গত হয় প্রস্রাব ও মলের দ্বারা। অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ ভিতরে থাকলে শরীরের ক্ষতি হয়। যেহেতু সেগুলি বর্জ্য সেহেতু সেগুলি ক্ষতিকারক ও দূষণ ছড়ায়। তাই আমরা যেখানে সেখানে মল মূত্র ত্যাগ না করে কোন নির্দিস্ট স্থানে সেটি করি। কারন এগুলি থেকে বাহিত জীবাণু সকলের নানা রকম ক্ষতিসাধন করে থাকে।

আমরা জীবাণু থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য টয়লেট ও বাথরুম ব্যবহার করি ঠিকই, কিন্তু আমরা সেখানেও কিছু ভুল করে থাকি যার পরিণতি হয় ভয়ঙ্কর। আসুন তাহলে জেনে নেই কি সেই ভুল গুলো, আর সাবধান হয়ে যাই সেই সেই ভুলগুলো থেকে।

১। আমাদের দিনের প্রথম শুরু হয় দাঁত ব্রাশ করে, অনেকে টুথব্রাশ ব্যবহারের পর বাথরুমেই রেখে দেয়। ভিজে ব্রাশ বাথরুমে রেখে দিলে তা সহজে শুকনো হতে চায় না। আর সেখানে জন্ম নেয় জীবাণু। আর সেই ব্রাশ পরের দিন মুখে প্রবেশ করালে জীবাণুও মুখে প্রবেশ করে। তাই ব্রাশ কোন শুকনো যায়গায় রাখাই ভালো।

২। নিজের মেকাপের জিনিস বাথরুমে নিয়ে যাওয়া বা রাখা একদম উচিৎ নয়। কারন বাথরুমে থাকা জীবাণু মেকাপ সামগ্রীতে খুব সহজেই প্রবেশ করে। আর সেই মেকাপ যখন ত্বকে ব্যবহার করা হয় জীবাণু লোমকুপের দ্বারা শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে।

৩। যারা যারা গোসলের সময় শরীর পরিষ্কার এর জন্য ছোট জাল জাতীয় জিনিস ব্যবহার করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, তাদের ব্যবহৃত ভিজে জাল জাতীয় জিনিস বাথরুমে রেখে দেওয়া একদম ঠিক নয়। কারন ভিজে জিনিসে ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্ম নেয়। তাই গোসলের পর জাল জাতীয় জিনিস ভালো করে রোদে শুকিয়ে তবে পুনরায় ব্যবহার করা উচিৎ।

৪। এই একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তোয়ালের ক্ষেত্রে। তোয়ালে কখনো বাথরুমে টাঙ্গিয়ে রাখা উচিৎ নয়। বাথরুমের সমস্ত জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া এসে জমা হয় তোয়ালেতে। আর আপনি যখন সেই তোয়ালে ব্যবহার করবেন সেই জীবাণু প্রবেশ করবে আপনার শরীরে।

৫। অনেকে মোবাইল নিয়ে বাথরুমে অনেক সময় কাটান। এই কাজটি খুব ভুল কাজ। মোবাইল বাথরুমে অনেকক্ষণ থাকায় তাতে অনেক জীবাণু প্রবেশ করে। আর তারপর সেই মোবাইল নিয়ে কানে দিয়ে কথা বলার সময় জীবাণু প্রবেশ করে কানে ভিতরে।

৬। অনেকে কমোডে ফ্ল্যাশ করার পর কমোডের ঢাকনা না দিয়েই বেড়িয়ে আসেন। এর ফলে জীবাণু ছড়িয়ে পরে। কমোড থেকে জীবাণু প্রায় ৬ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে। তাই সকলের উচিৎ কমোডের ঢাকনা বন্ধ করে দেওয়া। তাহলে আর জীবাণু চারিদিকে ছড়াবে না।

৭। গোসলের জন্য সাবান সকলের বাথরুমেই থাকে। আমরা গোসলের সময় ঐ সাবান ব্যবহার করি। কিন্তু কেউ সাবানের উপরের ভাগ পরিস্কার করিনা। সাবানের উপরে জমা হতে থাকে অনেক জীবাণু। তাই ব্যবহারের আগে সাবান ধুয়ে নেওয়াই ভালো।

জেনেনিন রসুন খাওয়ার উপকারিতা

ছবি : সংগৃহীত

সকল মানুষের কাছেই সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়াটা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। সকালে খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়, যেটা অন্য খাবারের সাথে রান্না করা অবস্থায় খেলে এত উপকার হয় না। এটি শুধু বিভিন্ন ধরণের রোগ দূরই করে না, পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। চলুন জেনে নেই খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে : অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পান। শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে : অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক : গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করে থাকে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে থাকে। তখন রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে থাকেন। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না।

যক্ষ্মা প্রতিরোধক করতে সক্ষম: আপনার যদি যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে থাকে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুনকে  কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা করবে।

অন্ত্রের জন্য রসুন ভাল ফল দেয়: খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে থাকে।

এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় থাকে যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম হয়। অনেক সময় স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

শ্বসন : রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সক্ষম। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।

রসুনে সতর্কবার্তা : যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। এছাড়া যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল হবে।