Friday, March 8, 2019

খ্রিস্টান ব্যবসায়ী আড়াই কোটি টাকায় তৈরি মসজিদ মুসলিম কর্মীদের উপহার দিলেন

ছবি: সংগৃহীত

আড়াই কোটি টাকায় তৈরি মসজিদ- কর্মীদের একটা মসজিদ উপহার দিলেন দক্ষিণ ভারতের কায়ামকুলামে জন্ম নেওয়া সাজি চেরিয়ান। তার অধীনে কাজ করা মুসলিম কর্মীদের মসজিদ উপহার দিলেন নিজে একজন খ্রিস্টান হয়েও। ৪৯ বছর বয়সী সাজি চেরিয়ানের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে কয়েকশ মুসলিম শ্রমিক। ওই মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে মারিয়াম উম্মে ঈসা।

চেরিয়ান লক্ষ্য করেন ট্যাক্সি চেপে কাছাকাছি মসজিদে যেতে হয় কর্মীদের। প্রতি শুক্রবারের জুম্মার নামাজের জন্য তাদের খরচ হয় ২০ সৌদি মুদ্রা। তা দেখেই মসজিদ তৈরির কথা মাথায় আসে তার। তাই কর্মীরা যেখানে থাকে, তার পাশেই তৈরি করা হয়েছে মসজিদ। ২০০৩ সালে চেরিয়ান ভারত থেকে আরব আমিরাতে এসেছিলেন আড়াইশ দিরহাম সম্বল করে।

আর আজ তিনি প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে তৈরি ওই মসজিদ উপহার দিলেন কর্মীদের। আমিরাতের একটি শ্রমিক আবাসের মালিক তিনি। যেখানে ফুজাইরাহ শহরের প্রায় ৫৩ টি কোম্পানির শ্রমিকরা বসবাস করে। আল হায়াল শিল্প এলাকায় ইস্ট ভিলা রিয়েল এস্টেট কমপ্লেক্সের পাশেই তৈরি হওয়া এই মসজিদে একসাথে অন্তত ২৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আর মসজিদের ঘেরা বাগানে নামাজ পড়তে পারবে আরো ৭০০ জন। বছর খানেক আগে মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হয়। চলতি মাসে মসজিদ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। চেরিবান বলেন, ‘আমি একজন খ্রিস্টান হয়েও মসজিদ তৈরি করেছি জেনে খুশি প্রশাসন। মসজিদে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’

সূত্র : বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

২০৭০ সালের মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্ম হবে ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত
২০৭০ সালের মধ্যে ইসলাম হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্ম। ইসলাম ধর্ম এমন একটি ধর্ম যা বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির থেকেও দ্রুত গতিতে এই ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৫০ বছর পর বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর থেকে অনেক বেশি হবে।বিশ্বখ্যাত সমীক্ষা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম হলেও ২০৭০ সালের মধ্যে ইসলামই হবে বৃহত্তম ধর্ম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ছিল ২২০ কোটি। এটা তখনকার মোট জনসংখ্যা ৬৯০ কোটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এ সময় মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৬০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩ ভাগ।মুসলমানদের মধ্যে জন্মহার বৃদ্ধির কারণে ২০৫০ সালে খ্রিস্টান ও মুসলমান জনসংখ্যা হবে প্রায় সমান সমান। এরপর ২০৭০ সালে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে মুসলমানদের সংখ্যা।প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইউরোপসহ বিশ্বের বহু অঞ্চলে আগামী বছরগুলোতে দ্রুত ইসলাম ধর্মের অনুসারীর লোকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১০ থেকে ২০৫ এই ৩০ বছরের মধ্যে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়বে ৭৩ শতাংশ, যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন। অন্য দিকে, খ্রিষ্টান জনসংখ্যা বাড়বে ৩৫ শতাংশ। একই সময়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর জনসংখ্যা অল্প হলেও বাড়বে। আগামী ২০ বছরে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে শীর্ষে যাবে মুসলমানরা! আগামী ২০ বছরে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে শীর্ষে যাবে মুসলমানরা!

আগামী ২০ বছরে- বর্তমানে সারা বিশ্বে যেকোনও সম্প্রদায়ের থেকে খ্রিস্টান শিশুর জন্মই বেশি দেন মায়েরা। তবে আগামী ২০ বছরে চিত্রটা পাল্টাতে চলেছে। মুসলিম মায়েদের প্রসব করা সন্তানের সংখ্যা বেশ খানিকটা বাড়তে চলেছে। মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।

এই সংস্থার গণনা বলছে, ‘এখন থেকে ২০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে খ্রিস্টানদের থেকে মুসলিম শিশু জন্মের সংখ্যা বাড়তে চলেছে।’ এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে ও আগামী কয়েক বছরে বিশ্বের মোট মৃত্যুর মধ্যে বেশিরভাগই হয়েছে বা হতে চলেছে খ্রিস্টানদের। কারণ তাদের জনসংখ্যায় তুলনামূলকভাবে বার্ধক্যের পরিমাণই বেশি।উল্টোদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা সেই তুলনায় অনেক বেশি নবীন এবং তুলনামূলকভাবে তাদের ফার্টিলিটি রেটও বেশি। পিউ রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০৩০-৩৫ সালের মধ্যে খ্রিস্টান শিশুর (২২৪ মিলিয়ন) থেকে মুসলিম শিশু (২২৫ মিলিয়ন) বেশি জন্মাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও মোট খ্রিস্টান জনসংখ্যা সর্বাধিকই থাকবে।’ ২০১৫ সালে এই মার্কিন সংস্থার প্রোজেকশন ছিল, আগামী এক দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা ধর্মীয় দল হবে মুসলিমরা।পিউ-এর তরফে বলা হয়, এই দাবি যে সঠিক হতে চলেছে তার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই মিলেছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা ইন্দোনেশিয়ায়।

সূত্র : বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

‘ছেলের চেয়ে বাপ মজার’

ছবি: সংগৃহীত
অমিতাভ বচ্চন যেন এক পৌঢ় তরুণ। বলিউডের যেকোনো বয়সী নায়িকার বাসনা, অমিতাভ যদি তাঁর নায়ক হতেন, অন্তত পর্দায়! তাপসী পান্নুও সেই দলে। তবে তাপসী জানেন, বিতর্কিত কোনো গল্পেও সেই চেষ্টা করা যাবে না। অমিতাভের সঙ্গে রোমান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করা বা তাঁর নায়িকা হওয়া অযৌক্তিক এক ভাবনা। তাই আপাতত ভিন্ন মোড়কে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেই খুশি থাকতে হলো বলিউডের এই নতুন অভিনয়শিল্পীকে।

বদলা’ নামের নতুন একটি ছবি করেছেন অমিতাভ বচ্চন। শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে অমিতাভ বচ্চন ও তাপসী পান্নুকে। ‘পিঙ্ক’ ছবির পর আবারও এই কিংবদন্তির সঙ্গে কাজের সুযোগ পেলেন তাপসী। সেটাও কি কম রোমাঞ্চকর? এ নিয়ে তাপসী বললেন, ‘যেবার তাঁর সঙ্গে “পিঙ্ক”-এ অভিনয় করলাম, আমি তো ভয়েই অস্থির। অথচ দ্রুত সব ভয়ডর সরিয়ে কাজে নামতে হয়েছিল। আমার বয়সী কাউকে তাঁর নায়িকা হিসেবে কখনোই দেখা যাবে না, এমনকি বিতর্কিত কোনো গল্পেও না। তবু যে সুযোগটা পাওয়া গেছে, সেটাও কম নয়।’

তাপসী মনে করেন, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো কাজের সুযোগ এক বিরাট উপহার। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি খুব নির্ভার বোধ করেছি। “পিঙ্ক”-এর সময় বুঝেছিলাম, মানুষ হিসেবে তিনি দারুণ মজার। এবার তো মনে হলো, তিনি বন্ধু হয়ে ফিরেছেন।

সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, অমিতাভ ও তাঁর ছেলে অভিষেক বচ্চন, দুজনের সঙ্গেই কাজ করেছেন তাপসী পান্নু। ‘মনমর্জিয়া’ ছবিতে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছিল তাঁর। নিজে থেকেই তাপসী স্বীকার করেছেন, ‘ছেলের চেয়ে বাপের সঙ্গে কাজ করেই বেশি মজা পেয়েছি।’

অমিতাভ বচ্চনের নায়িকা হয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চান না তাপসী পান্নু। বরং সহজ পথে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছেন তিনি। নিজের ক্যারিয়ার তৈরির কাজটি বেশ ভালোভাবেই করতে পেয়েছেন তাপসী পান্নু। অন্তত নিজে তিনি সেটা বিশ্বাস করেন। শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরীর প্রযোজনা সংস্থা থেকে কাল শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘বদলা’।

তথ্যসূত্র: ডেকান ক্রনিকল