Friday, January 25, 2019

পুরুষের প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ কী কী

ছবি: সংগৃহীত 

পুরুষের প্রস্টেট ক্যান্সার একটি প্রাণঘাতী রোগ। তবে প্রথমে ধরা পড়লে প্রাণে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু, সচেতনতার অভাবে অনেকেই বুঝতে পারে না যে, এই মারণরোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। সুতরাং সময় থাকতে থাকতে কীভাবে সচেতন হবেন, জানাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা. সোরোস রাইস বাহরামি।

কথায় আছে, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর’। অর্থাৎ রোগ হওয়ার আগে তা প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। ৫০ বছর বয়সের পর পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। সুতরাং, ৫০ বছর পার হলেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি আপনার পরিবারে প্রস্টেট ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে, তা হলে তো অতিরিক্ত সতর্ক হতেই হবে! ৫০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর নিয়ম করে প্রস্টেট পরীক্ষা করান। তা ছাড়া, রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। দেখতে হবে রক্তে পিএসএ (প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন) কতটা আছে। পিএসএ-র মাত্রাই বলে দেবে আপনার ক্যান্সারের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে করাতে হবে ডিজিটাল রেক্টাল পরীক্ষা। প্রস্টেটে কোনও রকম স্ফীতি দেখা গেলে দেরি না করে বায়োপ্সি করাতে হবে। এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। ফলে, ভবিষ্যতে ক্যান্সার হতে পারে বোঝা গেলে বা একদম গোড়ায় ধরা পড়লে ভয় থাকে না।

একদম শুরুর দিকে প্রস্টেট ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। যখন রোগটি অ্যাডভান্সড স্টেজে চলে যায়, তখন একে একে লক্ষণ প্রকট হতে শুরু করে। তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, প্রস্রাব কিংবা বীর্যের সঙ্গে রক্ত, মূত্রনালিতে কিছু আটকে আছে বোধ হওয়া ইত্যাদি প্রস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ। অ্যাডভান্সড স্টেজে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যন্ত্রণা তলপেট থেকে গোটা কোমরে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে চিকিৎসা হল চিরাচরিত কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি। এ ছাড়াও আজকাল ক্রায়োসার্জারির মতো উন্নত চিকিৎসা বেরিয়েছে। এই পদ্ধতিতে খুব কম তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ক্যান্সারের কোষগুলিকে ঠান্ডায় জমিয়ে দিয়ে মেরে ফেলা হয়। এ ছাড়া রয়েছে হরমোন থেরাপি এবং আলট্রাসাউন্ড থেরাপি। এই দুই পদ্ধতিতে যথাক্রমে হরমোন এবং নির্দিষ্ট মাত্রায় শব্দতরঙ্গ প্রয়োগে ক্যান্সারের কোষগুলিকে ধ্বংস করা হয়। এই সব চিকিৎসা পদ্ধতিতে কাজ না হলে অস্ত্রোপচার করাই একমাত্র পথ।

ক্রেডিট কার্ড নেয়ার পর যে কাজগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

ছবি: সংগৃহীত 

অনলাইন ও অফলাইনে কেনাকাটা করার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে । ক্রেডিট কার্ড  “প্লাস্টিক মানি” হিসেবেও পরিচিত। ক্রেডিট কার্ড হলো পোস্ট পেইড- আগে ব্যবহার, পরে টাকা জমা। নতুন ক্রেডিট কার্ড তুলে কীভাবে ব্যবহার শুরু করবেন সে ব্যাপারে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন। আপনি যাতে এরকম কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেজন্যই এই টিপস।
নতুন ক্রেডিট কার্ড নেয়ার পর যা যা অবশ্যই করবেন তা এখানে দেখুন।

১. কার্ডটি এক্টিভেট করুন
 ক্রেডিট কার্ড যাই হোক না কেন, হাতে পাওয়ার পর পরই এটি ব্যবহারের উপযুক্ত হয়না। কার্ড ইস্যু করার পর এটি সিস্টেমে চালু হতে ১ থেকে ৩ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে। কার্ড একটিভ হলে আপনি মোবাইলে এসএমএস কিংবা ইমেইল পেতে পারেন।

তবে সবচেয়ে ভাল হয়, যদি আপনি ক্রেডিট কার্ড সেবাদাতার হেল্প লাইনে ফোন করে এক্টিভেশন সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেন। মোট কথা, কার্ডটি শুরুতেই এক্টিভেট করে নিতে হবে।

২. পিন নাম্বার সংগ্রহ করুন
এটিএম বুথ এবং দোকানে POS (পয়েন্ট অব সেল) এর মাধ্যমে কেনাকাটার জন্য ক্রেডিট কার্ডের পিন নাম্বার দরকার হবে। এটা সাধারণত চার সংখ্যার হয়ে থাকে। এই পিন নাম্বার গোপনীয়, যা কারো সাথে কখনোই শেয়ার করা ঠিক হবে না।

কার্ডের প্যাকেটের মধ্যে ভাঁজ করা কাগজে পিন নাম্বার প্রিন্ট করা থাকতে পারে। যদি না থাকে, তাহলে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর দেয়া থাকবে যেখানে ফোন করে পিন নাম্বার সংগ্ৰহ করতে হবে।

৩. খরচ ও শর্তসমূহ জানুন
 ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ওপর বিভিন্ন শর্ত ও চার্জ প্রযোজ্য হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার কার্ডটি যদি “মাস্টারকার্ড” নেটওয়ার্কের হয়ে থাকে, তাহলে “মাস্টারকার্ড” চিহ্নিত এটিএম বুথ কিংবা POS অথবা ওয়েবসাইটে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। যদি “ভিসা” নেটওয়ার্কের হয়, তাহলে ভিসা চিহ্নিত বুথ/পস ও সাইটে এটি ব্যবহার করা যাবে। তাই এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
এছাড়া প্রতিবার বা প্রতিদিন সর্বোচ্চ কী পরিমাণ ট্র্যানজেকশন করা যাবে তাও জেনে নিন। ক্রেডিট কার্ডের মাসিক ট্রানজকেশন লিমিট খেয়াল রাখুন। অন্যথায় বিল পরিশোধ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে পারেন।

৪. প্রয়োজনে পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট করিয়ে নিন
আপনি যদি বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া কার্ড দিয়ে দেশের বাইরের কোনো ওয়েবসাইট কিংবা এটিএম বুথ/POS এ লেনদেন করতে চান, তাহলে আপনার পাসপোর্টে এই কার্ডের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ এন্ডোর্স করিয়ে নিতে হবে। এটা রাষ্ট্রীয় নিয়ম।

পাসপোর্ট না থাকলে এই এন্ডোর্সমেন্ট ও এ ধরনের লেনদেন আপনি করতে পারবেন না। আপনার পাসপোর্ট নিয়ে ক্রেডিট কার্ড সেবাদাতা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সেখানে এই এন্ডোর্সমেন্ট করাতে পারবেন। সাধারণত ১ বছরের জন্য এন্ডোর্সমেন্ট করানো হয়, তবে এটা অটোরিনিউ করারও সুযোগ আছে। সর্বোচ্চ কত ডলার এন্ডোর্স করানো যাবে, তারও একটা সীমা আছে, যা ব্যাংকে গেলেই জানতে পারবেন।

৫. একাউন্টের তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করুন
ক্রেডিট কার্ড নেয়ার সময় আপনার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যেসব তথ্য সরবরাহ করেছেন তার একটি অনুলিপি (কপি) নিজের কাছে নিরাপদে সংরক্ষণ করুন। যদি কোনোদিন কার্ড হারিয়ে যায়, কিংবা অন্য কোনো কারণে কার্ড নতুনভাবে তুলতে হয় (রিপ্লেসমেন্ট) তখন প্রাথমিক তথ্যগুলো আবার দরকার হবে।

৬. অফারগুলো জেনে রাখুন
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পে করলে ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। এছাড়া অনেক ক্রেডিট কার্ড আছে যেগুলো দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রানজেকশন করলে কার্ডের বার্ষিক ফি মওকুফ হয়ে যায়। এসব অফার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। কার্ডের হেল্পলাইন এবং সেবাদাতার ওয়েবসাইটে এই তথ্যগুলো পাবেন।

৭. কার্ডের গোপনীয়তা নিশ্চিত করুন
অনলাইন ট্রানজেকশন করার জন্য কার্ডের এটিএম/POS পিন নম্বর দরকার হয়না। কার্ডের গায়ে যেসব তথ্য প্রিন্ট করা থাকে সেগুলোই যথেষ্ট, যেমন- কার্ড নম্বর, মালিকের নাম, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ এবং সিকিউরিটি নম্বর (সিভিসি নম্বর হিসেবেও পরিচিত)। সুতরাং আপনার কার্ড বিশ্বস্ত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো হাতে দেবেন না।

৮. অনলাইন একাউন্ট
আপনার কার্ড সেবাদাতা যদি অনলাইনে ব্যালেন্স, ট্রানজেকশন ও স্টেটমেন্ট দেখার সুযোগ দেয়, তাহলে তাতে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। এতে করে আপনি যেকোনো সময় আপনার কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

৯. প্রথম পেমেন্ট
অনলাইন পেমেন্ট যত সহজ আবার ততই কঠিন। অনেক সাইট আছে যেগুলো হুট করে একটা কার্ড দিলেই নিয়ে নেয়না। যেমন ফেসবুক ও ডিজিটাল ওশানের কথাই ধরুন। তারা অনেক সময় কার্ড মালিকের আরও কিছু তথ্য জানতে চায়। প্রিপেইড কার্ডের ক্ষেত্রে এরকম হতে দেখেছি। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে এ ধরণের ঝামেলা একটু কম।প্রথমবার পেমেন্টের আগে আপনার কার্ডের হেল্পলাইনে কল করে জেনে নিন যে এটি এখন পেমেন্ট করার জন্য উপযোগী কিনা।

বিদেশি সাইট হলে হেল্পলাইনে জিজ্ঞেস করুন যে কার্ডে পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট কার্যকর আছে কিনা এবং এভেইলেবল ডলার আপনার একাউন্টে আছে কিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে পেমেন্ট পেইজে সকল তথ্য ঠিকভাবে যাচাই করে পে করুন।
বড় বড় সাইট, যেমন ফেসবুক এড এর ক্ষেত্রে একবার কোনো কার্ডের তথ্য ভুল হলে ফেসবুক পরেরবার ওই কার্ডের সঠিক তথ্যও আর বিশ্বাস করতে চায়না। সুতরাং খুব সাবধান!

১০. কার্ড কোথায় ব্যবহার করছেন?
 ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে এর তথ্যের নিরাপত্তা। দুর্বৃত্তরা চাইলে আপনার কার্ডের তথ্য চুরি করে পরে আপনার একাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। তাই বিশ্বস্ত সাইট/POS ছাড়া বেনামী কোনো জায়গায় কার্ড দিয়ে পেমেন্ট না করাই ভাল। এ ব্যাপারে সচেতন হোন।

ধন্যবাদ

সড়ক পথে কি ভাবে দার্জিলিং যেতে হবে জেনেনিন

ছবি: সংগৃহীত

ব্যস্ত জীবনে ছুটি কাটাতে যদি দার্জিলিং যেতে চান তাহলে আপনার উচিত হবে আগে থেকেই ভ্রমণের প্ররিকল্পনা করে নেয়া উচিত। কারণ আগে থেকে পরিকল্পনা না করা থাকলে ওখানে যেয়ে আপনার সময়, টাকা, পরিশ্রম সবই নষ্ট হতে পারে। তাই আসুন জেনে নেই দার্জিলিং বেড়াতে গেলে কোথায় কোথায় যাবেন। কোথায় থাকবেন। কোন পথে যাবেন। আজ আমরা জানাবো সড়ক পথে দার্জিলিং যেতে চাইলে কোন নিয়ম মেনে চললে আপনার জন্য বেশি সুবিধা জনক হবে।

রাতে ঢাকা থেকে শ্যামলী বাসে যাত্রা করে ভোরে বুড়িমারি সীমান্তে। নাস্তা আর ইমিগ্রেশনের সহ সব প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০/১১টা বেজে যাবে। ওপারে চ্যাংড়াবান্দায় ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সেরে শ্যামলীর বাসে শিলিগুড়ি। টাকা বা ডলার সরকার অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে রুপিতে পরিবর্তন করুন। অন্যথায় পরবর্তীতে ভাঙাতে সমস্যা হতে পারে।

চ্যাংড়াবান্দা থেকে ময়নাগুড়ির বাসে দেড় ঘণ্টার মত লাগবে শিলিগুড়ি জিপ স্টেশনে যেতে। সেখান থেকে দার্জিলিংগামী টাটা সুমো বা কমান্ডার জিপের টিকিট সংগ্রহ করে আড়াই ঘণ্টার মত লাগবে দার্জিলিং যেতে। কলকাতা শিয়ালদহ রেল স্টেশন থেকে সন্ধ্যায়  ৭টা ১৫ মিনিটে দার্জিলিং মেল। টিকিট নেবেন বিদেশী ট্যুরিস্টদের জন্য নির্ধারিত কাউন্টার কলকাতার ফেয়ারলি প্যালেস থেকে। পরদিন সকাল ১০টায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। এখান থেকে রিক্সায় শিলিগুড়ি জিপ স্টেশনে যাবেন। কলকাতা থেকে বিকাল ৪টা বা সন্ধ্যা ৬/৭ টায় দিকে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন ছেড়ে, সকালে পৌঁছায়। সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে।

দার্জিলিংয়ে কোথায় থাকবেন:
দার্জিলিং শহরে সব মানের হোটেল আছে। কোন ধরণের জামেলায় পড়তে না চাইলে দালাল এড়িয়ে নিজেই হোটেল ঠিক করুন। তবে ঠিক করার আগে জেনে নিন গরম পানি আর রুম হিটারের ব্যবস্থা আর বেড়ানোর জন্য জিপসহ তাৎক্ষণিক সেবা সম্পর্কে।

দার্জিলিংয়ে খাবার-দাবার:
হোটেলে বাঙালি খাবারসহ সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা আছে এখানে। এছাড়া ভোরবেলায় চা এবং রাতের খাবারের আগে দার্জিলিং এর চা এর
ব্যবস্থা থাকে।

কোথায় বেড়াবেন:
. পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে স্টেশন ঘুম।

. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,০০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে অপূর্ব সূর্যোদয় দেখা যায়।

. খুব ভোরে ৮ হাজার ৩ শত ফুট উঁচু টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় চূড়ায় সূর্যোদয়ের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।

. পৃথিবীর বিখ্যাত প্রার্থনা স্থান ঘুম মোনাস্ট্রি।

. ছবির মতো সুন্দর স্মৃতিসৌধ বাতাসিয়া লুপ।

. বিলুপ্ত হওয়া প্রাণী পাহাড়ি বাঘ স্নো লিউপার্ড খ্যাত দার্জিলিং চিড়িয়াখানা।

. পাহাড়ে অভিযান শিক্ষাকেন্দ্র হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট। সর্বপ্রথম এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং-রক- এর স্মৃতিস্তম্ব আছে এই ইনস্টিটিউটে।

. কেবল কারে চড়ে ১৬ কিলোমিটার এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ভ্রমণ।

. হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেনে পৃথিবী খ্যাত ব্ল্যাক টি পানের অপূর্ব অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে এখানে।

. যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থী কেন্দ্র তিব্বতিয়ান সেলফ হেলপ সেন্টার।

. প্রায় ৮’শ ফুট উঁচুতে দার্জিলিং গোরখা স্টেডিয়াম।

. নেপালি জাতির স্বাক্ষর বহনকারী দার্জিলিং মিউজিয়াম।

. পৃথিবীর বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার জাপানিজ টেম্পল আছে এখানে, ব্রিটিশ আমলের সরকারি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কাউন্সিল হাউস লাল কুঠির অসাধারণ শৈল্পিক নিদর্শন খ্যাত আভা আর্ট গ্যালারিও আছে দার্জিলিং এ।

. শতবর্ষের প্রাচীন মন্দির দিরদাহাম টেম্পল।

. পাথর কেটে তৈরি রক গার্ডেন এবং গঙ্গামায়া পার্ক সৌন্দর্য বিমোহিত করে পর্যটকদের।

হিমালয় কন্যা কাঞ্চন-জংঘা, পানির অবিরাম ঝরনাধারা ভিক্টোরিয়া ফলস্ এবং সুসভ্য জাতির সংস্কৃতি।

দার্জিলিংয়ে কেনাকাটা: দার্জিলিং শহরের লাডেন-লা রোডের মার্কেটে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে শীতের পোশাক, হাতমোজা, কানটুপি, মাফলার, সোয়েটারসহ লেদার জ্যাকেট, নেপালি শাল এবং শাড়ি, অ্যান্টিক্স ও গিফট আইটেম, লেদার সু, সানগ্লাস। প্রতারিত হওয়ার শংকা নেই। তবে ভ্রাম্যমাণ ফেরি থেকে শাল, শাড়ি না কেনাই ভাল হবে। যেতে বা আসতে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট থেকেও কেনাকাটা করা যায়  কিছুই।

দার্জিলিংয়ে ভ্রমণের সময়: শীতের শুরু বা শেষের দিকে দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য উত্তম সময়। দার্জিলিংয়ে পাহাড় ধসে পরে বর্ষা মৌসুমে। শীত বা গরমে সে ঝুঁকি নেই বললেই চলে। ঠাণ্ডার এড়াতে গরম কাপড় নেয়া জরুরি। হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে চলাফেরা করলে দালাল বা হারিয়ে যাওয়ার শংকা থাকবে না।

দার্জিলিংয়ে বেড়ানোর মোট খরচ: ঢাকা থেকে দার্জিলিং থাকা, খাওয়া, যাতায়াত বাবদ প্রতিজনে সর্বোচ্চ খরচ ১৫ হাজার টাকা মতো লাগবে।  বুড়িমারি দিয়ে খরচ কম হবে। কলকাতার হয়ে গেলে খরচটা একট বাড়বে।

ফেইসবুক সিকিউরিটি ও সুরক্ষার জন্য যা করতে হবে ব্যবহারকারীদের।

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। আর সেই তালিকায় প্রথমেই আছে মার্ক জুগারবার্কের ফেইসবুক । তবে অনেকেই ফেইসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়েছেন। বিভিন্ন কারণেই ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড চলে যেতে পারে অন্যের নিয়ন্ত্রণে। তবে আর দেরি না তরে চলুন জেনে নেই ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে-

একাউন্ট ফিশিং:


এই প্রক্রিয়ায় হ্যাকার আপনাকে বিভিন্নভাবে লিংক পাঠাবে। হতে পারে ফেসবুক ম্যাসেজে কিংবা আপনার ইমেইলে। অবিকল ফেসবুক থেকে আসা নোটিফিকেশনের মতই লিংক আসে। ব্যবহারকারীরা বুঝতেই পারেন না আসলে এসব ফেইসবুকের না। একে বলা হয় ফিশার ওয়েব। অবিকল দেখতে একটি ওয়েবসাইটের মতো হলেও আসলে তা নয়। ফলে যদি ফেইসবুক ভেবে লগ ইন করেন তাহলেই আইডি খোয়া যাবে আপনার।

ওয়েবসাইটের শেয়ার বাটন:


কিছু ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে শেয়ার বাটন ক্লিক করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে ছবি শেয়ার করতে সেখানে যে অপশন থাকে সেখানে ক্লিক করলেও অনেক সময় আপনার একাউন্ট ও পাসওয়ার্ড হ্যাক হতে পারে।

ফেইক ফ্রেন্ড:


অনেক সময় দেখা যায় হ্যাকার ছদ্মবেশে আপনার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলে। আপনার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আপনাকে ইনবক্সে লিংক পাঠায়। এসব লিংকে না বুঝে ক্লিক করলেই আপনার গোপন পাসওয়ার্ড এবং ইমেইল হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।

সাইবার ক্যাফেতে লগ ইন:


অনেকে শুধু মোবাইলেই ফেসবুক চালাতে অভ্যস্ত। মাঝেমধ্যে কম্পিউটারে বসেন কেবল বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে। এসব ক্ষেত্রে যারা পাবলিক কম্পিউটার যেমন- সাইবার ক্যাফেতে যান, অনেক সময় তারা একাউন্ট লগ আউট করতে ভুলে যান। অথবা অনেকেই লগ ইন করার সময়ে খেয়াল করেন না রিমেম্বার পাসওয়ার্ড দেয়া রয়েছে। এভাবে আপনার অজান্তে অন্য কেউ আপনার একাউন্ট এ প্রবেশ করে হ্যাক করে নিতে পারে।

ফেইসবুক অ্যাপ:


ফেসবুকে নানা অ্যাপ রয়েছে। এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় সাবধান থাকা উচিত। অনেকেই এসব অ্যাপকে নিজের ইমেল একাউন্ট পাসওয়ার্ডসহ নানান তথ্য দিয়ে দেন। যা অনেক ক্ষেত্রেই এরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থার কাছে বিক্রি করে। এভাবে ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের একাউন্ট হারাতে পারেন।