Tuesday, March 12, 2019

১৯ বছরের মধ্যে তামিম-সাদমান প্রথম এই নজির গড়লেন

ছবি: সংগৃহীত
ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর তৃতীয় দিনে শুরু হয় খেলা। ওপেনিংয়ে তামিম-সাদমান পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়লেও প্রথম ইনিংসে ২১১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’—দিনটি কেমন যাবে, তা সকাল দেখলে বোঝা যায়। অর্থাৎ সকালটা ভালো হলে দিনটা ভালো যাবে বলেই ধরে নেওয়া হয়। ওয়েলিংটন টেস্টে বাংলাদেশ দলের জন্য কথাটি খাটছে না। দুই ওপেনার কী দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন! কিন্তু ১১৯ থেকে ১৩৪—এই ১৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোয় দুর্দান্ত শুরু করেও খুব একটা লাভ হয়নি। অবশ্য তামিম-সাদমান যখন ব্যাট করছিলেন, তখন কে জানত, মিডল অর্ডারে ছোটখাটো মড়ক লাগবে! দুই ওপেনারের ব্যাটিং দেখে মনে হতেই পারে নিউজিল্যান্ড সফর তাঁদের দুজনেরই বিশেষ পছন্দের।

বৃষ্টিতে ভেসে গেছে টেস্টের প্রথম দুই দিন। পাঁচ দিনের টেস্ট তাই পরিণত হয়েছে তিন দিনের ম্যাচে। টানা দুই দিন ঢেকে রাখায় উইকেট একটু নরম হয়ে পড়াই স্বাভাবিক। বাউন্সও অসমান হওয়ার কথা। যার মানে, ব্যাটিং করা সহজ হবে না। আজ তৃতীয় দিনে নিউজিল্যান্ড টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে পড়তে তাই দেরি করেনি। লক্ষ্য পরিষ্কার। প্রতিপক্ষকে যত দ্রুত সম্ভব গুটিয়ে দাও। কিন্তু তামিম-সাদমান যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, তাঁদের কিছুটা হলেও হতাশ হতে হয়েছে। বেশি না, ৭৫ রানের জুটি গড়েছেন দুই ওপেনার। তাতে ছিল ধারাবাহিকতার প্রতিচ্ছবি। এবার নিউজিল্যান্ড সফরে এ নিয়ে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়লেন তামিম-সাদমান।

নিউজিল্যান্ড এমনিতেই প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য বেশ কঠিন জায়গা। এক দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া আর কোনো দলেরই ব্যাটিং গড় পঁয়ত্রিশের ওপাশে যেতে পারেনি নিউজিল্যান্ডে। আর ওপেনারদের ক্ষেত্রে অসুবিধা তো আরও বেশি। শীতল বাতাস আর মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে নতুন বলের গতি আর সুইং সামলানোর পরীক্ষা দিতে হয়। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভারত, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলোর ওপেনিং জুটির ব্যাটিং গড় চৌত্রিশের নিচে। তামিম-সাদমান সে তুলনায় ভালোই করেছেন। তাতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গত ১৯ বছরের মধ্যে সফরকারি দলগুলোর ওপেনারদের মধ্যে তাঁরা একটি জায়গায় ছাপিয়ে গেছেন সবাইকে!

২০০০ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সফরকারি দলের কোনো ওপেনিং জুটিই টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান তুলতে পারেনি। তামিম-সাদমান গত ১৯ বছরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডে সফরকারি দলের প্রথম ওপেনিং জুটি হিসেবে এই নজির গড়লেন। হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৫৭ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৮ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজন। তাঁদের আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টানা তিন ইনিংসে সফরকারি দলের হয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েছিলেন হার্শেল গিবস ও গ্যারি কারস্টেন।

টেস্টে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির কাছ থেকে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি সবশেষ দেখা গেছে ২০১৭ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার মিলে ১১৮, ৬৭ ও ৯৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। আজ ওয়েলিংটনে তামিম-সাদমান ভালো শুরুর পরও কিন্তু বাংলাদেশের শেষটা ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে ২১১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

সূত্র : বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

সালমান খানের শরীরে বাসা বেঁধেছে কঠিন রোগ!

ছবি: সংগৃহীত
বলিউডের সুলতান নামে খ্যাত সালমান খানের এক ভয়ংকর রোগ হয়েছে। তিনি নিজেই তার এই রোগের কথা স্বীকার করেছেন। এর জন্য রীতিমত টেনশনেও রয়েছেন তিনি। সালমান বলেছেন যে, যন্ত্রণায় মাঝে মাঝে আমার নিজেরই পাগল পাগল লাগে, একটা সময়ে এমন অবস্থা হয়েছিল তখন আমারও আত্মহত্যা করার ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্তু সেই চিন্তা মন থেকে সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলে আমি আরও পরিশ্রম বাড়িয়ে দিই।

২০০১ সালে প্রথম এই রোগের কথা বলেন সালমান। তিনি বলেছেন, তার কণ্ঠস্বরে একটা ফ্যাঁসফ্যাঁসে ভাব রয়েছে। তিনি যে নেশা করেন বলে এটা হয় তাও কিন্তু নয়, যখন রমজান চলে তখন কিন্তু তিনি নেশা করেন না। একমাত্র অসুখের কারণেই আমার গলার স্বর ওরকম হয়ে যায়।

রোগটি আসলে কী জানেন? রোগটির অন্য নাম হল সুইসাইড ডিজিজ। কারণ অনেকে এই রোগ হওয়ার ফলে আত্মহত্যার দিকে ঝোঁকেন। এই রোগে আক্রান্তদের আত্মহত্যার হার সবথেকে বেশি বলেও জানিয়েছেন সালমান খান।

এই রোগটির আসল নাম হল ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া। এটি আসলে স্নায়ুঘটিত একটি রোগ। ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া হল এমন একটি অসুখ যার ফলে মুখে ব্যাথা হয়। এই মুখের ব্যথা অনেক সময়েই প্রায় অসহ্য রকমের আকার নেয়।

খাবার খাওয়া, এমনকি কথা বলা বা দাঁত ব্রাশ করলেও এই মুখের ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই রোগের ফলেই মাঝেমধ্যে মুখে অসহ্য ব্যাথা অনুভব করেন সলমন খান। হঠাৎ হঠাৎই তার মনে হয় তার মুখে কেউ ছুঁচ ফোটাচ্ছে। তিনি বলেছেন কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট এই ব্যাথা থাকে।
সূত্র : বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

আবারও রিয়ালের কোচ জিদান

ছবি: সংগৃহীত
জিদেদিন জিদান আবারও রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হলেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

রিয়াল মাদ্রিদের অফিশিয়াল টুইটার পেজে বলা হয়েছে, রিয়ালের কোচ হচ্ছেন জিদান। কোপা দেল রে, লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ-তিনটি প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যাওয়া রিয়াল আবারও নিজেদের শীর্ষে দেখতে চায় বলেই জিদানকেই ফিরিয়ে আনল।

নয় মাস। মাত্র নয় মাসেই এত কিছু বদলে যায়! এই তো গত ৩১ মে সবাইকে চমকে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। এরপর গুনে গুনে নয় মাস কেটে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদ তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সপ্তাহ ও মৌসুম দেখে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সেই জিদানেরই শরণাপন্ন হলো রিয়াল। এমন ভয়ংকর বিপদে যে দলকে উদ্ধার করার জন্য তাঁর চেয়ে যোগ্য কেউ আর নেই।

কোপা দেল রে, লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ—তিনটি প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে পড়েছে রিয়াল। সেটাও মার্চের প্রথম সপ্তাহেই। এরপরই সান্তিয়াগো সোলারির চাকরি হারানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সোলারির অধীনে গতকাল রিয়াল ভায়াদোলিদের মাঠে গিয়ে ৪-১ গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল। ম্যাচের পর জোড়া গোল করা করিম বেনজেমা সোলারিকেই কোচ হিসেবে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। আর সোলারি নিজেই এ মৌসুমে রিয়ালের দ্বিতীয় কোচ হওয়াতে মনে হয়েছিল, এ যাত্রা বেঁচে যাচ্ছেন এ আর্জেন্টাইন। একই মৌসুমে হুলেন লোপেতেগি ও সোলারি দুজন কোচকে বরখাস্ত করার মতো কাণ্ড হয়তো করবে না রিয়াল—অনেকে এমনটাই ভেবেছিলেন।

স্প্যানিশ টিভি অনুষ্ঠান হুগোনেস জানিয়েছে আজ আলোচনায় বসে রিয়ালের বোর্ড। ক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করা উচিত আলোচনা হয় সেটা নিয়েই। সে মিটিংয়েই জিনেদিন জিদানকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বোর্ড পরিচালকেরা সোলারির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহেই আয়াক্সের কাছে হারের পর জিদানের নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু জিদান নাকি মৌসুমের শেষে দায়িত্ব নিতে রাজি কিন্তু মৌসুমের বাকি অংশের জন্য আর ঝামেলা বাড়াতে চাননি। তবে হুগোনেস আগেই দাবি করে বসে, আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় জিদানকে নতুন কোচ বানানোর ঘোষণা দেবে রিয়াল। আসলে হলো তাই। নয় মাস আগে এমন কিছুর কথা কেউ ভাবতে পেরেছিল। এক সপ্তাহ আগেই-বা কে ভাবতে পেরেছিল। এবার হয়তো রিয়ালকে আবারও সেই রুপে দেখা যাবে।

সূত্র : প্রথম আলো

কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুল ভিপি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী জিএস

ছবি: সংগৃহীত 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিসি) পদে নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে গোলাম রাব্বানী নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অনুসারে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। ডাকসুর ২৫ পদের মধ্যে ২৩টিতেই ছাত্রলীগের প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। সমাজসেবা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী আখতার হোসেন।

ভিপি পদে বিজয়ী নুরুল হক কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে নির্বাচন করেন। অন্যদিকে জিএস পদে নির্বাচিত গোলাম রাব্বানী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।

ঘোষিত ফলাফল অনুসারে ২৫ হাজারের কিছু বেশি ভোট প্রয়োগ হয়েছে। যা মোট ভোটারের ৫৯ শতাংশ। ভিপি পদে নুরুল হক পান ১১ হাজার ৬২ ভোট। এই নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ২৫৫ জন।

এদিকে এই ফলাফল ঘোষণার পরপরই সেখানে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা ভিপি পদে জয়ী নুরুল হকের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। তাঁকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন।

সূত্র : প্রথম আলো