Wednesday, February 13, 2019

নারীরা বিবাহিত পুরুষদের প্রতি দুর্বল হয় কেন?

ছবি: সংগৃহীত

জেনে শুনে অন্যের সংসার ভাঙতে চাননা কেউই। তবে কখনো কখনো পুরো ব্যাপারটা সবার হাতে থাকেনা। কারণ মোহ অতি বিষম বস্তু। একবার কারোর প্রতি চলে গেলে চাইলেও তাকে বাগে আনা যায়না। ফলে শুরু হয় মানসিক অশান্তি এবং জীবনে নেমে আসে নানা অসুবিধা। তাই আগে থেকেই সাবধান হোন এইভাবে:-

আকর্ষণ বা মোহ সহজাত প্রবৃত্তি থেকে আসে। অপরিচিত বা অল্প পরিচিত বা পরিচিত বিবাহিত পুরুষের প্রতি আপনার ভালোলাগা জন্মাতেই পারে। কিন্তু মনের এ আবেগকে মোটেও বেশি পাত্তা দেবেন না। আপনার জন্য কেউ না কেউ আছেন যার দেখা এখনো মেলেনি। তার দেখা পেলেই বর্তমানের ভালোলাগা চলে যাবে।

হতে পারে পুরুষটি একদমই আপনার মনের মতন। কিন্তু ওই মানুষটি আপনার জন্য নন, তিনি অন্য কারোর। কাজেই আপনার একচেটিয়া ভালোবাসায় তার কাছ থেকে আপনি কিছুই পাবেন না। কাজেই যে একা মানুষটি আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন তার কাছ থেকে অন্তত ভালোবাসার প্রতিদান পাবেন আপনি।

বহু মানুষ আছেন যারা বিয়ের পরও আগের জীবনের প্রেম-ভালোবাসা বরাবরের মতোই চালিয়ে যান। এসব ক্ষেত্রে তারা স্ত্রীর কাছে আদর্শ স্বামী সেজে থাকেন, ওদিকে অন্য নারীর কাছে অসুখী বিবাহিত জীবনের নানা গল্প ফেঁদে আপনার দুর্বল মানসিকতার সুযোগ নেবে। কিন্তু দেখবেন, তার প্রতি আপনার ভালোবাসা তাকে বিবাহিত জীবন থেকে ফিরিয়ে আনবে না।

কাজেই এ পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে তার কাজ-কারবার খেয়াল করুন। বরং ভেবে দেখুন, যে নারী এই পুরষটিকে বিয়ে করেছেন, তিনি কতোটা ঠকছেন এবং সৌভাগ্যের বিষয় সেই নারীটি আপনি নন।

আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে তার নানা প্রেমময় মেসেজ, খুনসুটি, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া বা গিফট করা ইত্যাদি কাজে দুর্বল হবেন না। এসবে গুরুত্ব দিয়ে তার সুযোগ আরো বেড়ে যাবে। ভেবে দেখুন, আপনার পছন্দের বিবাহিত পুরুষটি এমন এক মানুষ যে কিনা তার স্ত্রীর সঙ্গে অনবরত প্রতারণা করে যাচ্ছে। ওই পুরুষ যদি ব্যক্তিত্ববান হন, তবে দেখবেন তিনি আপনার এই আচরণের প্রতিবাদ করছেন না এবং তিনি সরে যাবেন। কিন্তু যদি না করেন, তবে বুঝবেন আপনাকে তার শিকার বানানোর প্রক্রিয়া চলছে।

মনে রাখবেন যে মানুষ একজনের হতে পারেনা সে কারোরই হতে পারেনা। সুতরাং যে নিজের বউএর সাথে প্রতারণা করছে সে যে আপনার সাথে একই কাজ করবেনা এর গ্যারান্টি কেউ দিতে পারেনা।

বিবাহিত কোনো পুরুষের প্রতি প্রেম জন্মানোটা অপরাধ নয়। তার ওষুধ আপনাকে ওপরের টিপসগুলোতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি এমন হয় যে, একের পর এক বিবাহিত পুরুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন আপনি, তবে নিজেকে নিয়ে চিন্তার বিষয় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্জনে নিজের বিবেকের সঙ্গে কথা বলুন।

এমন কেনো হয় আপনার? দুই একাকী নর-নারী পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্বশীলতা এবং সততা নিয়ে জুটি গড়ে। আপনি কী এই দায়িত্বশীলতা এবং সততার ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে চান? তাই বিবাহিত পুরুষকেই নিরাপদ মনে হয়? যদি এমনই হয়, তবে নিজেকে নিজের কাছে পরিষ্কার করে নেওয়াটা জরুরি।

সত্‍, দায়িত্বশীল এবং অঙ্গীকারবদ্ধ সম্পর্ক আপনাকে সেই আবেগ-অনুভূতি দিবে যার জন্য আপনি সম্পর্কে জড়ান।

শারীরিক মিলনে উত্তেজনার চারটি ধারা

ছবি: সংগৃহীত

স্বামী  ও  স্ত্রী  যখন দৈহিক মিলনে উপনিত হয়, তখন উভয়ের শরীরে দৈহিক উত্তেজনা চলে আসে । নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এই উত্তেজনার চারটি ধারা হলো-

১. উত্তেজনার ধারা।
২. শারীরিক মিলনের ধারা।
৩. চরমপুলকের ধারা।
৪. শিথিলতার ধারা।

উত্তেজনার স্তরে পুরুষ এবং নারী একে অন্যের স্পর্শে বা আদরে উত্তেজিত হতে পারে। উত্তেজনার ধারাটি ধারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক মিলন আনন্দ পাবার ক্ষেত্রে। যদি কেউ শারীরিক মিলনের আগে পূর্ণাঙ্গ উত্তেজিত না হয় তবে শারীরিক মিলনে  চরমপুলক সে পুরোপুরি পায় না। এজন্য উত্তেজিত হবার দরকার আছে। নারীর সাধারণত পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে শারীরিক মিলন পছন্দ করে। কেননা এই সময়ে শরীর অবসন্ন থাকে এবং নারীর স্তন শারীরিক মিলনকাতর হয়ে উঠতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারী উভয়ের শারীরিক মিলনের উত্তেজনার মাত্রা বাড়তে থাকলে এক সময় উভয়েই চূড়ান্ত মিলন আশা করে।

নারীর নিতম্ব, স্তন, স্তনবৃন্ত এবং যৌনাঙ্গ  মিলনের আনন্দে উত্তেজিত হয়ে উঠে। এই পর্যায়ে পুরুষের লিঙ্গ দৃঢ় হয় এবং লিঙ্গ শারীরিক মিলনের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠে। জেনে রাখা ভালো যে কোনো কোনো নারী শারীরিক মিলনের আগে উত্তেজনার স্তরেই তার শারীরিক মিলনি থেকে তরলের ক্ষরণ হতে পারে। এটা নারী যে উত্তেজিত তার প্রমাণ এবং এটি শারীরিক মিলনিকে পিচ্ছিল করে তোলে, যাতে করে লিঙ্গ চালনা সহজ হয়।

পুরুষের লিঙ্গের মাথাতেও এই সময় সাদাটে পানির মতো পদার্থ বের হতে দেখা যায়। এ থেকে বোঝা যায় যে পুরুষ শারীরিক মিলনের উত্তেজনার চরমে উঠেছে এবং এ পর্যায়ে পুরুষও নারী চূড়ন্ত শারীরিক মিলনের জন্য প্রস্তুত পুরুষের লিঙ্গ নারীর যৌনাঙ্গের  ভেতর চালনার ফলে নারীর শারীরিক মিলন আনন্দ ঘনিভূত হয় এবং এই পর্যায়ে পুরুষের র্বীযপাত হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পুরুষ মোটামুটি ভাবে নারীর যৌনাঙ্গে  অর্থাৎ প্রবেশের পর থেকেই শারীরিক মিলন আনন্দ পায়।

প্রথম প্রথম শারীরিক মিলনের সময় নারীর গোপনাঙ্গে ব্যথার সৃষ্টি হলেও পরে অবশ্য তা এমনিতেই কেটে যেতে পারে। শারীরিক মিলন যখন চলতে থাকে তখন উভয়েরই শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা চূড়ান্ত উত্তেজিত পর্যায়ে পোঁছে যায়। এই সময়ে নারীর এবং পুরুষের শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত এবং রক্ত চলাচলের গতি বেড়ে যায়। এরপর চরমপুলকের ধারায় পুরুষ এবং নারী শারীরিক মিলন আনন্দ পায়। পুরুষের মতো নারীর বীর্যপাত না হলেও তার জননাঙ্গর ভেতরে তরলের ক্ষরণ হয়। পুরুষের বীর্যপাত ঘটলে তার চরমপুলক এসে যায়। কোনো কোনো নারী একবার শারীরিক মিলনেই কয়েকবার শারীরিক মিলন আনন্দ লাভ করে। একে মাল্টিপোল অর্গাজম বলে।

কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটতে দেখা যায়  কম। পুরুষের বীর্যপাত হলে তার লিঙ্গ শিথিল হয়ে পড়ে এবং নারীর জননাঙ্গ ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে উঠতে থাকে। এই পর্যায়ে শিথিল ধারায় আবির্ভাব ঘটে। অর্থাৎ পুরুষ এবং নারী উভয়ের দেহই শিখিল হয়ে পড়ে। কেননা শারীরিক মিলনের সময় যে শারীরিক এবং মানসিক গতির সঞ্জার হয় তা ধীরে ধীরে কমে আসে এবং সেই সাথে হৃদপিন্ডের ক্রিয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি স্বাভাবিক হয়।

চরমপুলকের পরে পুরুষ এবং নারীর দৈহিক শিখিলতা অবস্থা শারীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক কারণেই সংঘটিত হয়। পুরুষ এবং নারী শিথিল অবস্থার পরবর্তী সময়ে আবার শারীরিক মিলনের জন্য উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে । নারীর ক্ষেত্রে শারীরিক মিলনের আনন্দ কোনো কোনো সময় খুব বেশি কাঙিত আবার কোনো কোনো সময় ততোটা কাঙিত হয় না। পুরুষের ক্ষেত্রে অবশ্য কোনো শারীরিক এবং মানসিক চাপ না থাকলে পুরুষের শারীরিক মিলন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।