Saturday, March 16, 2019

রাজনীতিতে মিমি-নুসরাত

ছবি: সংগৃহীত 
রাজনীতির সাথে শোবিজের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। এবার ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও দেখা যাচ্ছে শোবিজ তারকাদের সরব উপস্থিতি। তবে সবচেয়ে বড় চমক দেখালেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী!

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এমন ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের পার্টির নেত্রী মমতা। সেখানে প্রার্থী হিসেবে নাম আছে টলিউডের এই মুহূর্তে জনপ্রিয় দুই নায়িকা নুসরাত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী।

টলিগঞ্জের এই দুই গ্ল্যামার কন্যা এবার লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিবেন। আসন্ন লোকসভা নিবার্চনে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। আর তাতেই ঠাঁই পেয়েছেন এই দুই নায়িকা। যাদবপুর থেকে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। অন্যদিকে বসিরহাট থেকে প্রার্থী হচ্ছেন নুসরাত জাহান।

এর আগে বশিরহাট থেকে নির্বাচণ করেছে ইদ্রিশ আলি। সেখানে এবার তার জনপ্রিয়তা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেকারণেই সেখানে তারকা চমক দিতে নুসরাত জাহানকে প্রার্থী করেছে দলটি। এছাড়াও যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম জিতেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে গতবারের প্রার্থী ছিলেন সুগত বসু। পেশাগত ব্যস্ততার কারণেই তিনি এবার দাঁড়াতে পারছেন না বলে সেখানে প্রার্থী হলেন মিমি।

এ বছরও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে থাকছেন গতবারের প্রার্থী অভিনেতা দেব। কেন্দ্র বদল হয়েছে মুনমুন সেনের। বাঁকুড়ার পরিবর্তে এবার তিনি আসানসোল কেন্দ্র থেকে লড়বেন। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে এ বছর উমা সোরেনের পরবর্তে প্রার্থী হলেন জনপ্রিয় আদিবাসী নায়িকা বীর বাহা সোরেন।

মমতার চমক মিমি-নুসরাত, বাদ সন্ধ্যা-তাপস : লোকসভার প্রার্থী তালিকায় কমবে তারকা, বাড়বে রাজনৈতিক মুখের সংখ্যা— তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত মিলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সে পূর্বাভাস খানিকটা মিলল। তৃণমূলের যে প্রার্থী তালিকা মঙ্গলবার ঘোষিত হল, তা থেকে স্পষ্ট যে, অন্তত দুই তারকা সাংসদের উপরে এ বার আর ভরসা রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক তারকাকে জেতা আসন থেকে পাঠিয়ে দিয়েছেন হারা কেন্দ্রে। তবে তারকা-তালিকায় সবচেয়ে বড় চমক মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরাত জাহান।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বসিরহাটের বিদায়ী সাংসদ ইদ্রিস আলিকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বসিরহাট মূলত গ্রামীণ এলাকা। সংখ্যালঘু প্রধানও। গ্রামীণ এলাকায় সেলিব্রিটি প্রার্থীদের ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয় অপেক্ষাকৃত বেশি। তার পাশাপাশি নুসরাত সংখ্যালঘু মুখও। ফলে বসিরহাটে নুসরাতের আশু সাফল্য নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

তবে নুসরাত জাহানের চেয়েও বড় চমক মিমি চক্রবর্তী। নুসরাত যে প্রার্থী হতে পারেন, সে জল্পনা রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। কিন্তু মিমি চক্রবর্তীর নাম সে ভাবে আলোচনায় আসেনি। যাদবপুরের মতো আসনে সেই মিমিকে প্রার্থী করে বেশ চমকে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের গুরুত্ব ঐতিহাসিক ভাবেই বেশি তৃণমূলের কাছে। ১৯৮৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বার সাংসদ হয়েছিলেন এই যাদবপুর থেকেই। তখন অবশ্য তিনি কংগ্রেসে। কিন্তু তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালেই যাদবপুর তৃণমূলের কৃষ্ণা বসুর দখলে গিয়েছিল। ১৯৯৯ সালেও তাই। ২০০৪ সালে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর কাছে হারেন কৃষ্ণা। তবে ২০০৯ সালে ফের তৃণমূলের কবীর সুমন এবং ২০১৪ সালে তৃণমূলেরই সুগত বসু যাদবপুর থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন। মিমির মতো তরুণ এবং প্রায় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কোনও মুখ সেই যাদবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন, এমনটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।

মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায় এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল যে বাদ পড়বেন, সে জল্পনা আগে থেকেই ছিল। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে সন্ধ্যা রায়কে পাশে নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, তাঁকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না এবং দল তাঁকে অন্য রকম কাজে লাগাবে। আর তাপস পাল শারীরিক কারণে টিকিট পেলেন না বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

মুনমুন সেনের উপরে কি ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এ প্রশ্ন নিয়ে নানা মত তৃণমূলের অন্দরেই। বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ মুনমুন সেন এ বার আর টিকিট পাচ্ছেন না বলে জল্পনা বেশ কিছু দিন ধরেই ছিল। নিজের কেন্দ্রে গত পাঁচ বছরে মুনমুন সেন ঠিক কতটা সময় দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কোনো কোনো মহলের। শেষ পর্যন্ত বাঁকুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হল রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। তবে মুনমুন প্রার্থী তালিকা থেকে বাদও পড়লেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে টক্কর নেওয়ার জন্য মুনমুনকে পাঠিয়ে দেওয়া হল আসানসোলে।

ঘাটাল, হাওড়া, বীরভূম এবং বালুরঘাট কেন্দ্রের সেলিব্রিটি সাংসদরা অবশ্য নেত্রীর আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। ঘাটালে দেব, হাওড়ায় প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূমে শতাব্দী রায় এবং বালুরঘাটে অর্পিতা ঘোষ এ বারও টিকিট পেলেন।

সব মিলিয়ে তৃণমূলের এ বারের প্রার্থী তালিকায় তারকা বা সেলিব্রিটি মুখের সংখ্যা ৭। গত বার কিন্তু সংখ্যাটা অন্তত ১০ ছিল। সে বার বহরমপুরে প্রার্থী করা হয়েছিল গায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে, উত্তর মালদহে প্রার্থী করা হয়েছিল আর এক গায়ক সৌমিত্র রায়কে। আর দার্জিলিঙে প্রার্থী ছিলেন ফুটবলার ভাইচুং ভুটিয়া। এ বার ওই সব আসনে রাজনৈতিক মুখের উপরেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে এককালে অধীরের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিডকে। কান্দি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হওয়া বিধায়ক ডেভিড এখন রয়েছেন তৃণমূলে। উত্তর মালদহে বিদায়ী সাংসদ মৌসম নূর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আগেই। সেখানে মৌসমই তৃণমূলের প্রার্থী হলেন। আর দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী করা হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার টিকিটে দার্জিলিং শহরের সংসদ সদস্য হওয়া অমর সিংহ রাইকে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

কে এ হামলাকারী কেন এই হামলা

ছবি: সংগৃহীত: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী শেতাঙ্গ বর্ণবাদী ব্রেনটন টেরেন্ট

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী একজন কট্টর শেতাঙ্গ বর্ণবাদী। তার নাম ব্রেনটন টেরেন্ট। ২৮ বছর বয়সী এ সন্ত্রাসী মুসলমান ও অভিবাসী বিদ্বেষী। তার মতে, মুসলমানরা ইউরোপের দেশগুলো দখল করে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে এবং ইউরোপে ইসলামপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সে এ হামলা চালিয়েছে।


শুক্রবার হামলার আগে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ৭৩ পৃষ্ঠার কথিত মেনিফেস্টো (ঘটনার কারণ) প্রকাশ করে ব্রেনটন। এতে সে মুসলমানদের দাস, সন্ত্রাসী ও দখলদার হিসেবে উল্লেখ করে।

অভিবাসী ও মুসলমানদের প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করে সে বলে, ইউরোপ থেকে অভিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করে ‘মাতৃভূমি’ পুনরুদ্ধার করা তার লক্ষ্য। অন্য ধর্ম থেকে মুসলমানে পরিণত হওয়াকে সে রক্তের সঙ্গে বেইমানি বলে উল্লেখ করে।

ব্রেনটন লিখেছে, আমাদের ভূখণ্ড কখনোই অনুপ্রবেশকারীদের ভূখণ্ড হবে না। আমাদের মাতৃভূমি আমাদের এবং যতদিন পর্যন্ত শ্বেতাঙ্গরা জীবিত থাকবে, ততদিন তারা আমাদের ভূখণ্ড দখল করতে পারবে না। তারা কখনোই আমাদের লোকদের জায়গা দখল করতে পারবে না।

সে বলে, সংজ্ঞায়িত করলে এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। কিন্তু দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি একটি পক্ষপাতমূলক হামলা বলেই আমি মনে করি।

হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, হামলাকারী মৌলবাদী, কট্টর ডানপন্থী ও সহিংস সন্ত্রাসী ছিল। সে অস্ট্রেলিয়ায় হাজতবাসেও ছিল। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অপরাধসংক্রান্ত পুরনো রেকর্ড আছে। তার বাড়ি গ্রাফটন শহরে।

এ ভয়াবহ হামলা চালানোর জন্য ২ বছর ধরে পরিকল্পনা করছিল জানিয়ে ব্রেনটন আরও বলে, ৩ মাস আগেই সে ক্রাইস্টচার্চে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়।

ব্রেনটন টেরেন্ট তার কথিত মেনিফেস্টোতে নিজেকে একজন ‘সাধারণ শ্বেতাঙ্গ’ বলে উল্লেখ করে। সে লিখেছে, ২০১৭ সালে সুইডেনের স্টকহোমে সন্ত্রাসী হামলায় ১১ বছর বয়সী শিশু এব্বা অকারলান্ডের নিহত হওয়ার ঘটনার শোধ নিতে এ হামলাটি চালানো হয়েছে।

তার ভাষ্য, ‘স্টকহোমের ওই ঘটনাটিই আমাকে প্রথম এ ধরনের হামলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, বিশেষ করে ওই ১১ বছর বয়সী মেয়েটির মৃত্যু। এব্বার মৃত্যু হয়েছে ‘দখলদার’দের হাতে... আমি এ ধরনের হামলা এড়িয়ে যেতে পারি না।’

সে আরও লেখে, এটি ঐতিহাসিকভাবে ইউরোপের ভূমিতে বিদেশি ‘দখলদার’দের কারণে শত শত মানুষের মৃত্যুর পাল্টা প্রতিশোধ।

মেনিফেস্টোতে ব্রেনটন টেরেন্ট আরও বলে, ২০১১ সালে নরওয়ের অসলোতে ৭৭ জনকে হত্যাকারী আন্ডারস ব্রেইভিকের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সে এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।

এছাড়া সে নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করে। এ হামলার ঘটনায় সে ট্রাম্পের উগ্র সমর্থক ক্যানডিস ওউনসের কাছ থেকেও অনুপ্রাণিত হয়েছে।

ব্রেনটন তার টুইটার অ্যাকাউন্টের হেডার ফটো হিসেবে যে ছবি দিয়েছে, সেখানে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের নিসে শহরে বাস্তিল ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত একজনের ছবি দেখা যায়। সেদিন জনতার ওপর ট্রাক চালিয়ে দেয়ার ঘটনায় ৮৪ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।

নিউজিল্যান্ডে মাত্র ১ শতাংশ মুসলমান। তারপরও কেন এ দেশটিকে হামলার জন্য বেছে নেয় ব্রেনটন- এর কারণ হিসেবে সে লিখেছে, দেশটি ইউরোপের অন্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক দুর্গম। তারপরও এখানে দিন দিন মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে। হামলার মাধ্যমে এ বিষয়ে সে সবাইকে সতর্ক করতে চেয়েছিল। নিজের পারিবারিক অবস্থা ও শৈশবের বেদনা উল্লেখ করে সে লিখেছে, আমি নিুবিত্ত পরিবারে জন্মেছি, বাবা-মা স্কটিশ আইরিশ এবং ইংলিশ ছিল, আমার কোনো নিয়মিত শৈশব ছিল না।

ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে প্রাণঘাতী হামলা চালাতে যখন গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী ব্রেনটন তখন লোক গান ও সামরিক সঙ্গীত শুনছিল। এরপর একটি সরু গলিতে গাড়িটি পার্ক করে রেখে অস্ত্র নিয়ে মসজিদের দিকে এগিয়ে যায় সে।

তার গাড়ি থেকে অন্তত ৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যে অস্ত্র-সরঞ্জাম নিয়ে ব্রেনটন টেরেন্ট ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়েছে সেখানে মুসলিমদের ওপর বিগত সাম্প্রদায়িক হামলার তথ্য তুলে ধরে এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহমূলক বিভিন্ন শব্দ-বাক্য দেখা যায়। হামলায় জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ চারজনকে আটক করলেও ব্রেনটনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

সূত্র : যুগান্তর

অজ্ঞাত নারীর সতর্কবার্তায় বেঁচে গেলেন তামিম-মিরাজরা

ছবি: সংগৃহীত
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু'টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৪৯ জন। এ হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা।

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছে সেন্ট্রাল মসজিদে জুমার নামাজরে সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই মসজিদেই জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা। জানা যায়, অজ্ঞাত এক নারীর কল্যাণে এ হামলা থেকে বেঁচে গেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা।
সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদে ঢোকার আগমুহূর্তে অজ্ঞাত এক নারী এসে তামিমদের সতর্ক করে জানান, মসজিদের ভেতরে গোলাগুলি হচ্ছে, এখন ভেতরে যাওয়া ঠিক হবে না। ওই নারীর সতর্কবার্তা শুনে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা তড়িঘড়ি করে টিম বাসের মধ্যে ঢুকে যায় এবং বাসের মেঝেতে শুয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপদ হবে না ভেবে তামিম-মিরাজরা বাস থেকে বেরিয়ে হাগলি পার্ক দিয়ে চলে যান ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে।

হামলার পর পরই তামিম ইকবাল লিখেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

হামলার বিষয়ে টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, মসজিদ থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে ছিলাম। আমরা খুবই লাকি যে আর ৩-৪ মিনিট আগে গেলেই একটা বড় ধরনের মর্মান্তিক (ম্যাসিভ) ঘটনা ঘটে যেত।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ও শেষ টেস্টকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠে বাংলাদেশ দল অনুশীলন করছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যান।

সূত্র : বিডি-প্রতিদিন