Wednesday, March 13, 2019

মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল কেন সেরা

ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীর উন্নত যেসব হাসপাতালের নাম সুপরিচিত, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ তারমধ্যে অন্যতম। বেশিরভাগ সময় বিশ্বের বিশিষ্ট কোন ব্যক্তির চিকিৎসার সাথে সাথে উঠে আসে এ হাসপাতালের নাম। তাই বিদেশি রোগীর চাপ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালেই বেশি। এর কারণ, এখানে শুধু ভালো চিকিৎসকই নয়, সেরা চিকিৎসা প্রযুক্তি এবং ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করার মতো প্রশিক্ষিত দলও রয়েছে।

পরিচিতি: মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল সংক্ষেপে ‘মাউন্ট ই’ নামে পরিচিত। এটি একটি বেসরকারি হাসপাতাল। সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ৩৪৫ শয্যার এ হাসপাতাল একটি বেসরকারি কোম্পানি ‘পার্কওয়ে হেলথ কোম্পানি’র মালিকানাধীন এবং ওই কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত। তবে ১৯৯৫ সাল থেকে পার্কওয়ে হোল্ডিংস লিমিটেড হাসপাতালটির মালিকানা লাভ করে।

যাত্রা শুরু: ১৯৭৬ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া এ হাসপাতাল প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৯ সালের ৮ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে। চিকিৎসা: এ হাসপাতাল একই সঙ্গে হৃদরোগ, ক্যান্সার, কিডনি ও স্নায়ুজনিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এছাড়াও এ হাসপাতাল একাধিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করার জন্য প্রসিদ্ধ।

বৈশিষ্ট্য: সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথের অর্কার্ড সড়কে অবস্থিত এ হাসপাতাল জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জয়েন্ট কমিশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলাভজনক স্বাস্থ্য সংস্থা) দ্বারা স্বীকৃত। সিঙ্গাপুরের প্রথম কোন বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে এখানেই সর্বপ্রথম ওপেন-হার্ট সার্জারি অস্ত্রোপচার করা হয়। এছাড়া আণবিক ওষুধ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি এবং তা ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ওষুধের দোকান রয়েছে।

রাজকীয় কক্ষ: ব্রুনাইয়ের রাজপরিবার হাসপাতালটিতে একটি রাজকীয় সুইট প্রতিষ্ঠা করেছিল। পরে অবশ্য এ রাজকীয় কক্ষটি অন্য রোগীদের ব্যবহারের জন্যও খুলে দেওয়া হয়। শয্যা ভাড়া: ২০১৬ সালের হিসাব মতে, হাসপাতালটিতে চার শয্যার ওয়ার্ডে একটি শয্যার জন্য প্রতিরাতে ২৭৬ মার্কিন ডলার গুনতে হয়। সম্পূর্ণ নিজস্ব রুমের জন্য প্রতিরাতে খরচ হয় ৬৪০ মার্কিন ডলার।

মেডিকেল সেন্টার: হাসপাতাল সংলগ্ন মাউন্ট এলিজাবেথ মেডিকেল সেন্টার (এমইএমসি) অবস্থিত। এ ক্লিনিকে শুধু ব্যক্তিগত চিকিৎসকের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুর মেডিকেল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চিকিৎসকরাই শুধু এ হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সব মিলিয়ে মোট ৩১টি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ এ হাসপাতালে কর্মরত। স্নায়ুরোগ থেকে শুরু করে হৃদরোগ, দন্তচিকিৎসা, পাকান্ত্রবিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা সেবা দিয়ে থাকেন। রোগীর অবস্থা, ক্লিনিক ও বিশেষজ্ঞভেদে চিকিৎসা খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়।

ভাষা দক্ষতা: সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রোগী ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। হাসপাতালের কর্মীরা ইন্দোনেশীয়, রুশ এবং মাওয় ভাষায় পারদর্শী। বাংলাদেশের যারা সেবা নেন: বাংলাদেশের একাধিক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন সময় এ হাসপাতালের সেবা নিয়েছেন। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান!

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ হাসপাতালে মারা যান। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এ হাসপাতালে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শওকত হোসেন হিরণকে এ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। যদিও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখনো সুস্থ আছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

সূত্র :বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

২০ বছরের নীচে মেয়েকে বিয়ে করার কি সুবিধা জানেন ? জানলে আজই বিয়ে করতে চাইবেন…

ছবি: সংগৃহীত
আমাদের দেশে বহু প্রাচীন কাল থেকেই অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেবার প্রথা প্রচলিত আছে। এমনকি অতিতে ১০-১২ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়েও দিয়ে দেওয়া হতো। এই নিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সহ বহু মনীষী অনেক লড়াই করেছেন।

আজ স্বাধীনতার বহু বছর পরেও যে এই প্রথার খুব একটা উন্নতি হয়েছে তা নয়। এখনও আমাদের দেশের বহু জায়গায় দেখা যায় পুরুষরা অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করতেই বেশী পছন্দ করে। তার বিশেষ কিছু কারণও রয়েছে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলি:

১. আধিপত্ত: সমাজবিজ্ঞানীদের মতে পুরুষেরা সর্বত্র আধিপত্ত বিস্তারে অভ্যস্ত, আর তাদের এই আধিপত্ত বিস্তারের যে চর্চা তা থেকে তাদের পরিবার এবং পরিবারের বাইরের সদস্যরাও বাদ যায় না। আর আমাদের পুরুষশাসিত সমাজে স্ত্রীর উপর স্বামীদের আধিপত্ত বিস্তার অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাই অল্পবয়সী মেয়েদের সাথে বিবাহবন্ধনে আগত হতে তারা বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করে।

২. অস্বস্তিবোধ:পুরুষেরা তাদের সমবয়সী মেয়েদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে অস্বস্তিবোধ করে। পুরুষের সমযোগ্যতা সম্পন্ন নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এই ধারনাই পুরুষকে তার চেয়ে কম বয়সী নারীকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করে।

৩. ২০ তেই বুড়ি:আমাদের দেশে পুরুষদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা লাভ করতে বয়স প্রায় ৩০ এর কোঠায় গিয়ে পৌঁছায়। আর আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারণা যে মেয়েরা ২০ তেই বুড়ি হয়ে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্বামী ও স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান আমাদের সমাজে অনেক বেশি।

৪. ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা:পুরুষদের একটি বর্ধনীয় ধারণা যে তারা যখন বৃদ্ধ হয়ে যাবে তখন তাদের পরিচর্চা করবার মতন কেউ থাকবে না। এমনকি সন্তানেরাও তাদের পরিচর্চা করতে নাও পারে। তাই কমবয়সী স্ত্রী এই সমস্যার সমাধান। তাদের ধারণা স্ত্রীরা তাদের যথাযত পরিচর্চা করতে কখনোই অস্বীকৃতি জানাবে না।

৫. দীর্ঘ ও সুখের যৌন জীবন:সাধারণত ৪০ এর পরে অধিকাংশ নারীদের যৌন আবেদন ধীরে ধীরে স্থিমিত হতে থাকে। কিন্তু পুরুষদের যৌনকাঙ্ক্ষা আরও দীর্ঘ সময় বজায় থাকে। তাই সমবয়সী নারীদের বিবাহে অনেক পুরুষদেরই অনিহা রয়েছে। তাদের ধারণা অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করলে তারা দীর্ঘ ও সুখের যৌন জীবন লাভ করতে পারে।

সূত্র :বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

বাহুবলীর মা এবার পর্নো তারকা!

ছবি: সংগৃহীত
বাহুবলীর মা শিবগামী দেবীর চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন রামাইয়া কৃষ্ণাণ। ‘বাহুবলী’ মুক্তির পর অভিনেতা প্রভাস, অনুশকা শেট্টি, তামান্না ভাটিয়াদের সঙ্গে বারবার উচ্চারিত হয়েছে রামাইয়া কৃষ্ণাণের নামটিও। তবে এবার তামিল ছবি ‘সুপার ডিলাক্স’-এ পর্নো তারকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রামাইয়া কৃষ্ণাণ।

ছবিটির ট্রেলারটি কয়েক দিন আগে অবমুক্ত হয়েছে। থিয়াগারাজান কুমারারাজা পরিচালিত সেই ছবির ট্রেলারটি দারুণ পছন্দ করেছেন দর্শক। রামাইয়া জানিয়েছেন, ‘সুপার ডিল্যাক্স’ ছবিতে অভিনয় করা তাঁর জন্য ছিল একটি অন্য রকম চ্যালেঞ্জ। মজার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে রামাইয়া জানান, একটি বিশেষ দৃশ্যের জন্য নাকি পরিচালক দুই দিন ধরে প্রায় ৩৭ বার শট নিয়েছিলেন। ছবিটি মুক্তি পাবে ২৯ মার্চ।

পরিচালক থিয়াগারাজান ছবি প্রসঙ্গে জানান, রামাইয়া ‘সুপার ডিলাক্স’ ছবির এ চরিত্রটির জন্য যথাযথ নন। শুরুতে এ চরিত্রের জন্য চিন্তা করা হয়েছিল নাদিয়া মোইদুর কথা। পরে নাদিয়াকে বাদ দিয়ে যুক্ত করা হয় রামাইয়াকেই। নিজের সুবিধার জায়গা থেকে বের হয়ে সানন্দেই তিনি চরিত্রটিতে কাজ করতে রাজি হয়ে যান।

এক সাক্ষাৎকারে ছবির বিষয়ে রামাইয়া বলেন, ‘আমি ছবিটিতে এমন চরিত্রে কাজ করছি শুনে আমার ব্যক্তিগত সহকারী ভীষণ অবাক হয়েছিল। আমি মনে করি, অভিনয়শিল্পীরা কিছু চরিত্রে কাজ করে টাকার জন্য, কিছু চরিত্রে জনপ্রিয়তার জন্য আবার কিছু চরিত্রে কাজ করে আবেগে পড়ে। ‘সুপার ডিল্যাক্স’ ছবির চরিত্রটি আমি করেছি আবেগের কারণে।’

প্রসঙ্গত, অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খান্না, শাহরুখ খান, গোবিন্দদের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে রামাইয়া কৃষ্ণাণকে। একই সঙ্গে বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে সমান প্রতাপের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।

সূত্র :বিডি অনলাইন নিউজ ২৪