Wednesday, January 30, 2019

কিডনি সুস্থ রাখতে আট বিষয় আজই জেনে রাখুন

ছবি : সংগৃহীত

দূষিত ও শরীরের জন্য খারাপ পদার্থ ছেঁকে বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে কিডনি। শরীরের পানি ও রক্তের অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামের ভারসাম্যও বজায় রাখে। নিয়ম মাপিক  কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব।

কিডনি সুস্থ রাখার আটটি উপায়---

১. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

২. বিনা কারণে ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়া। বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ করলে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

৩. পরিমিত পরিমাণে (ছয়-আট গ্লাস) পানি পান করুন। কিছুতেই শরীরে পানি কম পড়তে দেওয়া ঠিক নয়। আবার বেশি বেশি পানি খেলে কিডনি ভালো থাকবে, এমন কথা ঠিক নয়। শীতকালে পানির প্রয়োজন কম হলেও গ্রীষ্মে অধিক পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে হবে।

৪. শিশুদের গলাব্যথা, খোস-পাঁচড়া বা স্ক্যাবিস হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। এসব রোগের জটিলতা হিসেবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৫. ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন। কেননা সঠিকভাবে ডায়রিয়ার চিকিৎসা না হলে হঠাৎ কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।

৬. পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করা উচিত।

৭. হাত-পা ফুলে গেলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কেননা এসব সমস্যা কিডনি রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে।

৮. ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপানের কারণে দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কিডনিও আক্রান্ত হতে পারে।

মেসির সমালোচনায় মেসির ছেলে

ছবি : সংগৃহীত

কয়েকটা বছর আগেও মেসির সমালোচকের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। তবে ইদানীং সময়টা তাঁর খুব ভালো গেছে তা বলার সুযোগ নেই। শেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন ২০১৫ইং সালে। শেষ ব্যালন ডি’অর জয়? সেটাও তিন বছর আগের কথা। তবে জয় আর সফলতার জন্য মেসির একাগ্রতা নিয়ে সংশয় নেই কারও। ব্যর্থ হওয়ায় নিজে কষ্ট পান কিন্তু সে বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলা খুব একটা পছন্দ নয় তাঁর। তবে তাঁর আছে এমন একজন সমালোচক, যার সঙ্গে কথা না বলে থাকার কোনো সুযোগ নেই।

সেই বিশিষ্ট সমালোচকটি হলেন মেসির বড় ছেলে থিয়াগো মেসি। আর লিওনেল মেসি জানিয়েছেন এখন নিজের খেলার খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়ে বাবা-ছেলের নিয়মিত আলোচনা হয়,‘আমার বড় ছেলে খুব ভালো ফুটবল বোঝে আর ফুটবল বিষয়ক সবকিছু নিয়ে কথা বলে। আমি ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে কিছু সমালোচনা শুনেছি। বার্সেলোনা, লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ—সবকিছু দেখে সে। যখন সব ঠিকঠাক যায় না, সে আমাকে প্রশ্ন করে, তার মতামত জানায়, এবং এই কাজটা সে বেশ পছন্দ করে।’

মেসির ক্যারিয়ারে আছে এমন সব সাফল্য, সেগুলো বলে শেষ করার মতো নয়। পাঁচবার জিতেছেন ব্যালন ডি অর। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা, চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল সংখ্যায় দুইয়ে, আরও কত সফলতা। কিন্তু এত সবকিছুর পরেও মেসির সবকিছু নিয়ে সন্তুষ্ট নন সমালোচক ছেলে থিয়াগো মেসি। মেসি আগে নিজের সমালোচনা নিয়ে কথা বলতে বিরক্ত হতেন অথচ এখন সেই সুযোগ নেই। কথা যে বলতেই হবে ছেলের সঙ্গে।

এ নিয়ে বিপদে থাকা মেসি বলেন, ‘এটা আগের মতো নেই। হারা ও বাজে খেলার অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন কাজ। কিন্তু থিয়াগো আমাকে জোর করে এবং জানতে চায় কী হয়েছে না হয়েছে এবং কেন আমরা জিততে পারেনি। এখন, আমরা আগের চেয়েও বেশি কথা বলি।’