audience news

Monday, April 15, 2019

জানেন কতদিন পর পর শারীরিক মিলন করা উচিৎ ? বিজ্ঞান কি বলে এই বিষয়ে ?

April 15, 2019
ছবি: সংগৃহীত
প্রাপ্তবয়স্ক যেকোন ছেলে ও মেয়ের যেকোন সময় সহবাসের ইচ্ছা জাগতে পারে। এটা আজকালকার দিনে খুবই কমন একটা ব্যাপার। সেটা দিনের সময় হোক বা রাতের সময়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ভাষা যেটা বলে সেটা আমার আপনার সকলেরই জেনে রাখা উচিৎ। কারন না জেনে না বুঝে এগানো মানেই যখন তখন আপনার জীবনে আসতে পারে ঘোর বিপদ।

সব মানুষেরই তাদের বৈবাহিক জীবন নিয়ে থাকে কিছু আশা কিছু আকাঙ্ক্ষা। মন চায় যে তাদের বৈবাহিক জীবন নিয়ে আসবে সুখের পাহাড়। তাই এসব বিষয়ে জানা না থাকলে পরবর্তী কালে আপনার জীবনেই তৈরি হতে পারে বিভিন্ন সমস্যা।

একটি সুস্থ শারিরিক মিলনের জন্য স্বামী ও স্ত্রী দুজনকেই সুস্থ বা ফিট থাকতে হয়। ফিট থাকলে তারা অনায়েশেই প্রতিদিন সুস্থভাবে সহবাস করতে পারেন। কিন্তু দুজনের মধ্যে একজনের যদি কোন শারিরিক সমস্যা থাকে বা যদি সে আনফিট থাকেন, সেটার কারনে হতে পারে বিভিন্ন শারীরিক ক্ষতি। এফেক্ট পড়তে পারে আপনাদের বাচ্চার ওপরেও। তাই যেকোন দম্পতির ফিট থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

এবার এই ব্যাপারে বিজ্ঞান যেটা বলে সেটা হল যেকোন ২০-৩০ বছর বয়সী কাপেলদের সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার মিলন করা উচিৎ। আর যাদের বয়স ৩০-৪০ তাদের সপ্তাহে ২ বার মিলিত হওয়া উচিৎ। এবার বিভিন্ন লোক এই বিষয়ে বিভিন্ন মত দেয়ে।

সত্যি বলতে মিলিত হওয়ার কোন নিদিষ্ট দিন কাল খন বা কোন সময় হয়না। মিলন যেকোন সময় করা যেতে পারে সেটা দিন হোক বা রাত।

যাদের বয়স ৪০-৫০ বছর তাদের সপ্তাহে ১ বার করে সহবাস করা উচিৎ। আর যাদের বয়স ৫০-৬০ হবে তাদের মাসে ১ বার বা ১৫ দিন অন্তর অন্তর ১ বার মিলিত হওয়া উচিৎ। তাতে আপনার মনও ভালো থাকবে আর শরীরও সব সময় সতেজ থাকবে। কোন রকমের দুর্বলতা থাকবে না।

এটা বিজ্ঞান বলে। আবার যাদের সদ্য বিবাহ করেন তাদের দিনে ২-৩ বার মিলন হয়ে যায়। কিন্তু সময় ও পরিস্থিতির চাপে তাদের মনের মধ্যে এই ইচ্ছেটি আসতে আসতে কমে যেতে থাকে।

কিন্তু বিজ্ঞান এটাও বলে যে সহবাস তখনই করা উচিৎ যখন দুজনেরই মত থাকবে। দুজনের মধ্যে একজনের যদি ইচ্ছে না থাকে সেই ক্ষেত্রে সহবাস না করাই ভালো।

সূত্র : দেশী গুরুজী

Saturday, April 13, 2019

শারীরিক মিলনের নানা সমস্যা

April 13, 2019
ছবি: সংগৃহীত

শারীরিক মিলনের প্রতি নারী এবং পুরুষের আকর্ষণ একেবারে প্রাকৃতিক । নারীর শারীরিক মিলনতা বিষয়ে অনেকেরই ধারণা যে, নারীর শারীরিক মিলন উপলদ্ধি কেবলমাত্র পুরুষের সংস্পর্শে এলেই বিকশিত হয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা । নারী বয়ঃপ্রাপ্তির পর থেকেই শারীরিক মিলনের ব্যাপারে আকাঙিত থাকে।

পুরুষের যেমন একটা সুবিধা আছে যে,শারীরিক মিলনের হাতে খড়ি তার খুব সহজেই করতে পারে,কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে এই ব্যাপাটি সম্ভব হয় না। অধিকাংশ নারী বিয়ের মাধ্যেমে শারীরিক মিলন জীবনে তথা দাম্পত্য জীবনে প্রবেশকরে এবং শারীরিক মিলনের স্বাদ গ্রহণ করে। মানুষ মাত্রই শারীরিক মিলন জীবনের একটা প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই শারীরিক মিলন জীবনের ফলস্বরূপ কেবল মাত্র প্রয়জনের তাগিদে শারীরিক মিলনে  অংশ নেয় না।

মানুষ জগতের আর দশটা প্রাণীর চাইতে আলাদা এবং উন্নত। প্রজনন ছাড়াও শারীরিক মিলনের দ্বারা শারীরিক এবং মানসিক অপার আনন্দ নারীর কাম্য হয়ে উঠে। নারীর শারীরিক মিলন জীবনে একটি অবগুন্টিত ভাব রয়েছে। তার কারণ নারী ধীরে ধীরে উদগ্রীব হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে নারী পুরুষের মতো অতি দ্রুত উত্তেজনায় পৌঁছে যেতে পারে না। বরং নারীর উত্তেজনা আসে ধীরে ধীরে । নারীর শরীরে প্রায় সবটুকু শারীরিক মিলন উদ্দীপক। পুরুষের মতো নারী শুধু গোপনাঙ্গে উত্তেজনা ধরে রাখে না। নারীর ঠোঁট, স্তন, নিতম্ব, তলপেট, স্তনবৃন্ত, উরু ইত্যাদি স্থানে চুমু , মৃদু দংশন এবং সোহাগের দ্বারা নারী উত্তেজিত হয়ে উঠে। একে শারীরিক মিলন ক্রীড়া বলে। শারীরিক মিলনক্রীড়া শারীরিক মিলনের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিয়ের ফলে একজন নারী শারীরিক মিলন জীবনে পদার্পণ করে।

বিয়ে হচ্ছে একটি সমাজিক বন্ধন। একজন পুরুষ এবং একজন নারী একত্রে সহাবস্থানকে বিয়ে বলা হয় । নারী জীবনে বিয়ের প্রথম রাত একটি গুরুত্বপূর্ন ঘটনা। অনেক নারী এই রাতটিকে ভয় পায়। বিষেশ করে যারা ধর্মীয় কুসংস্কার দ্বারা আচ্ছন্ন তারা বিয়ের প্রথম রাতে নানা প্রকার অপ্রীতিকর কর্মকান্ড ঘটাতে পারে। আমাদের এই উপমহাদেশের বিয়ের সময় নানা প্রকার অনুষ্ঠানের আড়ম্বর থাকলেও বিয়ের পরবর্তী শারীরিক মিলন জীবনে নানা প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই জাতীয় সমস্যাগুলো জেনেটিক বা বংশগত হতে পারে। আবার অনেক সময় এর কারণ নিতান্তই শারীরিক হয়ে থাকে। তবে শারীরিক মিলন জীবনে যে কোনো প্রকার সমস্যাই নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ভাবিয়ে তুলতে পারে।

সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ

গ্রেট শারীরিক মিলন লাইফের পাঁচটা মন্ত্র

April 13, 2019
ছবি: সংগৃহীত
বেডরুমের রোমান্সকে আরও রোমাঞ্চকর করতে চান৷ একটা বই আপনাকে এই বিষয়ে ভীষণ ভাবেই সাহায্য করবে৷ লেখক বারবারা এবং এলান পিসের লেখা নতুন বইটাতে আপনার শারীরিক মিলন লাইফকে মধুর করার সব রসদই মজুত রয়েছে৷ চলুন সেই বই অনুসারে পাঁচটা নিয়্ম জেনে নিই৷ যা মেনে চললে আপনার দাম্পত্য জীবনের সুখ আরও বাড়বে৷ এর সঙ্গে যারা বিয়ে করার বিষয়ে ভাবছেন তাদেরও বিবাহিত জীবন মধুর হবে৷

পুরুষদের মধ্যে হাস্যরস বোধ যথার্থ মাত্রায় থাকা উচিত৷ যদি বেডরুমে আপনি আপনার স্ত্রীকে প্রান খুলে হাসাতে পারেন তাহলে স্ত্রীর মন পেতে আপনার বেশী সময় লাগবে না৷

বেশীরভাগ স্মার্ট মহিলারাই প্রেমের ক্ষেত্রে ভুল মানুষটিকে বাঁছেন৷ অনেক গবেষণাতেই এই তথ্য প্রমানিত হয়েছে৷ হৃদয় গঠিত ব্যাপারে তারা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত নেন৷ তাই স্মার্ট মহিলাকে জীবন সঙ্গী হিসাবে বাঁছার আগে তাঁকে একবার যাচাই করে নেবেন৷

মহিলারা সে সব পুরুষদের সঙ্গেই দৈহিক সম্পর্ক গড়তে পছন্দ করেন যারা দেখতে ভীষণই স্মার্ট৷ যারা আকর্ষক পোশাক পড়েন৷ পোশাকের সঙ্গে মানান সই টাই পড়েন৷ হাতে এক্সপেনসিভ ঘড়ি পড়েন৷ সেই সব পুরুষদের প্রতিই মহিলারা বেশী আকৃষ্ট হন৷ তাই প্রেমিকাকে মনের কথাটা জানানোর আগে নিজেকে বদলে ফেলুন৷ আপনার প্রেম কখনও বিফল হবে না৷ অপরদিকে হাবিরাও স্ত্রীর মন পেতে স্মার্ট লুক আনার চেষ্টা করুন৷

লেখকের মতে যে সব পুরুষরা ঘরের কাজকর্ম করেন৷ মহিলারা তাদের বেশী শারীরিক মিলনী বলে মনে করেন৷ তাই বৌ এর মন পেতে মাঝে মধ্যে ঘরের কাজ করুন৷ এতে প্রেম বাড়বে৷

বেশীর ভাগ পুরুষই মনে করেন মহিলারা সব সময় কাজ করতে পারেন না৷ কিন্তু বর্তমান পুরুষদের এই চিন্তাধারা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহিলারা এগিয়ে চলেছেন৷ আজও অনেক পুরুষরা বিয়ের পরে স্ত্রী কে চাকুরী করার অনুমতি দেন না৷ এক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়৷ কিন্তু জীবনকে রঙীন করতে হলে পুরুষদের এই ধারনা বদলাতে হবে৷ নিজের মতের পাশাপাশি স্ত্রীর মতামতকেও প্রাধাণ্য দিতে হবে৷ লেখকের মতে এক্ষেত্রে মহিলাদের আরও দৃঢ় হতে হবে৷

সূত্রঃ ওয়েবদুনিয়া ডট কম

Friday, April 12, 2019

বিশ্বকাপের জন্য ১৬ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড আইসিসির কাছে পাঠালো বিসিবি

April 12, 2019
ছবি: সংগৃহীত
আইসিসির বেধে দেওয়া সময়ের আগে দল ঘোষণার জন্য এরই মধ্যে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ১৬ জনের নাম চূড়ান্ত করে আইসিসির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে বিসিবি। বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আইসিসির বেঁধে দেওয়া শেষ সময় ২৩ এপ্রিলের মধ্যে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে ১৫ জনের চূড়ান্ত খেলোয়াড়ের তালিকা পাঠাতে হবে। তবে ২৩ মের আগে যে কোনো সময় খেলোয়াড় পরিবর্তনের একটা সুযোগ রেখে দিয়েছে আইসিসি। কারণ যে কোনো সময় যে কোনো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়তে পারেন। এই সুযোগ নিতেই তাসকিনসহ ১৬ জনের নাম আইসিসিতে পাঠিয়েছে বিসিবি।

আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা হতে পারে ১৮ এপ্রিল। এরই মধ্যে অবশ্য নিউজিল্যান্ড সবার আগে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। কিউই দলে চমক টম ব্লানডেল। এর আগে কখনোই ওয়ানডে খেলেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তেমনি বাংলাদেশ স্কোয়াডের চমক ইয়াসির আলী রাব্বিরও সেই সুযোগ হয়নি। কিন্তু চট্টগ্রামের এই ছেলের খেলা দেখে মুগ্ধ নির্বাচকপ্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও কোচ স্টিভ রোডস। বিপিএলেই তার খেলা দেখেছেন স্টিভ রোডস।

এবারের বিপিএলে ভালো খেলে পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন ইয়াসির। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে দারুণ কিছু ইনিংস খেলেছিলেন ২৩ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। জাতীয় দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডসও বিপিএলে ইয়াসির আলীর ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। ঢাকা লীগেও ব্যাটিংয়ে ছন্দ দেখাচ্ছেন ব্রাদার্সের মিডল অর্ডার এ ব্যাটসম্যান।

আবাহনীর বিপক্ষে হার না মানা ১০৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। যেখানে ৯৪ প্লাস স্ট্রাইক রেট রেখে ইনিংসটি গড়েছেন। লীগে এ পর্যন্ত আট ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি ৫০ ছোঁয়া ইনিংস আছে তার। প্রতিটি ম্যাচে ৯০ প্লাস স্ট্রাইক রেট ধরে রেখেছেন। কোনো কোনো ম্যাচে দেড়শ’র ওপরে স্ট্রাইক রেটও ছিল। ইয়াসিরের ব্যাটিংয়ের এই দিকটি বেশি ভালো লেগেছে জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলের। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর দৃষ্টিতে, ‘ও খুব সাহসী ব্যাটসম্যান। বল নষ্ট করে কম। অনেক মেরে খেলে। বিপিএলের পর ঢাকা লীগে যেভাবে খেলছে, তাতে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মতো একজন ব্যাটসম্যান সে।’

পেসার শফিউল ইসলামের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে চলে আসাটাও বেশ আলোচনায় এসেছে। ঢাকা লীগে মোহামেডানের হয়ে মোটামুটি ভালো বোলিং করছেন তিনি। গত বিশ্বকাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ এবার হয়তো ভুলতে পারেন শফিউল। ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাসকিনকে। শুধু নেটে বল করতে পারলেই ডানহাতি এ পেসারকে দলে ফেরাবেন না নির্বাচকরা।

ম্যাচ খেলে নিজেকে ফিট প্রমাণ করতে হবে। পাশাপাশি পারফরম্যান্স দিয়েও দৃষ্টি কাড়তে হবে টিম ম্যানেজমেন্টের। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লীগে খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তাসকিন। কারণ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩০ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে তাকে দেখাও যেতে পারে।

পেস বোলিং ইউনিটের বাকি সদস্যরা হলেন- মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ব্যাটিং লাইনআপে নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা সবাই আছেন। তামিম ইকবালের ওপেনিং জুটি লিটন কুমার দাস। বিকল্প ওপেনার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন সৌম্য সরকার। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়।

একমাত্র অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের কাছ থেকে ব্যাটিংটাও পাবে দল। নিউজিল্যান্ডে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপ দলে আগেই জায়গা পাকা করে রেখেছেন সাব্বির রহমান। মিডল অর্ডারে বিকল্প ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়াসির আলীকে রাখা হলেও খেলানো হতে পারে তাকে। আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজেই অভিষেক হতে পারে তার।

নির্বাচক হাবিবুল বাশার এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডকে অভিজ্ঞদের দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগের যে কোনো বিশ্বকাপ স্কোয়াডের চেয়ে এবার অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বেশি। প্রত্যাশাও তাই বেশি থাকবে। বিশ্বকাপ দল বানাতে এর চেয়ে ভালো খেলোয়াড় আর খুঁজে পাওয়া যাবে না হয়তো। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের দৃষ্টিতেও এটাই সেরা দল। যে কারণে বেশ আগেই খেলোয়াড়দের নাম ধরে ধরে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য স্কোয়াড মিডিয়াকে বলেছিলেন তিনি।

১৬ জনের চুড়ান্ত স্কোয়াড: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিথুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সাব্বির রহমান, ইয়াসির আলী রাব্বি, মাশরাফি বিন মুর্তুজা(অধিনায়ক) মোস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম,রুবেল হোসেন।
স্টান্ডবাই- তাসকিন আহমেদ।

সূত্র: দৈনিক সমকাল

Tuesday, March 19, 2019

জ্যাকসন বাদ জাদুঘর থেকেও!

March 19, 2019
ছবি: সংগৃহীত
‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাদুঘর থেকে সরিয়ে ফেলা হলো প্রয়াত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনের স্মৃতিচিহ্ন। শিশুদের যৌন হয়রানির অভিযোগের কারণেই দেশটির ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানাপোলিস চিলড্রেন মিউজিয়াম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের ব্যবহার করা একটি টুপি ও হাতমোজা। সরিয়ে ফেলা জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি পোস্টারও।

টিভি চ্যানেল এইচবিওর তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’-এ মাইকেল জ্যাকসনকে তুলে ধরা হয়েছে একজন শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে। সেখানে বক্তব্য দিয়েছেন শৈশবে পপ তারকার কাছে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া দুই তরুণ। সে কারণেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু জাদুঘরটি মাইকেল জ্যাকসনের স্মৃতিচিহ্ন রাখতে চায়নি বলে জানিয়েছেন জাদুঘরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যমবিষয়ক পরিচালক কিমবারলে হার্মস রবিনসন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি শিশুদের জাদুঘর। আমাদের স্পর্শকাতর দর্শকদের সামনে বিতর্কিত কিছু আমরা রাখতে চাই না।’ কেবল উন্নত চরিত্রের ব্যক্তিদের জিনিসই এই জাদুঘরে রাখা হয় মন্তব্য করে জাদুঘরের আরেক কর্মকর্তা ক্রিস ক্যারন বলেন, ‘আমরা কেবল মহান ব্যক্তিদের স্মৃতিচিহ্নই শিশুদের সামনে তুলে ধরতে চাই।’

২০১৭ সালে নিলাম থেকে মাইকেল জ্যাকসনের টুপি ও হাতমোজা জোড়া কিনেছিল ইন্ডিয়ানাপোলিস জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। জাদুঘরের ‘আমেরিকান পপ’ বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছিল সেগুলো। আশির দশকে রায়ান হোয়াইট নামের এইডস আক্রান্ত এক টিনেজারের সাহায্যার্থে সাড়া দিয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসন। সেই অনুষ্ঠানের পোস্টারটিও জাদুঘর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এইচবিওর তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’-এর প্রভাবে মাইকেল জ্যাকসনকে প্রত্যাহারের এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। তথ্যচিত্রটি প্রচারের পর নিউজিল্যান্ড ও কানাডার একটি রেডিও স্টেশন মাইকেল জ্যাকসনের গান সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। এমনকি কার্টুন সিরিজ ‘দ্য সিম্পসন’-এ মাইকেল জ্যাকসনের পর্বটি বর্জন করার ঘোষণাও দেন সিরিজের প্রযোজক। হাফিংটন পোস্ট

মিথিলার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যা বললেন সৃজিত

March 19, 2019
ছবি: সংগৃহীত
কলকাতার নামী পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে ‘প্রেম ও বিয়ে’র গুঞ্জন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। আসলে বিষয়টি কী? জানা গেছে, দুজনের এই সম্পর্ক নাকি এখন আর শুটিং ফ্লোরে আটকে নেই। মিথিলা কলকাতা শহরে পা রাখার পর থেকে সৃজিত তাঁকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। মিথিলাকে কলকাতা শহর দেখিয়েছেন। পরিচালকের ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, তাঁরা দুজন নাকি আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন।

মিথিলা কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি জানান, তিনি জরুরি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। এরপর সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। শুরুতে জানালেন, তিনি প্রিভিউতে ব্যস্ত। জানতে চান, ‘জরুরি কিছু?’ মিথিলার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই। তিনি বললেন, ‘তেমন কিছুই না। আমরা দুজন খুব ভালো বন্ধু।’ মিথিলা কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।

তিনি জানান, তিনি জরুরি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। এরপর সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। শুরুতে জানালেন, তিনি প্রিভিউতে ব্যস্ত। জানতে চান, ‘জরুরি কিছু?’ মিথিলার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই। তিনি বললেন, ‘তেমন কিছুই না। আমরা দুজন খুব ভালো বন্ধু।’ গায়ক অর্ণবের মামাতো বোন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তাঁর সূত্রেই সৃজিতের সঙ্গে পরিচয়। এরপর সৃজিতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিতব্য অর্ণবের গানের ভিডিওতেও যুক্ত হয়েছেন মিথিলা।

গানটির ভিডিওতে তিনি কী করছেন, তা এখন পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। অর্ণবের গানটির কাজে এত দিন মিথিলাকে কলকাতায় থাকতে হলেও আজ থেকে তিনি ঢাকায়। অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মিথিলার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে সৃজিত মুখার্জি বলেন, ‘টাইমস অব ইন্ডিয়াতে আমিও খবরটা পড়েছি। একটা জল্পনা চলছে, এটুকুই।’ জল্পনা কি বাস্তবে রূপ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে? সৃজিত মুখার্জি বললেন, ‘একদমই না।’ অনেকের সঙ্গে আপনি কাজ করেন।

মিথিলাকে নিয়ে এমন জল্পনার কারণ কী? সৃজিত মুখার্জি বলেন, ‘আমি ২০১০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যে কজন নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশের সঙ্গে এমন জল্পনা হয়েছে। এটাকে আমি পেশাগত বিড়ম্বনা হিসেবে মেনে নিয়েছি। ঐতিহাসিকভাবে দেখলে, এসব জল্পনা অধিকাংশ সময়ই ভিত্তিহীন হয়েছে, আর কিছু সময়ে সঠিক হয়েছে। যেহেতু আমি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু জানি না, তাই ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে বলা মুশকিল।

তবে মিথিলা আমার ভালো বন্ধু, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’ এদিকে কলকাতার শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, আগামী বছরের শুরুর দিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন সৃজিত-মিথিলা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার জানিয়েছে তাদের পরিচয়ের সূত্র। সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে সৃজিত এবং মিথিলার যোগাযোগ হয়। এরপর তাদের মধ্যে যোগাযোগ চলতে থাকে। নিজেদের মাঝে অনেক মিল খুঁজে পাওয়ায় ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দুজনেই আবার কণ্ঠশিল্পী শাহানা বাজপেয়ীর ভালো বন্ধু। সব মিলিয়ে বেশ চর্চার বিষয়ে পরিণত হয়েছে সৃজিত-মিথিলার সম্পর্ক!

সূত্র : বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

Monday, March 18, 2019

৯ মিনিটে ছয় সন্তানের জন্ম!

March 18, 2019
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মাত্র ৯ মিনিটে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। শহরের উইম্যানস হসপিটাল অব টেক্সাসে নবজাতকগুলোর জন্ম হয়। সূত্র ফক্স নিউজ।
দুই জোড়া যমজ অর্থাৎ চারটি ছেলে এবং এক জোড়া যমজ অর্থাৎ দুটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন ওই নারী।

নবজাতকদের ওজন এক পাউন্ড ১২ আউন্স থেকে দুই পাউন্ড ১৪ আউন্স পর্যন্ত। জন্মের পর মা ও শিশুরা সুস্থ আছে। হাসপাতালটির কর্মকর্তারা জানান, নবজাতকদের স্বাস্থ্য স্থিতিশীল রয়েছে। তাদের হাসপাতালের অ্যাডভান্সড নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাদের মাও সুস্থ আছেন।

ভিন্ন 'ভঙ্গি'তে ফিরছেন স্মিথ-ওয়ার্নার!

March 18, 2019
ছবি: সংগৃহীত

কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে দেশের বোর্ডের তরফ থেকে ১২ মাস নিষিদ্ধ হন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। আসছে ২৮ মার্চ তাদের এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তবে ২৩ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেই (আইপিএল) হয়তো তারা জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরু করবেন।

এদিকে, জাতীয় দলে ফিরতে আর তর সইছে না স্মিথ-ওয়ার্নারের। আর ক’দিন পরেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমে পড়বে অস্ট্রেলিয়া। আর এই সিরিজেই ফেরার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।

ইতোমধ্যে দুবাইতে জাতীয় দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দুই তারকা। পরে জানিয়েছেন, দলের অন্য সদস্যরা তাদের সাদরে গ্রহণ করেছেন।
ভিন্ন লুকে ক্যামেরার সামনে আসেন ওয়ার্নার। তাকে দেখা যায় মুখভর্তি দাড়িতে। বলেন, ‘এটা ছিল অসাধারণ, মনে হয়েছে আমরা দল থেকে কখনো সরে যাইনি। ছেলেরা আমাদের দু’হাতে সাদরে গ্রহণ করেছে।’

আগামী ২২ মার্চ শারজায় প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। যেখানে ২৯ ও ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুটি ওয়ানডে খেলবে অজিরা। ফলে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার একদিন পরেই জাতীয় দলের জার্সিতে ফের খেলতে পারেন তারা।


সূত্র :বিডি প্রতিদিন

মেয়েদের যৌনতা নিয়ে চমকে দেওয়া তথ্য

March 18, 2019
ছবি: সংগৃহীত
একজন পুরুষ যদি ভেবে থাকেন, তিনি যখন ইচ্ছে তখনই সঙ্গিনীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন। তাহলে তা এক মহিলার মস্তিষ্ক ও চিন্তা শক্তিকেই খাটো করে দেখা হয়।

বলা যায় অপমানও। সাম্প্রতিক স্টাডি বলছে, সেক্স বা মিলনের বিষয়ে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়েই ভাবেন মহিলারা। ওই সময় তাঁরা শরীরী আদর পেতে চান তীব্র ভাবে।

স্টাডিতে দেখা গেছে, দিনে আঠারো বার একজন মহিলা শরীরী মিলন, যৌনতা নিয়ে ভাবেন। মার্কিন মুলুকে ২৮৩টি কলেজ পড়ুয়াদের উপর সমীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। মূলত ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চালানো ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, এক সপ্তাহে খাদ্য, ঘুম ও সেক্স নিয়ে তারা কতটা ভাবেন।

কখন ভাবেন। দিনে যতবার সেক্স তাদের চিন্তার মধ্যে এসেছে, ততবার একটি খাতায় লিখে রাখতে বলা হয় ওই পড়ুয়াদের।

সমীক্ষার শেষে দেখা গেছে, পুরুষরা দিনে প্রায় ৩৪ বার যৌন চিন্তা করেন। কিন্তু মহিলারা সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে। তারা দিনে প্রায় ১৮ বার যৌন মিলনের চিন্তা করেন। সমীক্ষায় আরও জানা গেছে, বেশির ভাগ মহিলাই সিনেমার কোনও হিরো, প্রাক্তন বয়-ফ্রেন্ড ও কোনও একটি ব্লু-ফিল্মের দৃশ্য কল্পনা করেন মিলনের সময়।

সূত্র : বিডি লেডি

Sunday, March 17, 2019

বিয়ে করলেন ক্রিকেটার সাব্বির রহমান

March 17, 2019
ছবি: সংগৃহীত 
বাজে সময়টা কাটিয়ে ফের সুসময়ে পা রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমান।নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন ইতিমধ্যে। ব্যাটে বলেও মেলাচ্ছেন ভালোই। সম্প্রতি রান পাচ্ছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে ছিলেন এই হার্ডহিটার। তবে সিরিজ শেষের আগেই দেশে ফেরেন তিনি।

দেশে ফিরেই জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন সাব্বির। বিয়েটা সেরে ফেললেন হুট করে একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে।সাব্বিরের স্ত্রীর নাম অর্পা। তিনি উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন বলে জানা গেছে।দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সাব্বির ও অর্পার আকদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।এরই মধ্যে ক্রাইস্টচার্চ ঘটনার পর টেস্ট দলের সদস্যরাও দেশে ফিরেছেন।

বাজে সময়টা কাটিয়ে ফের সুসময়ে পা রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমান।নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন ইতিমধ্যে। ব্যাটে বলেও মেলাচ্ছেন ভালোই। সম্প্রতি রান পাচ্ছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে ছিলেন এই হার্ডহিটার। তবে সিরিজ শেষের আগেই দেশে ফেরেন তিনি।

দেশে ফিরেই জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন সাব্বির। বিয়েটা সেরে ফেললেন হুট করে একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে।সাব্বিরের স্ত্রীর নাম অর্পা। তিনি উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন বলে জানা গেছে।দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সাব্বির ও অর্পার আকদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।এরই মধ্যে ক্রাইস্টচার্চ ঘটনার পর টেস্ট দলের সদস্যরাও দেশে ফিরেছেন।

সূত্র : বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হলের কক্ষে সন্তান প্রসব, ট্র্যাংকে লুকিয়ে হাসপাতালে মা

March 17, 2019
ছবি: সংগৃহীত 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের কক্ষে নবজাতক প্রসব করেছেন এক ছাত্রী। পরে নবজাতকটিকে নিজের ট্র্যাংকে তালা মেরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি। এরপর ট্র্যাংক থেকে কান্নার শব্দ এলে তালা ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ১০টার দিকে হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে নবজাতকের মা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ জানান, ‘ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে হলে যাই। ছাত্রীরা যখন বলছিলো ঘর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। তখন ৪২৬ নম্বর রুমে গিয়ে ট্র্যাংকের তালা ভেঙে বাচ্চাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যাই। রাত পৌনে ১০টার দিকে বাচ্চাটি মারা যায়। তবে বাচ্চার মা ওই ছাত্রী আশঙ্কামুক্ত।’

প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘তথ্য গোপন করে মেয়েটি অপরাধ করেছে। এই ঘটনা তদন্তের জন্য হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক লাবিবা খাতুন তানিয়াকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রী নবজাতক প্রসব করে কাউকে না জানিয়ে নিজের ট্র্যাংকে লুকিয়ে রাখেন। তার রুমমেট রুমে এলে শুধু প্রসব বেদনার কথা জানান। পরে ওই কক্ষ থেকে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান ছাত্রীরা। ছাত্রীরা বিষয়টি হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে জানান।

পরে খোঁজাখুঁজি করে ট্র্যাংকের তালা ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করে হল প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়ার সময় নবজাতকের শরীর নীলচে আকার ধারণ করে। পরে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, ‘বাচ্চাকে যখন মেডিকেলে নিয়ে আসা হয় তখন তার শরীর সম্পূর্ণ নীল রং ধারণ করেছিল। পরে তাকে অক্সিজেন দিয়ে স্বাভাবিক করে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।’

সূত্র : বিডি অনলাইন নিউজ ২৪

Saturday, March 16, 2019

রাজনীতিতে মিমি-নুসরাত

March 16, 2019
ছবি: সংগৃহীত 
রাজনীতির সাথে শোবিজের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। এবার ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও দেখা যাচ্ছে শোবিজ তারকাদের সরব উপস্থিতি। তবে সবচেয়ে বড় চমক দেখালেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী!

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এমন ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের পার্টির নেত্রী মমতা। সেখানে প্রার্থী হিসেবে নাম আছে টলিউডের এই মুহূর্তে জনপ্রিয় দুই নায়িকা নুসরাত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী।

টলিগঞ্জের এই দুই গ্ল্যামার কন্যা এবার লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিবেন। আসন্ন লোকসভা নিবার্চনে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। আর তাতেই ঠাঁই পেয়েছেন এই দুই নায়িকা। যাদবপুর থেকে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। অন্যদিকে বসিরহাট থেকে প্রার্থী হচ্ছেন নুসরাত জাহান।

এর আগে বশিরহাট থেকে নির্বাচণ করেছে ইদ্রিশ আলি। সেখানে এবার তার জনপ্রিয়তা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেকারণেই সেখানে তারকা চমক দিতে নুসরাত জাহানকে প্রার্থী করেছে দলটি। এছাড়াও যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম জিতেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে গতবারের প্রার্থী ছিলেন সুগত বসু। পেশাগত ব্যস্ততার কারণেই তিনি এবার দাঁড়াতে পারছেন না বলে সেখানে প্রার্থী হলেন মিমি।

এ বছরও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে থাকছেন গতবারের প্রার্থী অভিনেতা দেব। কেন্দ্র বদল হয়েছে মুনমুন সেনের। বাঁকুড়ার পরিবর্তে এবার তিনি আসানসোল কেন্দ্র থেকে লড়বেন। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে এ বছর উমা সোরেনের পরবর্তে প্রার্থী হলেন জনপ্রিয় আদিবাসী নায়িকা বীর বাহা সোরেন।

মমতার চমক মিমি-নুসরাত, বাদ সন্ধ্যা-তাপস : লোকসভার প্রার্থী তালিকায় কমবে তারকা, বাড়বে রাজনৈতিক মুখের সংখ্যা— তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত মিলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সে পূর্বাভাস খানিকটা মিলল। তৃণমূলের যে প্রার্থী তালিকা মঙ্গলবার ঘোষিত হল, তা থেকে স্পষ্ট যে, অন্তত দুই তারকা সাংসদের উপরে এ বার আর ভরসা রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক তারকাকে জেতা আসন থেকে পাঠিয়ে দিয়েছেন হারা কেন্দ্রে। তবে তারকা-তালিকায় সবচেয়ে বড় চমক মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরাত জাহান।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বসিরহাটের বিদায়ী সাংসদ ইদ্রিস আলিকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বসিরহাট মূলত গ্রামীণ এলাকা। সংখ্যালঘু প্রধানও। গ্রামীণ এলাকায় সেলিব্রিটি প্রার্থীদের ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয় অপেক্ষাকৃত বেশি। তার পাশাপাশি নুসরাত সংখ্যালঘু মুখও। ফলে বসিরহাটে নুসরাতের আশু সাফল্য নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

তবে নুসরাত জাহানের চেয়েও বড় চমক মিমি চক্রবর্তী। নুসরাত যে প্রার্থী হতে পারেন, সে জল্পনা রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। কিন্তু মিমি চক্রবর্তীর নাম সে ভাবে আলোচনায় আসেনি। যাদবপুরের মতো আসনে সেই মিমিকে প্রার্থী করে বেশ চমকে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের গুরুত্ব ঐতিহাসিক ভাবেই বেশি তৃণমূলের কাছে। ১৯৮৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বার সাংসদ হয়েছিলেন এই যাদবপুর থেকেই। তখন অবশ্য তিনি কংগ্রেসে। কিন্তু তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালেই যাদবপুর তৃণমূলের কৃষ্ণা বসুর দখলে গিয়েছিল। ১৯৯৯ সালেও তাই। ২০০৪ সালে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর কাছে হারেন কৃষ্ণা। তবে ২০০৯ সালে ফের তৃণমূলের কবীর সুমন এবং ২০১৪ সালে তৃণমূলেরই সুগত বসু যাদবপুর থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন। মিমির মতো তরুণ এবং প্রায় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কোনও মুখ সেই যাদবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন, এমনটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।

মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায় এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল যে বাদ পড়বেন, সে জল্পনা আগে থেকেই ছিল। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে সন্ধ্যা রায়কে পাশে নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, তাঁকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না এবং দল তাঁকে অন্য রকম কাজে লাগাবে। আর তাপস পাল শারীরিক কারণে টিকিট পেলেন না বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

মুনমুন সেনের উপরে কি ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এ প্রশ্ন নিয়ে নানা মত তৃণমূলের অন্দরেই। বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ মুনমুন সেন এ বার আর টিকিট পাচ্ছেন না বলে জল্পনা বেশ কিছু দিন ধরেই ছিল। নিজের কেন্দ্রে গত পাঁচ বছরে মুনমুন সেন ঠিক কতটা সময় দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কোনো কোনো মহলের। শেষ পর্যন্ত বাঁকুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হল রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। তবে মুনমুন প্রার্থী তালিকা থেকে বাদও পড়লেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে টক্কর নেওয়ার জন্য মুনমুনকে পাঠিয়ে দেওয়া হল আসানসোলে।

ঘাটাল, হাওড়া, বীরভূম এবং বালুরঘাট কেন্দ্রের সেলিব্রিটি সাংসদরা অবশ্য নেত্রীর আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। ঘাটালে দেব, হাওড়ায় প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূমে শতাব্দী রায় এবং বালুরঘাটে অর্পিতা ঘোষ এ বারও টিকিট পেলেন।

সব মিলিয়ে তৃণমূলের এ বারের প্রার্থী তালিকায় তারকা বা সেলিব্রিটি মুখের সংখ্যা ৭। গত বার কিন্তু সংখ্যাটা অন্তত ১০ ছিল। সে বার বহরমপুরে প্রার্থী করা হয়েছিল গায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে, উত্তর মালদহে প্রার্থী করা হয়েছিল আর এক গায়ক সৌমিত্র রায়কে। আর দার্জিলিঙে প্রার্থী ছিলেন ফুটবলার ভাইচুং ভুটিয়া। এ বার ওই সব আসনে রাজনৈতিক মুখের উপরেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে এককালে অধীরের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিডকে। কান্দি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হওয়া বিধায়ক ডেভিড এখন রয়েছেন তৃণমূলে। উত্তর মালদহে বিদায়ী সাংসদ মৌসম নূর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আগেই। সেখানে মৌসমই তৃণমূলের প্রার্থী হলেন। আর দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী করা হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার টিকিটে দার্জিলিং শহরের সংসদ সদস্য হওয়া অমর সিংহ রাইকে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

কে এ হামলাকারী কেন এই হামলা

March 16, 2019
ছবি: সংগৃহীত: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী শেতাঙ্গ বর্ণবাদী ব্রেনটন টেরেন্ট

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী একজন কট্টর শেতাঙ্গ বর্ণবাদী। তার নাম ব্রেনটন টেরেন্ট। ২৮ বছর বয়সী এ সন্ত্রাসী মুসলমান ও অভিবাসী বিদ্বেষী। তার মতে, মুসলমানরা ইউরোপের দেশগুলো দখল করে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে এবং ইউরোপে ইসলামপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সে এ হামলা চালিয়েছে।


শুক্রবার হামলার আগে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ৭৩ পৃষ্ঠার কথিত মেনিফেস্টো (ঘটনার কারণ) প্রকাশ করে ব্রেনটন। এতে সে মুসলমানদের দাস, সন্ত্রাসী ও দখলদার হিসেবে উল্লেখ করে।

অভিবাসী ও মুসলমানদের প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করে সে বলে, ইউরোপ থেকে অভিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করে ‘মাতৃভূমি’ পুনরুদ্ধার করা তার লক্ষ্য। অন্য ধর্ম থেকে মুসলমানে পরিণত হওয়াকে সে রক্তের সঙ্গে বেইমানি বলে উল্লেখ করে।

ব্রেনটন লিখেছে, আমাদের ভূখণ্ড কখনোই অনুপ্রবেশকারীদের ভূখণ্ড হবে না। আমাদের মাতৃভূমি আমাদের এবং যতদিন পর্যন্ত শ্বেতাঙ্গরা জীবিত থাকবে, ততদিন তারা আমাদের ভূখণ্ড দখল করতে পারবে না। তারা কখনোই আমাদের লোকদের জায়গা দখল করতে পারবে না।

সে বলে, সংজ্ঞায়িত করলে এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। কিন্তু দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি একটি পক্ষপাতমূলক হামলা বলেই আমি মনে করি।

হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, হামলাকারী মৌলবাদী, কট্টর ডানপন্থী ও সহিংস সন্ত্রাসী ছিল। সে অস্ট্রেলিয়ায় হাজতবাসেও ছিল। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অপরাধসংক্রান্ত পুরনো রেকর্ড আছে। তার বাড়ি গ্রাফটন শহরে।

এ ভয়াবহ হামলা চালানোর জন্য ২ বছর ধরে পরিকল্পনা করছিল জানিয়ে ব্রেনটন আরও বলে, ৩ মাস আগেই সে ক্রাইস্টচার্চে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়।

ব্রেনটন টেরেন্ট তার কথিত মেনিফেস্টোতে নিজেকে একজন ‘সাধারণ শ্বেতাঙ্গ’ বলে উল্লেখ করে। সে লিখেছে, ২০১৭ সালে সুইডেনের স্টকহোমে সন্ত্রাসী হামলায় ১১ বছর বয়সী শিশু এব্বা অকারলান্ডের নিহত হওয়ার ঘটনার শোধ নিতে এ হামলাটি চালানো হয়েছে।

তার ভাষ্য, ‘স্টকহোমের ওই ঘটনাটিই আমাকে প্রথম এ ধরনের হামলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, বিশেষ করে ওই ১১ বছর বয়সী মেয়েটির মৃত্যু। এব্বার মৃত্যু হয়েছে ‘দখলদার’দের হাতে... আমি এ ধরনের হামলা এড়িয়ে যেতে পারি না।’

সে আরও লেখে, এটি ঐতিহাসিকভাবে ইউরোপের ভূমিতে বিদেশি ‘দখলদার’দের কারণে শত শত মানুষের মৃত্যুর পাল্টা প্রতিশোধ।

মেনিফেস্টোতে ব্রেনটন টেরেন্ট আরও বলে, ২০১১ সালে নরওয়ের অসলোতে ৭৭ জনকে হত্যাকারী আন্ডারস ব্রেইভিকের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সে এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।

এছাড়া সে নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করে। এ হামলার ঘটনায় সে ট্রাম্পের উগ্র সমর্থক ক্যানডিস ওউনসের কাছ থেকেও অনুপ্রাণিত হয়েছে।

ব্রেনটন তার টুইটার অ্যাকাউন্টের হেডার ফটো হিসেবে যে ছবি দিয়েছে, সেখানে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের নিসে শহরে বাস্তিল ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত একজনের ছবি দেখা যায়। সেদিন জনতার ওপর ট্রাক চালিয়ে দেয়ার ঘটনায় ৮৪ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।

নিউজিল্যান্ডে মাত্র ১ শতাংশ মুসলমান। তারপরও কেন এ দেশটিকে হামলার জন্য বেছে নেয় ব্রেনটন- এর কারণ হিসেবে সে লিখেছে, দেশটি ইউরোপের অন্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক দুর্গম। তারপরও এখানে দিন দিন মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে। হামলার মাধ্যমে এ বিষয়ে সে সবাইকে সতর্ক করতে চেয়েছিল। নিজের পারিবারিক অবস্থা ও শৈশবের বেদনা উল্লেখ করে সে লিখেছে, আমি নিুবিত্ত পরিবারে জন্মেছি, বাবা-মা স্কটিশ আইরিশ এবং ইংলিশ ছিল, আমার কোনো নিয়মিত শৈশব ছিল না।

ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে প্রাণঘাতী হামলা চালাতে যখন গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী ব্রেনটন তখন লোক গান ও সামরিক সঙ্গীত শুনছিল। এরপর একটি সরু গলিতে গাড়িটি পার্ক করে রেখে অস্ত্র নিয়ে মসজিদের দিকে এগিয়ে যায় সে।

তার গাড়ি থেকে অন্তত ৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যে অস্ত্র-সরঞ্জাম নিয়ে ব্রেনটন টেরেন্ট ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়েছে সেখানে মুসলিমদের ওপর বিগত সাম্প্রদায়িক হামলার তথ্য তুলে ধরে এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহমূলক বিভিন্ন শব্দ-বাক্য দেখা যায়। হামলায় জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ চারজনকে আটক করলেও ব্রেনটনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

সূত্র : যুগান্তর

অজ্ঞাত নারীর সতর্কবার্তায় বেঁচে গেলেন তামিম-মিরাজরা

March 16, 2019
ছবি: সংগৃহীত
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু'টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৪৯ জন। এ হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা।

শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছে সেন্ট্রাল মসজিদে জুমার নামাজরে সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই মসজিদেই জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা। জানা যায়, অজ্ঞাত এক নারীর কল্যাণে এ হামলা থেকে বেঁচে গেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা।
সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদে ঢোকার আগমুহূর্তে অজ্ঞাত এক নারী এসে তামিমদের সতর্ক করে জানান, মসজিদের ভেতরে গোলাগুলি হচ্ছে, এখন ভেতরে যাওয়া ঠিক হবে না। ওই নারীর সতর্কবার্তা শুনে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা তড়িঘড়ি করে টিম বাসের মধ্যে ঢুকে যায় এবং বাসের মেঝেতে শুয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপদ হবে না ভেবে তামিম-মিরাজরা বাস থেকে বেরিয়ে হাগলি পার্ক দিয়ে চলে যান ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে।

হামলার পর পরই তামিম ইকবাল লিখেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

হামলার বিষয়ে টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, মসজিদ থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে ছিলাম। আমরা খুবই লাকি যে আর ৩-৪ মিনিট আগে গেলেই একটা বড় ধরনের মর্মান্তিক (ম্যাসিভ) ঘটনা ঘটে যেত।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ও শেষ টেস্টকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠে বাংলাদেশ দল অনুশীলন করছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যান।

সূত্র : বিডি-প্রতিদিন

Friday, March 15, 2019

অপচয় করা হারাম

March 15, 2019
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামের মূল সৌন্দর্যই হলো মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। ইসলাম যেভাবে অপচয়কে নিষেধ করেছে তেমনি কৃপণতাকেও নিষেধ করে। এ জন্য কুরআন সুন্নাহ মুসলিমদের পানাহার, পরিচ্ছদ, বাসস্থান, সৌর্ন্দয, যোগাযোগের মাধ্যম, বিবাহ-শাদীতে সব কিছুতেই চিহ্নিত করে দিয়েছে। 

এ জন্যই একজন মুসলিম খরচ করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিধানাবলী পালন করা আবশ্যক : অর্থনৈতিক দিক যেন মুমিনদের গ্রাস করে না ফেলে, বরং মুমিন ব্যক্তি তার আকিদা ও মুমিনের চরিত্র অনুযায়ী তার অর্থনীতি পরিচালনা করবে। মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে সম্পদ ব্যয় করা; অহঙ্কার বর্জন করা; হারাম থেকে দূরে থাকা; নিয়মতান্ত্রিকতা মেনে সম্পদ ব্যয় করা; সচ্ছলতার সময় অসচ্ছল সময়ের জন্য সম্পদ জমা করে রাখা। 

একজন মুসলমান শরিয়াহ্ প্রণীত সীমারেখার মধ্যেই তার সম্পদ ব্যয় করবে। আর এটি ওঠা-নামা করবে বৈধ ও হারামের মধ্যে। এটি হলো বৈধতার পর্যায়ে। যা অপচয় ও কৃপণতার মাঝামাঝি অবস্থান করা। সৌর্ন্দয ও একেবারেই পরহেজগারিতার মধ্যবর্তী অবস্থান কিন্তু বেশির ভাগ লোক এই নীতি গ্রহণ করে না। তারা সৌর্ন্দযের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। এ ক্ষেত্রে অনেকে অপচয়ও করে ফেলে। অথচ মধ্যমপন্থা অবলম্বন করাও আল্লাহর বান্দাদের একটি গুণ। আল্লাহ বলেন, এবং তারা যখন ব্যয় করে তখন অযথা ব্যয় করে না, কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী। নবী সা: বলেন, তোমরা খাও, পান করো, দান-সদকা করো, তবে অহঙ্কার ও অপচয় ব্যতীত। 

সৌর্ন্দয অবলম্বন করা অবশ্যই বৈধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, এবং আপনার পালনকর্তার নিয়ামতের কথা প্রকাশ করুন। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, হে বনি আদম, তোমরা সাজসজ্জা করে নাও প্রত্যেক নামাজের সময়, আর খাও পান করো অপব্যয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না। নবী সা: বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের মধ্যে তাঁর দেয়া নিয়ামতের প্রভাব দেখতে ভালোবাসেন। হাদিসটির সনদ হাসান সহিহ্। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষণীয় যে, সৌর্ন্দয যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়। যেন অপচয়ের পর্যায়ে না পড়ে। 

দুনিয়া বিমুখতা : এটি একটি প্রশংসনীয় গুণ। খুব কম মানুষই এ গুণে গুণাম্বিত। এই গুণে গুণাম্বিত ছিলেন নবী রাসূলগণ আ:, অতঃপর পূর্বেকার অনেক আলেম আর পরবর্তী যুগের খুব কমসংখ্যক লোক। এই কাজে অবশ্যই নিজের চাহিদা ত্যাগ করতে হয়, নিজের উপরে অন্যকে প্রাধান্য দিতে হয়। আর অর্থনীতির ক্ষেত্রে তা অনেক কল্যাণকর। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা মুহাজিরদের আগমনের আগে মদিনায় বসবাস করেছিল এবং ঈমান এনেছিল তারা মুহাজিরদের ভালোবাসে, মুহাজিরদের যা দেয়া হয়েছে তজ্জন্য তারা অন্তরে ঈর্ষা পোষণ করে না এবং নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদের অগ্রাধিকার দান করে। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত তারাই সফলকাম। কৃপণতা করা হারাম। কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহর শত্রু এমনকি তার নিজেরও শত্রু এবং প্রত্যেক ওই জিনিসের শত্রু যা মানুষের উপকার করে। এভাবে যে সে নিজের প্রয়োজনও পূরণ করে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা কৃপণতা করছে তারা নিজেদেরই প্রতি কৃপণতা করছে। নবী সা: বলেন, তোমরা কৃপণতা থেকে দূরে থাকো, কারণ তোমাদের পূর্ববর্তীদের অনেকেই কৃপণতার জন্য ধ্বংস হয়েছে। (শয়তান) তাদের কৃপণতার আদেশ দিত আর তারা কৃপণতা করত, সে তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার আদেশ দিলে তারা তা ছিন্ন করত এবং সে তাদের পাপাচারে লিপ্ত হতে নির্দেশ দিলে তারা তাতে লিপ্ত হতো। 

জীবনযাপনের সব ক্ষেত্রেই অপচয় ও অপব্যয় করা হারাম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, এবং অপব্যয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না। নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। নবী সা: বলেন, আমার উন্মাতের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি, যারা বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার খায় এবং বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করে আর লম্বা লম্বা কথা বলে বেড়ায়। এ জন্য সম্পদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম সুনির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছে। যেমন : বিলাসবহুল জীবনযাপন না করা। অর্থাৎ দুনিয়ার চাকচিক্য ও বিলাসিতাতে গা ভাসিয়ে না দেয়া। এ ধরনের বিলাসিতাকে ইসলাম সমর্থন করে না বরং নিন্দা করে। আর বিলাসিতার কারণেই আল্লাহর আজাব-গজব নেমে আসে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যখন আমি কোনো জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি তখন অবস্থাপন্ন লোকের উদ্বুদ্ধ করি অতঃপর তারা পাপাচারে মেতে ওঠে। তখন সে জনগোষ্ঠীর ওপর আদেশ অবধারিত হয়ে যায়। পরিশেষে আমি তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেই। অপচয় না করা আবার সম্পদ ব্যয় করার ক্ষেত্রে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় না দেয়া; সম্পদ ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা; হারাম ও ক্ষতিকর পণ্যদ্রব্যাদি বর্জন করা। আল্লাহ তায়ালা ভালো জিনিসকে বৈধ করেছেন আর ক্ষতিকর ও নোংরা জিনিসকে হারাম করেছেন। আর ইসলামী আইনের একটি মৌলনীতি হলো ক্ষতি করবে না ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। 

এ মূলনীতিটি রাসূলুল্লাহ সা:- এর হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত। 

অহঙ্কার করো না। যেহেতু ইসলাম ততটুকুই বৈধতা দিয়েছে যতটুকুর মধ্যে ব্যক্তি সমাজ সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। অহঙ্কার প্রদর্শনের জন্য সম্পদ ব্যয়কে ইসলাম অনুমোদন করে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদাররা, তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান-খয়রাত বরবাদ করো না সে ব্যক্তির মতো, যে নিজের ধন সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব এ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত একটি মৃসণ পাথরের মতো, যার ওপর কিছু মাঠি পড়েছিল। অতঃপর এর ওপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলো, অন্তর তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিলো। তারা ওই বস্তুর কোনো সওয়াব পায় না, যা তারা উপার্জন করেছে। আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না। নবী সা: বলেন, যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশত তার কাপড়কে ঝুলিয়ে টেনে টেনে পরে, (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির প্রতি (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। ক্ষুধার মাধ্যমে মানবীয় চাহিদাকে বহির্ভূত করা। মানুষ যখন পানাহারে পরিতৃপ্ত হয় তার মধ্যে কুপ্রবৃদ্ধি জেগে ওঠে। আর ক্ষুধার্ত থাকলে শান্ত থাকে। আলেম ও ফকিহদের কাছ থেকে ক্ষুধার বিভিন্ন উপকার বর্ণিত হয়েছে। যেমন : অন্তর পরিষ্কার থাকে ও অন্তর্দৃষ্টি খুলে যায়; অহমিকা খারাবি দূরীভূত হয়; আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপদ আপদের কথা স্মরণ হয়; কুপ্রবৃত্তিকে দমিয়ে রাখা যায়; ইবাদতে অধ্যবসায় বাড়ে; দান সদকা করতে মন চায়। ভালোভাবে অর্থনীতি বোঝা যায়। অর্থাৎ আয়ের উৎস ও ব্যয়ের ক্ষেত্র সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখা। এ ক্ষেত্রে আমরা নবীজীবনের কিছু দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারি। যা নবী সা: তাঁর সাহাবিদের জন্য পেশ করেছিলেন। 
ক. এই শিক্ষা গ্রহণ করো যে, অন্তরের অমুখাপেক্ষিতাই প্রকৃত অমুখাপেক্ষিতা। আবু যার রা: বলেন, নবী সা: আমাকে বললেন, তুমি কি মনে করো যে, সম্পদ বেশি থাকাই ধনী হওয়া? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি সা: বললেন, তুমি কি মনে করো যে, সম্পদ কম থাকাই দরিদ্রতা? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন নবী সা: বললেন, প্রকৃত ধনাঢ্যতা হচ্ছে অন্তরের ধনাঢ্যতা, প্রকৃত দরিদ্রতা হচ্ছে অন্তরের দরিদ্রতা। এর অর্থ হলো আয়ের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা, ব্যয়ের সময় হিসাব করে ব্যয় করা।
খ. জীবিকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ভালোভাবে বুঝেশুনে করা। আবু সাইদ খুদরি রা. হতে বর্ণিত, কিছু আনসারি সাহাবি রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে কিছু চাইলেন। তিনি তাদের দিলেন, পুনরায় তারা চাইলেন তিনি তাদের দিলেন। এমনকি তার কাছে যা ছিল সব শেষ হয়ে গেল। এরপর তিনি বললেন, আমার নিকট যে মাল থাকে তা তোমাদের না দিয়ে আমার নিকট জমা রাখি না। তবে যে যাচনা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখেন আর যে পরমুখাপেক্ষী না হয়, আল্লাহ তাকে সবর দান করেন। সবরের চেয়ে উত্তম ও ব্যাপক কোনো নিয়ামত কাউকে দেয়া হয়নি। সুতরাং মনের দিক থেকে অল্পে তুষ্ট থাকা, হাত না পাতা, ধৈর্য ধারণ করা কাম্য। আর শারীরিক দিক থেকে কাম্য হলো কাজ করে জীবিকা উপার্জন করা। নবী সা: বলেন, তোমাদের কেউ তার রশি নিয়ে জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করে পিঠে বহন করে বাজারে যায়, তারপরে সেখানে বিক্রি করে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাকে অমুখাপেক্ষী করবেন, এটা মানুষের কাছে তার হাতপাতার চেয়ে উত্তম; কারণ মানুষ তাকে কিছু দিতে পারে। এ জন্য মক্কার লোকেরা ব্যবসায় করত, আর মদিনার লোকেরা চাষাবাদ করত। 
গ. নিজস্ব আয়ের মাধ্যমে ব্যয় সীমাবদ্ধ করার শিক্ষা গ্রহণ করা। নবী সা: বলেন, একটি বিছানা স্বামীর জন্য. আরেকটি স্ত্রীর জন্য, তৃতীয়টি মেহমানের জন্য আর চতুর্থটি শয়তানের জন্য। এর উদ্দেশ্য হলো খরচ কম করা, যাতে করে ঋণ করতে অন্যের দ্বারস্থ হতে না হয় নিজের সম্পদ দ্বারাই যেন যথেষ্ট হয়। 
ঘ. দানের অভ্যাস করা। নবী সা: বলেন, নিচের হাত থেকে উপরের হাত উত্তম। উপরের হাত হচ্ছে দাতা আর নিচের হাত হচ্ছে গ্রহীতা। হাদিসের উদ্দেশ্য হলো, সামাজিক বৈষ্যম দূর করা, যাতে দানকারীর সংখ্যা বেশি হয় এবং গ্রহণকারীর সংখ্যা কম হয়। এভাবেই নবী সা: তাঁর প্রিয় সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন। তারাও সেই শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনে বাস্তবায়ন করেছিলেন। দাওয়াতের ময়দানে এর বিশাল প্রভাব লক্ষ করা গিয়েছিল। সুতরাং আমাদের উচিত হলো, উক্ত চরিত্রগুলো নিজেদের মধ্যে সন্নিবেশ ঘটানো, মুসলিমদের ওই চরিত্র থেকে দূরে থাকা উচিত, যা ওই সুন্দর সুন্দর বিষয়গুলোকে ধ্বংস করে। আর এটা জানা উচিত যে, যে ব্যয় অহঙ্কার প্রদর্শনের জন্য হয়ে থাকে তার মাধ্যমে শুধু সমাজে দরিদ্রতাই বৃদ্ধি পায়। এ জন্য মুসলিমদের উচিত সম্পদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। এর অর্থ এই নয় যে, নিজের আয় থেকে উপকৃত হওয়া যাবে না বা আল্লাহর নিয়ামতের সদ্ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ইসলাম চায় মানুষ তার ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুক, ইসলাম ধোঁকাবাজিকে অপছন্দ করে আর অন্যের অনুসরণ করতে গিয়ে অপচয় করাকেও নিষেধ করে। অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পানাহারের আয়োজন করা, বিশেষ করে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানাদিতে এগুলোর মাধ্যমে সম্পদ নষ্ট ও ভবিষ্যতের বিপদ ডেকে আনা হয়। সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের ক্ষেত্রেই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা উচিত।
লেখক : প্রবন্ধকার