Sunday, March 3, 2019

সিমলা-সানাইয়ের কি হবে

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি দুটি ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছেন চিত্রনায়িকা সিমলা ও সানাই। সিমলার সাবেক স্বামী পলাশের বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা আর সানাইয়ের গোপন বাগদান হলেও বরের নাম প্রকাশ করছেন না তিনি। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষের কৌতূহল বাড়ছে। এ বিষয়ে জানতে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের শোবিজ বিভাগের সঙ্গে কথা হয় তাদের।

দুজনের বলা কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ পুুলিশ ডাকলেই ছুটে আসব: সিমলা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় জড়িত পলাশ আহমেদ ওরফে মাহিবি জাহানের বিষয়ে তার সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা সিমলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সিমলা এখন ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন। তিনি কখন দেশে ফিরছেন? এ বিষয়ে গতকাল তার কাছে জানতে চাওয়া হলে সিমলা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা বিভাগ যদি এ বিষয়ে জানতে আমাকে ডাকে আমি অবশ্যই দেশে ফিরব। আমার তো কোনো ভয় নেই।
আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। তা ছাড়া পলাশের সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। তারপর থেকেই আমি মুম্বাইয়ে একটি ছবির কাজে ব্যস্ত। পলাশ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না জানলেও আইনের প্রতি সব সময়ই আমি শ্রদ্ধাশীল। এই শ্রদ্ধা থেকেই আমাকে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে আমি ছুটে আসব।’ বর্তমানে মুম্বাইয়ে কি কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন? এমন প্রশ্নে সিমলা বলেন, “এখানে আমি ‘সফর’ ছবির পোস্টার ও ফটোসেশনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি।

কলকাতার কিংস এন্টারপ্রাইজ প্রযোজিত ও অর্পণ রায় পরিচালিত এই হিন্দি ছবিটির প্রধান নায়িকা আমি। গত নভেম্বর থেকে শুটিং শুরু করেছি।” নভেম্বরে ভারত যাওয়ার পর আর দেশে ফিরলেন না কেন? এ প্রশ্নের জবাবে সিমলা বলেন, ‘এখানে একটানা এই ছবির শুটিং-ডাবিংয়ে অংশ নিলাম। আমি যেহেতু একজন অভিনেত্রী, তাই যখন দেখলাম দেশে কাজ নেই আর মুম্বাই থেকে ছবির প্রস্তাব পাচ্ছি তখন স্বাভাবিকভাবেই তা লুফে নিয়েছি।’।
সিমলার কাছে জানতে চাইলাম নভেম্বরে ডিভোর্স আবার একই মাসে মুম্বাইয়ে ছবির কাজের প্রস্তাব পাওয়া বিষয়টি কীভাবে সম্ভব হলো? তার কথায়, “কয়েক বছর আগে বলিউডের নায়ক গোবিন্দর সঙ্গে মুম্বাইয়ে কাজ করেছি। তখন থেকেই এখানে অনেক কাজের প্রস্তাব ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে ‘সফর’ ছবির কাজে মুম্বাই আসি আর কাজ করে যাচ্ছি। এখন যখন এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে আর আমার সঙ্গে একসময় সেই পলাশের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের স্বার্থে আমাকে ডাকতেই পারে।
তারা যখনই আমার কাছে কোনো নোটিস পাঠাবে আমি ছুটে আসব এবং আমার পক্ষে যতটা সহযোগিতা করা প্রয়োজন সবই করব।” বরের নাম এখন বলবই না: সানাই চিত্রনায়িকা সানাইয়ের গোপন বাগদান এবং হবু বরের নাম প্রকাশ না করার বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল বাড়ছেই। কিন্তু বরের নাম প্রকাশে এখনো অনিচ্ছুক সানাই। তার বর হিসেবে পর পর দুই সাবেক মন্ত্রীর নাম চাউর হলেও তার সাফ কথা, সবই মিথ্যে। সময় হলে পারিবারিকভাবে বরের নাম প্রকাশ করব।

গতকাল বিষয়টি নিয়ে আবারও সানাইয়ের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি একেবারেই আমার ব্যক্তিগত। এ নিয়ে জল ঘোলা করা মানে আমার বিয়ের বিষয়টিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া। শুধু এটুকু বলতে চাই, আমার হবু বর একজন সাবেক মন্ত্রী। সঙ্গত কারণেই তার নাম এই মুহূর্তে বলতে চাই না।’ সাবেক মন্ত্রী রাঙ্গার নামের পর এখন আবার আরেক সাবেক মন্ত্রী ও ফুটবলার আরিফ খান জয়কে সানাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করে গুঞ্জন উঠার বিষয়ে তিনি বিরক্তির সুরে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত বিষয়টি নিয়ে কেন নানা মর্যাদাবান মানুষকে ঘিরে বার বার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচার চালানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না। সাবেক মন্ত্রী রাঙ্গার সঙ্গে একটি মাত্র অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল।

এরপর তার সঙ্গে কখনো কথাও হয়নি। আর এখন আবার আরিফ খান জয়ের কথা বলা হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে তাকে আমি চিনি না। তার সঙ্গে কখনো দেখাও হয়নি। যাকে দেখিনি, জানি না তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয় কি করে। আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করব দয়া করে আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দিন। কারও সঙ্গে বাগদান বা বিয়ে করতে যাওয়া তো অপরাধ নয়। আমি একজন সেলিব্রেটি বলে আমার যে কোনো বিষয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল থাকতেই পারে।

কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যা সময়ের আগে প্রকাশ করতে গেলে হিতে বিপরীত হয়। আমার হবু বরের নাম প্রকাশে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করে আমার সুন্দর ভবিষ্যৎ কেউ নষ্ট করে দেবেন না। আবারও তার কাছে জানতে চাইলাম, স্বামীর পরিচয় প্রকাশ করতে সমস্যা কোথায়? সানাই বলেন, ‘কিছু সমস্যা তো আছেই। তা না হলে এখনই বলে দিতাম।

মানুষজন উল্টাপাল্টা কথা বলবে, তাই কোনোভাবেই এখন তার নাম প্রকাশ করব না। তবে এটুকু আশ্বস্ত করতে চাই, যে মানুষটার সঙ্গে আমার আংটি বদল হয়েছে, তিনি এর আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তবে সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি অংশ নেননি। সরাসরি জড়িত আছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে। তিনি একজন ব্যবসায়ীও।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

পাকিস্তানি শিল্পীদের বয়কটের প্রতিবাদে ভারত ছাড়ছে শাহরুখ

ছবি: সংগৃহীত
১৪ ই জানুয়ারি পুলওয়ামার ঘটনার নিন্দেয় সরব গোটা দেশ। প্রতিবাদস্বরূপ আর্থিক দিক থেকে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার জন্য ইতিমধ্যেই তাদের সাথে সব রকম বাণিজ্যিক চুক্তি ছেদ করেছে ভারত বন্ধ করেছে টমেটো রপ্তানি সেই সঙ্গে একাধিক পাকিস্তানি পণ্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঠিক এরকমই একই ঘটনা শিল্পীমহলেও।

পুলওয়ামা ঘটনার নিন্দের পাকিস্তানি শিল্পীদেরও ভারতে বয়কট করার কথাবার্তা শুনতে পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে নাকি উল্টো সুর টেনেছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান। ‘নমো ভক্তি’ নামে একটি গ্রুপ থেকে একটি মেসেজ ছড়ায় যেখানে শাহরুখ খানকে বলতে দেখা গেছে যে পাকিস্তানি শিল্পীদের বয়কট করলে ভারত ছাড়বেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান!

যদি ভারতে পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বয়কট করা হয় তাহলে আমি ভারত ছেড়ে চলে যাবো। তবে এই ঘটনার সত্যতা এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেশ কিছু দিন ধরেই এই বার্তাটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেরাতে দেখা গেছে। ট্যুইটারেও এর একাধিক শেয়ার হয়েছে।মেসেজটি ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির ফেসবুক পেজ বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করা হয়েছে।

তবে কোনো স্বীকৃত গণমাধ্যমের তরফ থেকে এরকম কিছু বার্তা পাওয়া যায়নি যাতে শাহরুখের এমন কর্মকান্ডের উল্লেখ রয়েছে। বাস্তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ওই আত্মঘাতী হামলার ব্যাপারে শাহরুখ নিন্দা জানান এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। ওই ঘটনার জেরেই ১৮ ফেব্রুয়ারি অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন এক ঘোষণায় জানায়, ভারতের চলচ্চিত্রে কাজ করা পাকিস্তানি সব অভিনেতা-অভিনেত্রীর ওপর এখন থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। পুলওয়ামায় হামলার পর শাহরুখ খানের ব্যাপারে শুধু এই মেসেজই নয়, বরং আরো কিছু মিথ্যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এরকম একটি খবরে বলা হয়েছে, শাহরুখ খান পাকিস্তানে ৪৫ কোটি রুপি দান করেছেন, অথচ ভারতের নিহত এসব জওয়ানদের ব্যাপারে তিনি কিছুই করেননি।

সূত্র : বিডি অনলাইন নিউজ ২৪