|
সেভিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় এনে দেওয়া এই ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিক একটা ব্যক্তিগত দ্বৈরথে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দূরত্ব আরও কমিয়ে দিল। রোনালদো তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে ৫১টি হ্যাটট্রিক করেছেন। রোনালদোকে ধরে ফেলতে মেসির প্রয়োজন আর মাত্র একটি হ্যাটট্রিক। এই তথ্যে রোনালদো আবার ফুঁসে না উঠলেই হয়! অবশ্য দুজনের বয়সের যা ব্যবধান, মেসি রোনালদোর চেয়ে দুই বছর বেশি খেলবেন বলেই অনুমান করা হয়। ফলে রোনালদো নিজের রেকর্ডগুলো অমর-অক্ষয় করে রাখতে চাইলে এখনই জোর কদমে হাঁটতে হবে।
একটা রেকর্ড যে রোনালদো চাইলেও আর টিকিয়ে রাখতে পারবেন না, তাও মোটামুটি নিশ্চিত। স্প্যানিশ লা লিগায় রোনালদোর হ্যাটট্রিক ৩৪টি। যেটি এই লিগেরই রেকর্ড। লা লিগায় মেসির হ্যাটট্রিক ৩২টি। রোনালদোর রেকর্ড ভাঙতে মেসির আর তিনটি হ্যাটট্রিক চাই। মেসি পারবে না, এর পক্ষে বাজি ধরার মতো লোক পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
মেসি-রোনালদো এখনকার ফুটবলারদের তুলনায় কত আলোকবর্ষ দূরত্বে, সেটা এই রেকর্ড থেকেও বোঝা যায়। এখনকার শীর্ষ ফুটবলারদের মধ্যে হ্যাটট্রিকে তৃতীয় স্থানে থাকা নামটি লুইস সুয়ারেজ। বার্সেলোনার উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিক ২৯টি। যেকোনো পেশাদার ফুটবলারের জন্যই গর্ব করার মতো একটা পরিসংখ্যান। তবে দুই অতিমানব তাঁর চেয়ে কত সামনে এগিয়ে! বন্ধু মেসিই সুয়ারেজের চেয়ে ২১টি হ্যাটট্রিক বেশি করেছেন।
মেসি-রোনালদো এত অনায়াসে গোল পান, কখনো মনে হতে পারে, কত সহজ কাজটা। তবে সার্জিও আগুয়েরোর হ্যাটট্রিক সংখ্যা বলে দেবে, কঠিন কাজটা অনেক সহজভাবে করতে জানেন এই দুজন। এখনকার শীর্ষ ফুটবলারদের মধ্যে হ্যাটট্রিকে চারে থাকা আগুয়েরো ম্যাচে তিন বা এর বেশি গোল করেছেন ১৭ বার। রবার্ট লেভানডফস্কির হ্যাটট্রিক সংখ্যাও ১৭। এডিনসন কাভানির হ্যাটট্রিক আছে ১৫টি, রাদামেল ফ্যালকাওয়ের হ্যাটট্রিক ১০।
চ্যাম্পিয়নস লিগের হ্যাটট্রিক সংখ্যায় মেসি রোনালদোকে পেরিয়েই গেছেন। রোনালদোর হ্যাটট্রিক সাতটি, মেসির আটটি। তবে জাতীয় দলে দুজনেরই হ্যাটট্রিক সমান, ছয়টি করে।
বলা হয়, ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক পেলের। সেই সংখ্যা নাকি ৯২টি! নাকি, বলা হয়...এসব লিখতে হচ্ছে, কারণ এই হ্যাটট্রিকের সঠিক কোনো হিসাব নেই। পেলে তাঁর ক্যারিয়ারে অফিশিয়াল-আনঅফিশিয়াল মিলিয়ে ১২ শর বেশি গোল করেছেন। ৯২ হ্যাটট্রিকের বেশির ভাগই সেই আনঅফিশিয়াল ম্যাচগুলো ধরেই।
সূত্র : প্রথম আলো খেলাধুলা