Monday, February 25, 2019

হ্যাটট্রিকের অর্ধো শতক করলেন মেসি তার আগে ও পরে কে

ছবি: সংগৃহীত
৫০টা হ্যাটট্রিক! ভাবা যায়! বিশ্বের অনেক ফুটবলারেরই অভাবিত এই স্বপ্নটাকেই তিনি সত্যি করেছেন। করেছেন বলেই তো তিনি জাদুকর। লিওনেল মেসি ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকের দ্বাদশ বর্ষে এসেছে পূর্ণ করেছেন হ্যাটট্রিকের হাফ সেঞ্চুরি। কাল তাঁর জাদুকরী ফুটবলেই বার্সেলোনা আরও একটি জয় পেয়েছে লা লিগায়।

সেভিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় এনে দেওয়া এই ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিক একটা ব্যক্তিগত দ্বৈরথে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দূরত্ব আরও কমিয়ে দিল। রোনালদো তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে ৫১টি হ্যাটট্রিক করেছেন। রোনালদোকে ধরে ফেলতে মেসির প্রয়োজন আর মাত্র একটি হ্যাটট্রিক। এই তথ্যে রোনালদো আবার ফুঁসে না উঠলেই হয়! অবশ্য দুজনের বয়সের যা ব্যবধান, মেসি রোনালদোর চেয়ে দুই বছর বেশি খেলবেন বলেই অনুমান করা হয়। ফলে রোনালদো নিজের রেকর্ডগুলো অমর-অক্ষয় করে রাখতে চাইলে এখনই জোর কদমে হাঁটতে হবে।

একটা রেকর্ড যে রোনালদো চাইলেও আর টিকিয়ে রাখতে পারবেন না, তাও মোটামুটি নিশ্চিত। স্প্যানিশ লা লিগায় রোনালদোর হ্যাটট্রিক ৩৪টি। যেটি এই লিগেরই রেকর্ড। লা লিগায় মেসির হ্যাটট্রিক ৩২টি। রোনালদোর রেকর্ড ভাঙতে মেসির আর তিনটি হ্যাটট্রিক চাই। মেসি পারবে না, এর পক্ষে বাজি ধরার মতো লোক পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

মেসি-রোনালদো এখনকার ফুটবলারদের তুলনায় কত আলোকবর্ষ দূরত্বে, সেটা এই রেকর্ড থেকেও বোঝা যায়। এখনকার শীর্ষ ফুটবলারদের মধ্যে হ্যাটট্রিকে তৃতীয় স্থানে থাকা নামটি লুইস সুয়ারেজ। বার্সেলোনার উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিক ২৯টি। যেকোনো পেশাদার ফুটবলারের জন্যই গর্ব করার মতো একটা পরিসংখ্যান। তবে দুই অতিমানব তাঁর চেয়ে কত সামনে এগিয়ে! বন্ধু মেসিই সুয়ারেজের চেয়ে ২১টি হ্যাটট্রিক বেশি করেছেন।

মেসি-রোনালদো এত অনায়াসে গোল পান, কখনো মনে হতে পারে, কত সহজ কাজটা। তবে সার্জিও আগুয়েরোর হ্যাটট্রিক সংখ্যা বলে দেবে, কঠিন কাজটা অনেক সহজভাবে করতে জানেন এই দুজন। এখনকার শীর্ষ ফুটবলারদের মধ্যে হ্যাটট্রিকে চারে থাকা আগুয়েরো ম্যাচে তিন বা এর বেশি গোল করেছেন ১৭ বার। রবার্ট লেভানডফস্কির হ্যাটট্রিক সংখ্যাও ১৭। এডিনসন কাভানির হ্যাটট্রিক আছে ১৫টি, রাদামেল ফ্যালকাওয়ের হ্যাটট্রিক ১০।

চ্যাম্পিয়নস লিগের হ্যাটট্রিক সংখ্যায় মেসি রোনালদোকে পেরিয়েই গেছেন। রোনালদোর হ্যাটট্রিক সাতটি, মেসির আটটি। তবে জাতীয় দলে দুজনেরই হ্যাটট্রিক সমান, ছয়টি করে।

বলা হয়, ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক পেলের। সেই সংখ্যা নাকি ৯২টি! নাকি, বলা হয়...এসব লিখতে হচ্ছে, কারণ এই হ্যাটট্রিকের সঠিক কোনো হিসাব নেই। পেলে তাঁর ক্যারিয়ারে অফিশিয়াল-আনঅফিশিয়াল মিলিয়ে ১২ শর বেশি গোল করেছেন। ৯২ হ্যাটট্রিকের বেশির ভাগই সেই আনঅফিশিয়াল ম্যাচগুলো ধরেই।

সূত্র : প্রথম আলো

হিরের আংটি ফেরত দিলেন বাংলাদেশি রাজু আহমেদ

ছবি: সংগৃহীত

যাত্রীর মূল্যবান হিরের আংটি ফেরত দিয়ে আবারও নিউইয়র্কে প্রশংসা কুড়ালেন বাংলাদেশের এক ক্যাবচালক। মাত্র তিন বছর আগে আমেরিকায় আসা ক্যাবচালক রাজু আহমেদ গত আগস্ট মাসে ম্যানহাটনের লোরেনকে গাড়িতে ওঠান। একপর্যায়ে গাড়িতে বসেই লোরেন রাজুকে জানান, তিনি তাঁর হিরের আংটি হারিয়ে ফেলেছেন।

গাড়িতে তন্নতন্ন করে খুঁজেও আংটির কোনো হাদিস করতে পারেননি রাজু এবং তাঁর যাত্রী লোরেন। দাদির দেওয়া আংটি হারিয়ে মন খারাপ করা লোরেনের ফোন নম্বর রেখেছিলেন এবং কয়েক দফা বার্তা বিনিময় করেছিলেন হারিয়ে যাওয়া আংটি পাওয়া গেল কি না তা জানতে।
সম্প্রতি রাজু আহমেদের গাড়িতে বড় ধরনের মেরামতের কাজ করাতে হয়। এ সময় গাড়ির কার্পেটসহ সবকিছু বদলে ফেলার প্রস্তুতই নিচ্ছিলেন তিনি। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, ছয় মাস আগে যাত্রী লোরেনের ফেলে যাওয়া দাদির স্নেহ ও ভালোবাসার উপহার সেই আংটি নিজের গাড়িতেই খুঁজে পান রাজু। চেষ্টা করে খুঁজে বের করেন ম্যানহাটন নিবাসী লোরেনকে।

পূর্বযোগাযোগ অনুযায়ী বুধবার ম্যানহাটনের একটি রেস্তোরাঁয় রাজু আহমেদ সেই হিরের আংটিটি লোরেনের হাতে তুলে দেন। মুগ্ধ লোরেন রাজুর সততার প্রশংসা করে ভালোবাসার মহা মূল্যবান হিরের আংটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। রাজু আহমেদ বলেন, ‘আমি আমার পারিবারিক এবং ধর্মীয় শিক্ষা থেকেই এমনটি করেছি। আমার যাত্রী খুশি হয়েছেন দেখে আমি নিজেও খুশি। হিরের আংটিটির বাজারমূল্য ২০ হাজার ডলারের বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।’

নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের সততার জন্য সুনাম অর্জনকারী রাজু আহমেদের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়।

সূত্র : প্রথম আলো