Wednesday, February 6, 2019

নিম্নাঙ্গে নয়, ঊর্ধ্বাঙ্গেই চরম শরীরী সুখের হদিশ দিতে ৬টি উপায় এখন শিরোনামে

ছবি : সংগৃহীত

মানব শরীরে কি সুখস্থান কেবল নিম্নাঙ্গেই? বাৎস্যায়ন জানিয়েছেন, শরীরী সুখের হদিশ লুকিয়ে রয়েছে দেহের সর্বত্র। কিন্তু সেই সন্ধান জানে খুব কম মানুষই। পশ্চিমি বিশ্বে এই সুখ-সন্ধান নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা। প্রথাগত যৌনতা থেকে বেরিয়ে সুখের নতুন দিগন্ত উন্মোচন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সেক্স টয়ের কোম্পানিগুলির কর্তারা পর্যন্ত।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকের বাজার ছেয়ে গিয়েছে এমন কিছু সেক্স টয়-এ, যার সঙ্গে তেমন পরিচিতি ছিল না গ্রাহকদের। সেক্স টয় প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, নিম্নাঙ্গে নয়, মানব-ঊর্ধ্বাঙ্গেই চরমতম শরীরী অনুভূতি জাগাতে তারা বের করেছে বিবিধ ‘খেলনা’। এই শরীরী সুখ স্তনবৃন্ত-কেন্দ্রিক। তাই একে ‘অরগ্যাজম’ না বলে ‘নিপলগ্যাজম’ বলাই শ্রেয়, এমনটাই মত প্রস্তুতকর্তাদের।

এই জাতীয় সেক্স টয়ের ব্যবহার যে আগে ছিল না, এমন নয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘রিফাইনারিটোয়েন্টি ডট কম’ থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালেই এক সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছিলেন, স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই স্তনবৃন্ত এক বিশেষ সুখস্থান। সেখান থেকেও চরম রতিসুখ লাভ হতে পারে। এই সমীক্ষা মার্কিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন-এর জার্নালেও প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানীরা দেখান যে, স্তনবৃ্ন্তের বিশেষ শৃঙ্গার মস্তিষ্কের এমন কিছু অংশকে সক্রিয় করে তোলে, যা অন্য উপায়ে ততটা সম্ভব নয়। এই ক্রিয়াই ‘নিপলগ্যাজম’। 

‘নিপলগ্যাজম’-কে গ্রাহকদের ‘হাতের মুঠোয়’ তুলে দিতে ৬ রকমের সেক্স টয় বাজারে লভ্য হয়েছে সম্প্রতি। এগুলি যথাক্রমে— নিপল সাকার, ক্ল্যাম্প, পেন্ড্যান্ট, নিপল বাম, নিপল ম্যাগনেট ও ফিঙ্গার টিজার। এদের বিশদ ব্যবহার নিয়েও প্রচার চালাচ্ছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি। 

পান পাতার ১০টি গুনা গুন জেনেনিন

ছবি : সংগৃহীত

পান পাতায় উপস্থিত একাধিক উপাদান নানাবিধ রোগের প্রকোপ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু পান পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা তেমন অবগত নই। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নানা রোগের চিকিৎসায় এই পাতাটির ব্যবহার করা হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক কী কী রোগের চিকিৎসায় এই প্রাকৃতিক উপাদানটি কাজে আসে:

১. নিমেষে মাথা যন্ত্রণা কমিয়ে ফেলে: শুনতে আজব লাগলেও এ কথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে নিয়মিত পান পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরের ভেতরে “কুলিং প্রপাটির” মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে মাথা যন্ত্রণা কমে যেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, মাথা যন্ত্রণা কমাতে আরেক ভাবেও পান পাতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। কীভাবে? এবার থেকে যখনই মাথা যন্ত্রণা করবে তখনই ১-২ টা পান পাতা নিয়ে কপালে লাগিয়ে ফেলবেন। দেখবেন কষ্ট কমতে সময় লাগবে না।

২. কনস্টিপেশনের মতো রোগ দূরে পালায়: বেশ কিছু গবেষনায় দেখা গেছে পান পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে “পি এইচ লেভেল” স্বাভাবিত হতে সময় লাগে না। ফলে কোষ্টকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করে।

৩. ব্রণের প্রকোপ কমায়: পান পাতার অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ একদিকে যেমন ব্রণের প্রকোপ কমায় অন্যদিকে স্কিন অ্যালার্জি এবং চুলকানির মতো সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল, ত্বকের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগাতে হবে পান পাতাকে? এক্ষেত্রে কয়েকটি পান পাতা নিয়ে প্রথমে ভাল করে বেটে নিতে হবে। তারপর অল্প পরিমাণ হলুদ, পান পাতার সঙ্গে মিশিয়ে সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে কম করে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা।

৪. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে: যে কোনও অনুষ্টান বাড়িতে মহাভোজের পর পান পরিবেশন করার রেওয়াজ রয়েছে কেন জানেন? কারণ পান পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে জোরদার করে। সেই সঙ্গে হজমে সহায়ক রসের !ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এখানেই শেষ নয়, পান পাতায় উপস্থিত ফাইবার, কনস্টিপেশন দূর করে এবং শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে গলিয়ে দেয়। ফলে একাধারে যেমন ওজন হ্রাস পায়, তেমনি নানাবিধ শারীরিক সমস্যাও কমতে শুরু করে।

৫. ক্ষত সারাতে কাজে দেয়: পান পাতায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি যে কোনও ক্ষত সারিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে প্রথমে অল্প করে পান পাতার রস দিয়ে দিন। তারপর তার উপর কয়েকটি পান পাতা রেখে বেঁধে দিন। এমনভাবে ১-২ দিন থাকলেই দেখবেন ক্ষত একেবারে সেরে গেছে।

৬. অবসাদ কমাতে এবং মন ভাল করতে সাহায্য করে: যারা মারাত্মক মানসিক চাপে ভুগছেন তারা আজ থেকেই পান পাতা খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন। কারণ এতে উপস্থিত বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান নিমেষে মন ভাল করে দেয়। সেই সঙ্গে-ডিপ্রেশন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে পান। এক্ষেত্রে রাতের খাবার শেষ করে ১-২ টা পান পাতা চিবোলেই দারুন উপকার পাওয়া যায়।

৭. জয়েন্ট পেইন কমায়: পলিফেনাল নামে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে পান পাতায়, যা প্রদাহ বা যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে। সেই কারণেই তো আর্থ্রাইটিস রোগীদের পান পাতার রস লাগানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৮. মুখের গন্ধ দূর করে: মুখ গহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে মুখের বদ গন্ধ দূর করতে পান পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে পান পাতা চিবানোর সময় প্রচুর মাত্রায় স্যালাইভা তৈরি হয়, যা গন্ধ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে পি এইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে গন্ধ একেবারে গায়েব হয়ে যায়।

৯. গলা ব্যথা কমায়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকার কারণে গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা কমাতে পান পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন পান পাতার সঙ্গে অল্প করে মধু খেলে গলার সংক্রমণও দূর হয়। তাই আবহাওয়া বদলের সময় যারা খুব রোগে ভুগে থাকেন, তারা এমন সময় সঙ্গে পান পাতা রাখতে ভুলবেন না।

১০. বদ হজমের সমস্যা দূর করে: যারা প্রায়শই বদ হজমে ভুগে থাকেন তারা আজ থেকেই পান পাতা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কারণ এতে রয়েছে গ্যাস্ট্রো প্রটেকটিভ এজেন্ট। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ফ্লটুলেন্ট এবং কার্মিনেটিভ এজেন্ট যা স্যালিভারি জুসের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।

শুধু পুরুষ না নারীরাও যৌন নির্যাতনকারী হয়ে থাকে

ছবি : সংগৃহীত

বৃটেনে শিশু ও টিনেজ বালক- বালিকাদের ওপর যৌন নির্যাতনকারী নারীর সংখ্যা বাড়ছেক্রমাগতভাবে। তাদেরকে অভিযুক্ত করে সাজা দেয়া হলেও এ প্রবণতা থামছে না। মঙ্গলবার সোফি এলমস নামের ১৮ বছর বয়সী এক নারীকে এমন অভিযোগে ৭ বছর ১০ মাসের জেল দিয়েছে আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দুটি শিশুর ওপর ভয়াবহ যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি। ওই দুটি শিশুর একটির বয়স দুই বছর। অন্যজনের তিন।

এভাবে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনকারীদের ইংরেজিতে বলা হয় পায়েডোফাইল। সোফি এলমস এমন নির্যাতনকারী একাই নন, বৃটিশ আইন মন্ত্রণালয়ের নতুন এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে রেকর্ড সংখ্যক নারী যৌন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।

ওই বছরে ১৪২ জন নারী ও যুবতীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুদের ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন রকম যৌনতা সংশ্লিষ্ট আচরণ। এর দুই বছর আগে যে পরিমাণ নারী ও যুবতী এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৬ সালের সংখ্যা তার দ্বিগুণ। লন্ডনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেয়া হয়েছে। এ প্রবণতা বা পরিসংখ্যানকে অস্বস্তিকর বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এতে। তাতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নারী যৌন নির্যাতনকারীর সংখ্যা কি বাস্তবেই বেড়ে চলেছে?

সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ এমন সব ঘটনা ঘটেছে, যাতে যৌন নির্যাতনকারী নারী। তারা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনে সরাসরি জড়িত অথবা সম্পৃক্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে হাই প্রোফাইল যৌন নির্যাতনকারী হলেন ভ্যানেসা জর্জ। তিনি সোফি এলমসের মতো একজন নার্সারি নার্স। তবে সোফি এলমসের মতো এই নির্যাতনের ঘটনা তিনি শিশুদের যত্ন নেয়ার কেন্দ্রে ঘটান নি। তাকে শিশুদের পিতামাতা নিরপরাধী হিসেবে দেখতেন। বর্তমানে তার বয়স ৪৮ বছর। তাকে বলা হয় লন্ডনে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনকারী সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধী।

২০০৯ সালে তিনি স্বীকার করেন যে, তার তত্ত্বাবধানে থাকা শিশুদের ওপর নির্যাতন করেছেন। এর পরই তাকে অনির্দিষ্টকালের জেল দেয়া হয়েছিল। একটি গ্যাং, যারা শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন করে তাদের ‘মিস্ট্রেস’ বা রক্ষিতা হওয়ার ফলে নরউইচের একটি আদালত ২০১৫ সালে যাবজ্জীবন জেল দেয় ৩৪ বছর বয়সী যুবতী মেরি ব্ল্যাককে। ওই রায় দিয়ে বিচারক বলেছিলেন, তিনি ওই সময় পর্যন্ত যত মামলার রায় দিয়েছেন এটি ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।

ওদিকে মঙ্গলবার একজন শিক্ষিকাকে দুই বছরের বেশি জেল দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৫ বছর বয়সী একটি স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ৯ মাস ধরে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ২০১৫ সালে ৩২ বছর বয়সী টিচিং এসিস্ট্যান্ট চার্লোটি পারকারকে শিক্ষকতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিনি স্বীকার করেন, এসেক্সে তার স্কুলের ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে তিনি হাজার হাজার যৌন উত্তেজক মেসেজ পাঠিয়েছেন। তারপর ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর হলে তার সঙ্গে গড়ে তোলেন যৌন সম্পর্ক। এরপরই তার বিরুদ্ধে ওই শাস্তি ঘোষণা করা হয়।

এর এক বছর পরে লরেন কক্স নামে ২৭ বছর বয়সী ভূগোলের শিক্ষিকাকে এক বছরের জেল দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। তার পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ওই ছাত্রের বয়স যখন ১৬ বছর, তখন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে শারীরিক সম্পর্ক। একজন শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর শব্দ সংবলিত কার্ড পাঠানোর জন্য ৪৯ বছর বয়সী শিক্ষিকা ইয়েঅনি প্রেসটনকে পেশা থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ব্রিস্টলে ইউনিভার্সিটি অব দ্য ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের অপরাধ বিজ্ঞানের সহযোগী প্রফেসর ও যৌন অপরাধ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. কিয়েরান ম্যাকারটান। তিনি যৌন নির্যাতনকারী নারীর সংখ্যা নিয়ে বলেছেন, এই সংখ্যা মহামারি নয়। তবে এটা সংস্কৃতি পরিবর্তনের ফল। আমার মনে হয় সমাজে একটি পরিবর্তন ঘটেছে। আর সেজন্যই নির্যাতিতরা আস্থার সঙ্গে সামনে এগিয়ে আসছে এবং কথা বলছে। পুলিশের মধ্যে যৌন অপরাধের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তারা এর তদন্ত করছে। বেশির ভাগ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।