ছবি : সংগৃহীত |
মানব শরীরে কি সুখস্থান কেবল নিম্নাঙ্গেই? বাৎস্যায়ন জানিয়েছেন, শরীরী সুখের হদিশ লুকিয়ে রয়েছে দেহের সর্বত্র। কিন্তু সেই সন্ধান জানে খুব কম মানুষই। পশ্চিমি বিশ্বে এই সুখ-সন্ধান নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা। প্রথাগত যৌনতা থেকে বেরিয়ে সুখের নতুন দিগন্ত উন্মোচন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সেক্স টয়ের কোম্পানিগুলির কর্তারা পর্যন্ত।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকের বাজার ছেয়ে গিয়েছে এমন কিছু সেক্স টয়-এ, যার সঙ্গে তেমন পরিচিতি ছিল না গ্রাহকদের। সেক্স টয় প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, নিম্নাঙ্গে নয়, মানব-ঊর্ধ্বাঙ্গেই চরমতম শরীরী অনুভূতি জাগাতে তারা বের করেছে বিবিধ ‘খেলনা’। এই শরীরী সুখ স্তনবৃন্ত-কেন্দ্রিক। তাই একে ‘অরগ্যাজম’ না বলে ‘নিপলগ্যাজম’ বলাই শ্রেয়, এমনটাই মত প্রস্তুতকর্তাদের।
এই জাতীয় সেক্স টয়ের ব্যবহার যে আগে ছিল না, এমন নয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘রিফাইনারিটোয়েন্টি ডট কম’ থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালেই এক সমীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছিলেন, স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই স্তনবৃন্ত এক বিশেষ সুখস্থান। সেখান থেকেও চরম রতিসুখ লাভ হতে পারে। এই সমীক্ষা মার্কিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন-এর জার্নালেও প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানীরা দেখান যে, স্তনবৃ্ন্তের বিশেষ শৃঙ্গার মস্তিষ্কের এমন কিছু অংশকে সক্রিয় করে তোলে, যা অন্য উপায়ে ততটা সম্ভব নয়। এই ক্রিয়াই ‘নিপলগ্যাজম’।
‘নিপলগ্যাজম’-কে গ্রাহকদের ‘হাতের মুঠোয়’ তুলে দিতে ৬ রকমের সেক্স টয় বাজারে লভ্য হয়েছে সম্প্রতি। এগুলি যথাক্রমে— নিপল সাকার, ক্ল্যাম্প, পেন্ড্যান্ট, নিপল বাম, নিপল ম্যাগনেট ও ফিঙ্গার টিজার। এদের বিশদ ব্যবহার নিয়েও প্রচার চালাচ্ছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি।
নানাবিধ