Saturday, March 9, 2019

বরকে খুশি রাখতে রোজ রাতে যা করেন রানী মুখার্জি, জানলে চমকে যাবেন আপনি…

ছবি: সংগৃহীত

রানী মুখার্জি হলেন বলিউডের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী। অনেক হিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। সম্প্রতি ‘হিচকি’ ছবির মাধ্যমে তিনি আরও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তার অভিনয়ের কারনে ছবিটি অনেক সাফল্য লাভ করেছে। সমস্ত অভিনেত্রীদের একটি আবশ্যক বিষয় হল তাদের সাজগোজ। কাজের জন্য সব সময় সেজে ফিটফাট রাখতেই হয় নিজেদের। কিন্তু রানী মুখার্জির গল্পটা একটু আলাদা।

একটি গনমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, তার জীবন অন্যান্য অভিনেত্রীর মতন নয়। তিনি অভিনয়ের জন্য যত না সাজগোজ করেন তার থেকে বেশি করেন নিজের স্বামীর জন্য। বাড়িতে থাকার সময় তিনি বিনা মেকআপেই থাকতে পছন্দ করেন। সারাদিন আর বাকি মহিলাদের মত সাধারণ ভাবেই থাকেন।

তিনি বলেন তার কাজ নিয়ে কোন চাপ নেই। বরং তার স্বামীকে নিয়ে তিনি বেশি চাপে থাকে। তার স্বামী আদিত্য চোপড়া। তিনি খুব সহজ মানুষ যে নন সেটা রানীর কথা শুনেই বোঝা যায়। রানীর সমস্ত কাজ ক্যামেরার সামনে হলেও ক্যামেরার সামনে আসতে একদম রাজি নন তার স্বামী।

ক্যামেরার সামনে আসা নিয়ে তার প্রবল আপত্তি। আদিত্য চোপড়া যেমন নিজে ক্যামেরার সামনে আসেন না তেমন তিনি পছন্দ করেন না যে তাদের একমাত্র কন্যা আদিরা ক্যামেরার সামনে আসুক। রানী মুখার্জি কিন্তু যেমন ভালো অভিনেত্রী তার থেকেও ভালো স্ত্রী তিনি।

তিনি সংসার সুখের রাখতে আর স্বামীকে খুশি রাখতে অনেক কিছু করে থাকেন। তিনি সিনেমায় কাজ করার জন্য যত না সাজেন তার থেকে বেশি সাজেন তার স্বামীকে খুশি করার জন্য। তিনি বলেন  বিয়ের পর এটা জরুরি হয়ে দাঁড়ায় যে স্ত্রীকে যেন সুন্দর লাগে তার স্বামীর চোখে।

তিনি আরো বলেন যে আগে তিনি স্ত্রী, তারপর তিনি অভিনেত্রী। তার মতে, একজন স্বামী রাতে বাড়ি ফিরে কি দেখতে চান? একটা হাসিখুশি মুখ, আর বাড়ির সুন্দর বাতাবরণ। সেটাই যদি না থাকে তাহলে সংসার কখনো সুখের হতে পারেনা।

রোজ স্বামী যদি বাড়ি ফিরে দেখে বাড়ির পরিবেশ ভালো না, বা তার স্ত্রীকে খুব অগোছালো লাগছে তাহলে তার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে কিকরে। তাই সংসার সুখের রাখতে স্ত্রীর নিজেকে যেমন ঠিক থাকতে হয় তেমন বাড়ির পরিবেশও ভালো রাখতে হয়।

তাই প্রতিদিন রাতে আদিত্যের বাড়ি ফেরার আগে তিনি মেকআপ করেন। যাতে তাকে তার স্বামীর চোখে সুন্দরী লাগে। মেকআপের সাথে সাথে তিনি সুন্দর পোশাকও পরেন। শুধু তাই নয়, রোজ রাতে রানীকে নিজের ঘর পরিষ্কার ও সাজাতে হয়।

ভুলেও মেয়েদের এই অংগুলি স্পর্শ করবেন না, হতে পারে মারাত্মক বিপদ…

ছবি: সংগৃহীত

সামান্য ছুঁয়ে ফেলা থেকেও যে ঘটতে পারে নানান রকম অঘটন সেটা একেবারেই জানেন না বহু মানুষ। তাই আমরা বিভিন্ন সময় না জেনে ছুঁয়ে ফেলি অনেককে। আমরা ছুঁয়ে ফেলা নিয়ে বেশী কিছু ভাবি না, কারণ ছুঁয়ে ফেলা থেকে যে কারোর কোন ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের কোন আইডিয়াই নেই।

পৃথিবীতে সবথেকে বেশী জীবানু ছড়ায় না ধোয়া হাত থেকে। আমরা বিভিন্ন সময়ে হাত দিয়ে নানা কাজ করে থাকি এবং পরে ভুলে যাই কি কি কাজ আমরা করেছিলাম এবং শেষে সেই হাত দিয়েই আমরা নানান কাজ শুরু করে দিই।

আমাদের জানতে হবে যে যদি আমরা সাবধান না হই এবং নানান অঙ্গে সেই হাত দিয়ে স্পর্শ করি, তাহলে আমাদের জীবনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেই সমস্যা বেড়ে গিয়ে আমাদের জীবনের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় আমরা হারিয়ে ফেলতে পারি।

তাই জীবাণু যুক্ত হাত নিয়ে কোথায় কোথায় স্পর্শ করা একদমই উচিত নয় সেটা আমাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। না জানলে কি হতে পারে সেই নিয়েও আমাদের সাবধান থাকতে হবে।

কারণ যদি আমরা না জানি এই অবাঞ্ছিত রোগ এবং জীবাণু থেকে ঠিক কিভাবে আমরা বাঁচবো, তাহলে আমাদের বাঁচার চেষ্টা জোরদার হয়ে উঠবে না কোনমতেই। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন অঙ্গ ভুলভাবে ছুঁয়ে ফেলা সম্পর্কে আমাদের সাবধানে থাকতে হবে…

চোখঃ – শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ হল চোখ। তাই ভুলভাল জায়গা থেকে ঘুরে এসে চোখে হাত দেবেন না একেবারেই। আর যদি ভুল করে হাত দিয়েও দেন এবং চোখ জ্বালা শুরু করে তাহলে চোখে জলের ঝাপটা দিন তাড়াতাড়ি।

নাকঃ – নাক শরীরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর অঙ্গ। সামান্য আঘাতেই ঘটতে পারে রক্তপাত। তাই কখনোই নাকে আঙ্গুল ঢোকাবেন না এবং নাকে আঙ্গুল ঢোকালে লোকে আপনাকে নোংরাও ভাবতে পারে।

কানঃ – শরীরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কান। অনেকেই দেশলাই কাঠি এবং অন্যান্য অনেক জিনিস দিয়ে কান চুলকে থাকেন, কিন্তু এভাবে কান চুলকানোয় যে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে সেই ব্যাপারে একদমই কেউ ভাবে না। তাই নিজের শরীরের কথা না ভেবে অনেকেই এমন ভুল ভাল কাজ করে থাকে এবং পরে সেই কাজ করার জন্য ভোগেন।

আজ থেকে সতর্ক হন। ভুলেও এইসব কাজ করা বন্ধ করুন, বিশেষ করে নোংরা হাতে বাচ্ছা ও নারীদের এইসব অঙ্গে হাত দেবেন না। হতে পারে মারাত্মক বিপদ। সাবধান হন এবং অপরকে সাবধান করুন।

সূত্র : দেশী গুরুজি