ছবি: সংগৃহীত |
এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে নারীদের সুবিধার জন্য - তাদের পারিবারিক সমস্যার দ্রুত নিস্পত্তি করার জন্য। আজকের ভারতবর্ষে নারীদের আইনগত অনেক অধিকার থাকলেও, আইন সম্পর্কে বহু নারীর অজ্ঞতা, আর্থিক অসুবিধা ও যে-কোনও মামলা নিস্পত্তি হতে দীর্ঘকাল সময় লাগা, ইত্যাদি প্রতিকুলতার জন্য নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে অনেক সময়েই বঞ্চিত হয়ে থাকেন। এইসব সমস্যার কথা ভেবেই পারিবারিক আদালত আইন তৈরি করা হয়েছে।
পারিবারিক কোর্টে কোনও উকিল নিযুক্ত করতে পারে না (অর্থবলের ফলে এক পক্ষ দুর্ধর্ষ উকিল এনে যাতে মামলায় নিজের সুবিধা না করে নিতে পারে, বা যাতে আইনের মারপ্যাঁচে মামলা দীর্ঘস্থায়ী না করতে পারে - এগুলি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে) । এই কোর্টে উকিলের বদলে থাকবে শুধু নিরপেক্ষ পরামর্শদাতা বা কাউন্সেলর (Counselor) । তারা বাদী ও বিবাদী - দুই পক্ষের কাছেই যাবে ও তাদের সাথে কথা বলবে প্রয়োজন মত তাদের বন্ধু আত্মীয়স্বজনদের প্রশ্ন করবে বিষয়টি ভালো করে জানার জন্য। ব্যাপারটি নিজেরা পরিষ্কার বুঝে তারা দু-পক্ষকেই বোঝাবে ও বিচারকের কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে।
মামলা যদি বৈবাহিক -বিষয়ক হয়, তাহলে প্রথমে বিচারকের চেষ্টা হবে ব্যাপারটা আপোসে মিটিয়ে ফেলা। সেটা সম্ভব না হলে, উভয়পক্ষ যদি রাজি হয় - তাহলে তাদের সন্মতি নিয়ে বিবাহ-বিচ্ছেদের আদেশ দেওয়া। সম্পত্তি কি ভাবে ভাগ করা হবে, ভরণপোষণের দায়িত্ব কার কি বর্তাবে, নাবালকের অভিভাবকত্ব কে পাবে - এইসব বিচারক স্থির করে দেবে। আইন ও প্রশাসন