ছবি-সংগৃহীত |
হঠাৎ করে ফেসবুকসহ অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোতে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ার খবরে কষ্ট পেয়েছেন চলচ্চিত্রের গুণী নির্মাতা কাজী হায়াৎ।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিউইয়র্ক নেয়া হয়। সেখানে একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকসহ অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোতে।
এই গুজব খবরটি যখন তার পরিবার জানতে পারেন তখন ওই হাসপাতাল থেকে কাজী হায়াতের ছেলে চিত্রনায়ক কাজী মারুফের ফেসবুক লাইভে এসে কাজী হায়াৎ নিজেই বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফেসবুক লাইভে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি হাসপাতালে আছি। অসুস্থ, তবে বেঁচে আছি। যারা মিথ্যা কথাটি ছড়িয়েছেন, তাদের আমি নিন্দা করি। কেন এই মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে? আমি খুব কষ্ট পেলাম এই গুজব খবরে। এ সময় তিনি সবার দোয়ায় সুস্থ হয়ে দ্রুত দেশে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কাজী হায়াৎ এর ছেলে কাজী মারুফ বলেন, আমার আব্বার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি যদি কখনও কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন, তবু তার জন্য দোয়া করবেন। যেন তিনি জেনো সুস্থ হয়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন।
মারুফ বলেন ২২ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার্থে তাকে নিউইয়র্ক নেয়া হয়েছে। সেখানকার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তার ছেলে চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। কাজী হায়াতের সার্বক্ষণিক দেখভালের দায়িত্বে স্ত্রীর সঙ্গে ছেলে কাজী মারুফ রয়েছেন।
কাজী মারুফ জানান, কাজী হায়াতের ঘাড়ের একটি রক্তনালি ব্লক হয়ে গেছে। হাসপাতালে প্রতিটা দিনই বেশ আশঙ্কায় কাটছে তাদের।
গত বছরের মার্চে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে একবার চিকিৎসা নেন কাজী হায়াৎ। সম্প্রতি আবারও অসুস্থবোধ করছিলেন তিনি।
২০০৫ সালে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয় তার। এর পর গত বছরের জানুয়ারিতে আবারও হৃৎপিণ্ডে সমস্যা দেখা দিলে বরেণ্য এ নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তার পর গত বছর প্রধানমন্ত্রীর তার নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন। বিনোদন