ছবি: সংগৃহীত |
নাক ডাকা অন্যের অশান্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। অন্যের শান্তির ঘুমে যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আপার রেসপিরেটারি ট্র্যাকে এয়ার ভাইব্রেশনের ফলে নাক ডাকে মানুষ। জীবন যাপন পদ্ধতিতে কিছু বদল এনে এই অভ্যেসের পরিবর্তন সম্ভব। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, যাঁরা নাক ডাকেন বেশিরভাগই স্লিপ অ্যাপনিয়া কন্ডিশনে আক্রান্ত।
‘‘আপনার সঙ্গীকে খেয়াল করতে বলুন যদি এমন হয় আপনি খানিকটা নাক ডাকার পরে পজ নেন তা হলে এটা স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। সকালে উঠে যদি মাথা ধরে, মুখ শুকনো লাগে, রাতে বেশি প্রস্রাব পায় এগুলো সব স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ।''
কি কি উপায় অবলম্বন করে এটা কমাবেন
1. ঘুমনোর দিক পরিবর্তন করুন
চিৎ হয়ে শোবেন না, তাহলে জিভের পিছন দিক টাগরায় লেগে বেশি নাক ডাকে। যে কোনও পাশে কাত হয়ে ঘুমোন।
2. খোলা নাসারন্ধ্র
নাক বন্ধ থাকলে বেশি নাক ডাকে মানুষ। তাই ঘুমনোর আগে গরম জলে স্নান করুন। নাক ভাল করে ঝেড়ে পরিষ্কার করে শুইতে যান। প্রয়োজনে নাসাল স্ট্রিপ নিন।
3. অ্যালকোহল বন্ধ করুন
গলার পিছনের দিকের মাংসের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয়। ঘুমনোর ঘন্টা চার পাঁচ আগে একেবারই অ্যালকোহল খাবেন না।
4. পানির ভারসাম্য বজায় রাখুন
সারা দিনে শরীরে জল ঠিকমতো পৌঁছলে নাকও হাইড্রেটেড থাকে। ফলে নাক কম ডাকে মানুষ।
5. মাথা একটু তুলে শোবেন
একটি অতিরিক্ত বালিশ নিয়ে মাথা একটু তুলে শোবেন। এতে নাক ডাকার থেকে রেহাই মিলবে।
6. ওজন কমান
মোটাদের নাক ডাকার প্রবণতা বেশি থাকে। স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
7. ভাল ঘুমের অভ্যেস করুন
যাঁদের ঘুম ভাল করে হয় না তারা বেশি নাক ডাকেন। তা ছাড়া কম ঘুম থেকে শরীরে আরও নানা রোগ বাসা বাঁধে। দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুম তাই জরুরি। স্বাস্থ্য