ছবি : সংগৃহীত |
বিবাহিত জীবনে সকলেই চায় সুখি হতে। আর সুখি হতে গেলে চাই মানসিক শান্তি ও ভালোবাসা। আর শারীরিক মিলন ভালোবাসার একটি অঙ্গ। দাম্পত্য জীবনে মিলনে পরিতৃপ্তি না পেলে নষ্ট হতে থাকে সম্পর্ক। সামান্য শারীরিক কমতির জন্য শুনতে হয় বহু কথা, যেতে হয় ডাক্তারের কাছে। আজ আপনাদের জানাবো কোন ওষুধ ছাড়াই কীভাবে আপনি নিজের ক্ষমতা বাড়াবেন।
১। পিঁয়াজঃ পিঁয়াজ যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খুব উপকারী। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাঁচা পিঁয়াজ পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। আর পুরুষ হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে যৌন ক্ষমতাও স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পায়।
অল্প অল্প পিঁয়াজের রস রোজ খেলে প্রজননতন্ত্র ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে ওঠে। আপনি যদি দ্রুত ফল পেতে চান তাহলে পিঁয়াজের রসের সাথে সামান্য রসুনের রসও মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার ওষুধ হিসাবে কাজ করবে। আপনার পুরুষাঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।
২। ডিমঃ যৌন উত্তেজনা বাড়াতে খুব উপকারী হল ডিম। প্রতিদিন সকালে ১ টা করে ডিম খাওয়া উচিৎ। যদি প্রতিদিন না পারেন তাহলে অন্তত সপ্তাহে ৫ দিন ডিম খান। এতে আপনার যৌন দূর্বলতা থাকলে তা সমাধান হয়ে যাবে।
৩। দুধঃ ছোট বাচ্ছা থেকে বুড়ো পর্যন্ত সকলের খাওয়া উচিৎ দুধ। দুধ এমন এক খাদ্য যা আপনার শরীরে সমস্ত রকম প্রোটিন, ভিটামিনের যোগান দেয়। এতে আছে প্রানীজ ফ্যাট। আর শরীরে সেক্স হরমোন বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই আপনার শরীরের দরকার ফ্যাট।
৪। মধুঃ মধু যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। রোজ গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫। কফিঃ কফিও বাড়াতে পারে আপনার দেহের চাহিদা। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা ক্ষমতা বাড়ায় আপনার শরীরের।
৬। জায়ফলঃ জায়ফল থেকে নিঃসৃত হয় একধরনের কামো’দ্দীপক যৌগ। এটি স্নায়ুর কোষকে উজ্জীবিত করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, এর ফলে যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। কফির সাথে এটি মিশিয়ে খেলে দুটির কাজ একত্রে হওয়া সম্ভব।
৭। কলাঃ ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম থাকে কলার মধ্যে। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌন রস উৎপাদন বাড়ায়। কলায় রয়েছে ব্রমেলীয়াণ যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায়। শর্করা থাকে কলায়, যা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। দীর্ঘ সময় মিলিত হলেও আপনার শরীরের ক্লান্তি আসেনা।
৮। চকলেটঃ ভালোবাসা ও যৌনতার সঙ্গে চকলেটের সম্পর্ক অনেক দিনের। ফেনিলেথিলামিন ও সেরোটোনিন থাকে চকলেটে। আমাদের মস্তিস্কেও আছে এই দুটি পদার্থ। এগুলি যৌন উত্তেজনা ও দেহের শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। স্বাস্থ্য