Thursday, January 24, 2019

আপনার মোবাইল কি বৈধ এখনই জেনেনিন?

ছবি: সংগৃহীত

বৈধভাবে আমদানি করা এবং উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের আইএমইআই ‘এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেজ (এনএআইডি)’ চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডাক, টেযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে এই ডেটাবেজের উদ্বোধন করেন।

গ্রাহকের মোবাইল ফোনটি বৈধ নাকি অবৈধ ভাবে আমদানি করা হয়েছে, তা এখন জানা যাবে সহজেই। মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে আপনি যাচাই করতে পারবেন আপনার মোবাইলের বৈধতা। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আমদানি করা অথবা দেশে তৈরি মোবাইলের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির তথ্যভান্ডারে রয়েছে। এর আগের আইএমইআই নম্বর হয়তো পাওয়া যাবে না ডেটাবেজে।

বিটিআরসির তথ্যমতে, নতুন মোবাইল ফোনসেট কেনার সময় ফোনের প্যাকেটের গায়ে লেখা ১৫ ডিজিটের ২টি আইএমইআই নম্বরটি দেখে নিতে হবে। যদি প্যাকেটের গায়ে লেখা আইএমইআই নম্বরটি মনে না থাকে তাহলে সহজেই *#০৬# ডায়াল করলেই ২টি আইএমইআই নম্বর চলে আসবে।
এরপরে মোবাইল ফোনের এসএমএস অপশনে গিয়ে বড় অক্ষরের কেওয়াইডি লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি লিখে ১৬০০২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে গ্রাহক বিটিআরসির ডেটাবেজে ওই আইএমইআই নম্বরটি আছে কি না, তা জানতে পারবেন।

বিটিআরসি’র তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) এর আর্থিক সহায়তায় এনএআইডি চালু করা হয়েছে। এই ডেটাবেজ চালু হওয়ায় অবৈধ ও চোরাই হ্যান্ডসেট আমদানি করা বন্ধ হয়ে যাবে। গত বছর দেশে মোট সোয়া তিন কোটি হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিটিআরসি’র মাধ্যমে ২ কোটি ৭৬ লাখ ফোন বৈধভাবে আমদানি করা হয়। যত হ্যান্ডসেট বিক্রি হয় তার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আমদানি করা হয়। এর ফলে বিদায়ী বছরে এক হাজার থেকে ১২শ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।