Tuesday, January 22, 2019

চুল বিক্রি করে কোটিপতি পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

চীনে চুল বেচে এক কোটি রুপির বেশি আয় করেছে পাকিস্তান। গত পাঁচ বছরে চীনের বাজারে পাকিস্তান এক লাখ কেজি চুল বিক্রি করেছে।

পাকিস্তান এর সংবাদ পত্র ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার পাকিস্তানের সংসদে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেখানে চুল বিক্রির অর্থ থেকে আয়ের হিসাব দিয়েছে বাণিজ্য ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়। হিসাবে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে চীনে মোট এক লক্ষ পাঁচ হাজার চার শত একষট্টি কেজি চুল রপ্তানি করা হয়েছে। এর জন্য মিলেছে এক লক্ষ বত্রিশ হাজার ডলার। ডলার থেকে রুপি করলে এর মূল্যমান হবে এক কোটি চুরাশি লক্ষ ষাট হাজার দুইশত পাকিস্তানি রুপি। বিভিন্ন পারলার থেকে চুল কিনে পাকিস্তান সেগুলো চীনে বিক্রি করেছে।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিরাশি হাজার নয়শত এক কেজি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তেরো হাজার একশত পাঁচ কেজি, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক  হাজার চারশত কেজি মানুষের চুল চীনে রপ্তানি করেছে পাকিস্তান।

ক্ষমতায় বসেই অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য নানান উদ্যোগ নিয়েছেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ এরপর প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া ইমরান৷ ক্ষমতায় ছয় মাসের মাথায় ইমরানের সরকার সংসদে জানাল, পাঁচ বছরে চীনে মাথার চুল রপ্তানি করে বিপুল অর্থ পকেটে পুরেছে ইসলামাবাদ৷ লাভের পরিমাণ প্রায় এক কোটি রুপির কাছাকাছি।

পাকিস্তানের অন্যতম পরীক্ষিত বন্ধু চীন৷ প্রায় সব সময় ইসলামাবাদের পাশে থাকছে বেইজিং৷ গত কয়েক বছরে চীনের প্রসাধনসামগ্রী ব্যবসা অনেক বড় হয়েছে। মানুষের মধ্য স্টাইল ও ফ্যাশন সম্পর্কেও বেড়েছে সচেতনতা। এর সঙ্গে বেড়েছে ‘উইগ’ বা ‘পরচুলা’র ব্যবহার। উচ্চমানের ওই সব পরচুলা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সাধারণ মানুষের চুল। নিজের দেশের মানুষের চুল দিয়েও এর জোগান দিতে পারছিল না বেইজিং। তাই চুলের প্রয়োজন মেটাতে দ্বারস্থ হয় পাকিস্তানের।

মোটা অর্থের বিনিময়ে পাকিস্তান থেকে চুল পৌঁছে যাচ্ছে চীনের প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসায়ীদের কাছে। এক হিসাবে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান থেকে প্রায় এক লক্ষ পাঁচ হাজার চার শত একষট্টি কেজি চুল রপ্তানি হয়েছে চীনে৷ এর দাম আনুমানিক এক লক্ষ বত্রিশ হাজার মার্কিন ডলার৷ বিভিন্ন পারলার থেকে পাঁচ ও ছয় হাজার রুপি কেজি দরে চুল কিনে পাকিস্তান। সেই চুল শুধু চীন নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানেও রপ্তানি করছে পাকিস্তান।