ছবি: সংগৃহীত |
আগামী ২৭ই জানুয়ারী পর থেকে বন্ধ হচ্ছে মোবাইল কোম্পানিগুলোর ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্যাকেজ, তিন দিনের প্যাকেজ, ৫ দিনের প্যাকেজসহ সবগুলো ছোট ডাটা প্যাকেজ। এ সকল ছোট প্যাকেজ গুলোতে প্রতারিত হয়ে আসছিলেন গ্রাহকরা। ২৭ জানুয়ারির পর থেকে ৭ দিনের নিচে টকটাইম বা ইন্টারনেটের আর কোনো প্যাকেজ থাকবে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটরকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এটা মানার ব্যাপারেও সতর্ক করেছে বিটিআরসি।
গতকাল বুধবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানিয়েছেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক।
টেলিযোগাযোগ খাতে ২০১৮ সাল অর্জন ও সফলতার বছর ছিল উল্লেখ করে জহুরুল হক বলেন, চলতি বছরে সেবার মান উন্নত করার ওপরই জোর দিচ্ছেন। টিআরএনবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ছাড়াও দুই জন কমিশনার, মহাপরিচালক, পরিচালক ও কমিশন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল ফোনের ছোট প্যাকেজগুলোতে প্রতারিত হয়ে আসছিলেন গ্রাহকরা। ওই প্যাকেজগুলো কম টাকায় দিলেও ইন্টারনেটসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাগুলো গ্রাহকরা শেষ করতে পারতেন না। ফলে তার বেঁচে যাওয়া ইন্টারনেট নষ্ট হয়ে যেত। আবার তাকে কিনতে হতো। অন্তত ৭ দিনের প্যাকেজ থাকলেও গ্রাহক হিসেব করে খরচ করতে পারেন।
বাংলাদেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যা রয়েছে কেবল গ্রামীণফোনের। তাদের গ্রাহক ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ। জহুরুল হক বলেছেন, এসএমপি হয়ে গেলে সবাই ব্যবসা করতে পারবে। কারও গ্রাহক ৪০ শতাংশের বেশি হবে না। আগামী কমিশনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
জানা গেছে, বার্ষিক রাজস্ব আয়ের দিক দিয়ে গ্রামীণফোন আরও এগিয়ে আছে। ২০১৭ সালে বাজারের মোট রাজস্ব আয়ের ৫৩ শতাংশ পেয়েছে তারা। বাজারে একক কর্তৃত্বের পাশাপাশি সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ, বাজারের সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ’, অধিগ্রহণ বা একীভূতকরণ নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে এসএমপি প্রবিধানমালায়। এই নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে বিটিআরসির হাতে। অর্থনীতি